গাজীপুরের শ্রীপুরে আম্বিয়া খাতুন (৪৪) নামের এক তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তাঁর স্বামী আসাদ উল্লাহ আকন্দকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁর প্রথম পক্ষের মেয়ে শারমিন আক্তারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তাঁকে আটক করে। 

শনিবার সকালে শ্রীপুর পৌরসভার গিলারচালার ভাড়া বাসা থেকে আসাদ উল্লাহকে আটক করা হয়। তিনি বরমী ইউনিয়নের বরমা গ্রামের আব্দুল মতিন আকন্দের ছেলে। 

স্থানীয় লোকজন জানায়, প্রথম স্ত্রী থাকার পরও আম্বিয়া আক্তারকে বিয়ে করেন তিনি। স্বামী-স্ত্রী গিলারচালা এলাকার রুবেল হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। দু’জনই পোশাক তৈরির কারখানায় কাজ করেন। 

দ্বিতীয় সংসারে সন্তান না থাকলেও প্রথম সংসারে শারমিন আক্তার (২০) নামের এক মেয়ে আছে আসাদের। 

শারমিনের ভাষ্য, তাঁর বাবা সৎমা আম্বিয়ার সঙ্গে প্রায় সময়ই ঝগড়া করতেন। শুক্রবার রাতেও তাদের ঝগড়া হয়। পরে সৎমাকে পিটিয়ে হত্যার পর বাবাই লাশ ঝুলিয়ে রাখে। তাঁর মায়ের শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিজেকে রক্ষা করতে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজায় আসাদ।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত আম্বিয়ার শরীরের রক্ত জমাট বেঁধে আছে। মাথা ও কপালে কাটার দাগ রয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, এটি হত্যাকাণ্ড। হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখলেও পুলিশ খাটের ওপর থেকে লাশ উদ্ধার করেছে। আম্বিয়ার স্বামী আসাদকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।   

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হত য আম ব য়

এছাড়াও পড়ুন:

উৎসবমুখর পরিবেশে হবে দুর্গাপূজা: ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে। আগের মতোই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুকূল পরিবেশে ও নির্বিঘ্নে হবে। 

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে ডিএমপির সদর দপ্তরে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেছেন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ নিহত

এবার ঢাকা মহানগরীতে ২৫৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে, জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, মণ্ডপভিত্তিক নিরাপত্তা পরিকল্পনার বাইরে পৃথক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও থাকবে। প্রতিমা বিসর্জনের দিন সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

প্রস্তুতি সভায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, উপাধ্যক্ষ রামকৃষ্ণ মিশন মঠসহ সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গৃহীত নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ধন্যবাদ জানান। 

সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিম, অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত কমিশনার (লজিস্টিকস) হাসান মো. শওকত আলী, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. জিললুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকতা এবং সশস্ত্র বাহিনী, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও সেবা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এমআর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ