মেয়ে জানালেন, পিটিয়ে হত্যার পর মায়ের লাশ ঝুলিয়ে রাখেন বাবা
Published: 3rd, May 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুরে আম্বিয়া খাতুন (৪৪) নামের এক তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তাঁর স্বামী আসাদ উল্লাহ আকন্দকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁর প্রথম পক্ষের মেয়ে শারমিন আক্তারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তাঁকে আটক করে।
শনিবার সকালে শ্রীপুর পৌরসভার গিলারচালার ভাড়া বাসা থেকে আসাদ উল্লাহকে আটক করা হয়। তিনি বরমী ইউনিয়নের বরমা গ্রামের আব্দুল মতিন আকন্দের ছেলে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, প্রথম স্ত্রী থাকার পরও আম্বিয়া আক্তারকে বিয়ে করেন তিনি। স্বামী-স্ত্রী গিলারচালা এলাকার রুবেল হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। দু’জনই পোশাক তৈরির কারখানায় কাজ করেন।
দ্বিতীয় সংসারে সন্তান না থাকলেও প্রথম সংসারে শারমিন আক্তার (২০) নামের এক মেয়ে আছে আসাদের।
শারমিনের ভাষ্য, তাঁর বাবা সৎমা আম্বিয়ার সঙ্গে প্রায় সময়ই ঝগড়া করতেন। শুক্রবার রাতেও তাদের ঝগড়া হয়। পরে সৎমাকে পিটিয়ে হত্যার পর বাবাই লাশ ঝুলিয়ে রাখে। তাঁর মায়ের শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিজেকে রক্ষা করতে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজায় আসাদ।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত আম্বিয়ার শরীরের রক্ত জমাট বেঁধে আছে। মাথা ও কপালে কাটার দাগ রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, এটি হত্যাকাণ্ড। হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখলেও পুলিশ খাটের ওপর থেকে লাশ উদ্ধার করেছে। আম্বিয়ার স্বামী আসাদকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
১৫ মের মধ্যে শেষ হবে ঐকমত্য কমিশন-রাজনৈতিক দলের প্রাথমিক আলোচনা: আলী রীয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, আগামী ১৫ মের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা শেষ করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রোববার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ১২-দলীয় জোটের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে আলী রীয়াজ এ কথা বলেন। ১২-দলীয় ১১ নেতা এই বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে আলী রীয়াজ বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য তৈরির দায়িত্ব শুধু জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের একার নয়। আপনারা যাঁরা সংগ্রামে আছেন, আপনারা যাঁরা আজ আমাদের সঙ্গে কথা বলছেন, আপনারা আপনাদের সহযোগীদের সঙ্গে কথা বলুন, অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে কথা বলুন; কী করে আমরা এক জায়গায় আসতে পারি।’
ঐকমত্যে আসার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দেওয়ার আহ্বান জানান আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘আমাদের সবাইকে এক জায়গায় আসতে হবে। আমরা সব বিষয়ে একমত হতে পারব না, কিন্তু রাষ্ট্র গঠনের মৌলিক জায়গায় আমাদের একমত হয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
আলী রীয়াজ বলেন, ‘শুধুমাত্র এই টেবিলে বসে, এখানে আলোচনা করে আমরা জাতীয় ঐকমত্যের চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছতে পারব, এটা আমরা মনে করি না।’
চলমান আলোচনার সময়সীমার কথা জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ১৫ মের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা শেষ করে ঐকমত্যের বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু পরিকল্পনা রয়েছে। যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হবে, সেগুলোর ভিত্তিতে জাতীয় সনদ তৈরি হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য গঠন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠক উপস্থিত আছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার ও মোহাম্মদ মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। ১২-দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (বিএলডিপি) চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন।