এবার কোরবানিযোগ্য প্রাণী ১ কোটি ২৪ লাখ, থাকবে উদ্বৃত্ত: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
Published: 4th, May 2025 GMT
পবিত্র ঈদুল আজহায় এবার কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, এ বছর ২০ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি গবাদিপশু উদ্বৃত্ত থাকতে পারে।
আজ রোববার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন। আসন্ন ঈদুল আজহা উদ্যাপন উপলক্ষে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোরবানির পশুর অবাধ চলাচল ও পরিবহন নিশ্চিতকল্পে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মন্ত্রণালয়। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে এই মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ দপ্তর।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এবার কোরবানিযোগ্য ৫৬ লাখ ২ হাজার ৯০৫টি গরু-মহিষ, ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯২০টি ছাগল-ভেড়া ও ৫ হাজার ৫১২টি অন্যান্য প্রজাতির প্রাণীর প্রাপ্যতা রয়েছে।
দেশে চাহিদার চেয়ে বেশি গবাদিপশু থাকায় এ বছর কোরবানি ঈদের জন্য পশু আমদানি করা হবে না বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, অবৈধ পথে কোনোভাবেই গবাদিপশু প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
কোরবানির প্রাণী সরবরাহের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, চলতি বছর উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিশেষ ট্রেনে করে প্রাণী সরবরাহ করা হবে। রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের আওতায় ১৯টি পশুর হাটে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে ২০টি ভেটেরিনারি মেডিকেল দল ও ২টি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল দল নিয়োজিত থাকবে।
কোরবানির ঈদে বাজার যেন কেউ অস্থিতিশীল করতে না পারে, সে জন্য সবার সহযোগিতা চেয়ে ফরিদা আখতার বলেন, চাঁদাবাজির কারণে পশুর দাম যেন না বাড়ে, সে জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ জন্য আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ত্রাণ সংগ্রহকারী ফিলিস্তিনিদের হত্যা করতে সাইলেন্সারযুক্ত অস্ত্র ব্যবহার করছে ইসরায়েল
ত্রাণ সংগ্রহ করতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের হত্যা করতে সাইলেন্সার যুক্ত অস্ত্র ব্যবহার করছে ইসরায়েলি সেনারা। ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েল প্রথমবারের মতো এই অস্ত্র ব্যবহার করছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে আল-জাজিরা অনলাইন।
উত্তর গাজায় আল জাজিরার আরবি সংবাদদাতা আনাস আল-শরিফ জানিয়েছেন, তিনি একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলেছেন যারা বেইত লাহিয়ার কাছে সুদানী এলাকায় সাইলেন্সার ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সেখানে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী একটি সাহায্য কেন্দ্রের আশেপাশের লোকদের লক্ষ্য করে সাইলেন্সারযুক্ত অস্ত্র ব্যবহার করেছিল।
তিনি জানান, এর অর্থ হল ইসরায়েলি সেনারা নিজেদের বেপরোয়াভাবে ত্রাণ সংগ্রহকারীদের হতাহত করার চেষ্টা করছিল। শুক্রবার মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ এবং ইসরায়েলে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি কয়েক ঘন্টা ধরে গাজা সফর করার সময় এই ঘটনাটি ঘটেছে।
গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন বা জিএইচএফ হচ্ছে একটি মার্কিন সমর্থিত একটি ত্রাণকেন্দ্র পরিচালনাকারী সংস্থা। একে সমর্থন দিয়েছে ইসরায়েল। গাজায় সরবরাহ পৌঁছানোর জন্য জিএইচএফ বেসরকারি মার্কিন নিরাপত্তা ও সরবরাহ কোম্পানি ব্যবহার করে। এটি জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন একটি ব্যবস্থাকে এড়িয়ে চলে। গাজায় জিএইচএফ মে মাসের প্রথম দিকে কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকদের প্রায় প্রতিদিন গুলি করার জন্য কুখ্যাত হয়ে উঠেছে। এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩৭৩ জন ফিলিস্তিনি জিএইচএফের ত্রাণকেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন।
ঢাকা/শাহেদ