রুয়েটের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এনসিপির মিছিলে কর্মকর্তা
Published: 4th, May 2025 GMT
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) কর্তৃপক্ষের স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন এক কর্মকর্তা। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মিছিলে তাকে সামনের সারিতে দেখা গেছে।
রাজশাহী নগরের সাহেববাজার এলাকায় শনিবার (৩ মে) বিকেলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে এনসিপি, রাজশাহী। কর্মসূচির ব্যানারটি ধরে সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন রুয়েটের সংস্থাপন ও প্রশাসন শাখার জুনিয়র সেকশন অফিসার আশিক ইকবাল।
রুয়েট কর্তৃপক্ষ ২০২৩ সালের ১০ আগস্ট এক অফিস আদেশে সব শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, “রুয়েট আইন ২০০৩-এর ৪৪(৪) ও ৪৫(৫) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্মকর্তা, শিক্ষক বা কর্মচারী রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না।” একই সঙ্গে ছায়া সংগঠন ও রাজনৈতিক কার্যক্রমেও শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সংশ্লিষ্টতা নিষিদ্ধ করা হয়।
আরো পড়ুন:
ছাত্র আন্দোলনে হামলা: রুয়েট কর্মকর্তাকে পুলিশে দিলেন শিক্ষার্থীরা
সাতক্ষীরায় কলেজছাত্রীর গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে আদেশটি জারি হয়েছিল, যার লঙ্ঘনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কথাও বলা হয়। এমনকি তারও আগে, ২০২৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রুয়েট প্রশাসন একই ধরনের একটি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।
এই অবস্থায় এনসিপির কর্মসূচিতে উপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তা সরাসরি স্বীকার করেছেন রুয়েটের কর্মকর্তা আশিক ইকবাল। তাঁর ভাষায়, “আমি কাগজে-কলমে এনসিপির কোনো পদে নেই। ওই সময় এলাকায় ছিলাম, একজন ডাকে, তাই কর্মসূচিতে অংশ নিই।”
রুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আরিফ আহম্মদ চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, “বিষয়টি আমি দেখিনি। তবে এমন কিছু হয়ে থাকলে তা স্পষ্টতই বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালার লঙ্ঘন।”
এখন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমি এখনো অফিসিয়ালি কিছু জানি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”
ঢাকা/কেয়া/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত র জন ত ক এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’