নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) স্নাতকে ২০২০-২১ থেকে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত এই ৪ বছরে মোট ৫ হাজার ৭৩৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।

রবিবার (৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের শিক্ষা শাখার বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৩৩টি বিভাগ, দুইটি ইন্সটিটিউট এবং সাতটি অনুষদের অধীনে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৭২ জন, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৪৭৭ জন, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৪২৩ জন ও ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৪৬২ জন।

আরো পড়ুন:

‘কিশোর গ্যাং’ এর হামলার ঘটনায় নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা

নোবিপ্রবিতে ছাত্রলীগ নেতার জন্য বিশেষ পরীক্ষার আয়োজন

বিগত ৪ বছরে বিভাগভিত্তিক শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যাও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এর মধ্যে, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ২০০ জন, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগে ১৯৭ জন, ফার্মেসি বিভাগে ২০০ জন, অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ১৯৮ জন, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে ১৭৬ জন, অ্যাপ্লায়েড ম্যাথমেটিক্স বিভাগে ১৯৫ জন, ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড নিউট্রিশন সায়েন্স বিভাগে ১৩০ জন, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ১৮০ জন, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে ২৯৬ জন, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ১৯৮ জন, অর্থনীতি বিভাগে ২৫০ জন, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ১৭৪ জন, কৃষি বিভাগে ২০৩ জন, পরিসংখ্যান বিভাগে ২১৫ জন, ওশানোগ্রাফি বিভাগে ১৫৮ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। 

এছাড়াও শিক্ষা বিভাগে ১৯৬ জন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ১৮৬ জন, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ২০৮ জন, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে ২১০ জন, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে ১৬২ জন, ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ১৪৭ জন, সফটওয়‍্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ১৪১ জন, বাংলা বিভাগে ১৮১ জন, আইন বিভাগে ২১৫ জন, প্রাণিবিদ্যা বিভাগে ১২১ জন, শিক্ষা প্রশাসন বিভাগে ১৬৭ জন, সমাজকর্ম বিভাগে ১৮১ জন, রসায়ন বিভাগে ৭৪ জন, পদার্থবিদ্যা বিভাগে ৭২ জন এবং মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে ৭৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তি হতে আরো জানা যায়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে তিনটি বিভাগে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। বিভাগগুলো হলো- পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ। বিভাগগুলোর শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে শুরু হয়েছে।

এছাড়াও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। বিভাগটিতে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে বন্ধ রাখে ইউজিসি। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফলে বিভাগের পূর্ববর্তী নাম বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ পরিবর্তন করে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নামকরণ করে ডিগ্রি প্রদান ও ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দিয়েছে ইউজিসি।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হয় ছ ন ১ হ জ র ন ব প রব

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে 

বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।

বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে 
  • নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক আগাম ভোট, তরুণেরা কেন আগাম ভোট দিচ্ছেন
  • ইনফরমেশন সার্ভিসেসের প্রথম প্রান্তিকে লোকসান কমেছে ৮০ শতাংশ
  • ‘হুক্কা’ প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পেল জাগপা
  • জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আইটি প্রোগ্রামে ডিপ্লোমা, অনলাইন ও অফলাইনে আবেদন ফি ১০০০