নোবিপ্রবিতে ৪ বছরে স্নাতকে ভর্তি হয়েছেন ৫৭৩৪ শিক্ষার্থী
Published: 4th, May 2025 GMT
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) স্নাতকে ২০২০-২১ থেকে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত এই ৪ বছরে মোট ৫ হাজার ৭৩৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
রবিবার (৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের শিক্ষা শাখার বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৩৩টি বিভাগ, দুইটি ইন্সটিটিউট এবং সাতটি অনুষদের অধীনে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৭২ জন, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৪৭৭ জন, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৪২৩ জন ও ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৪৬২ জন।
আরো পড়ুন:
‘কিশোর গ্যাং’ এর হামলার ঘটনায় নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা
নোবিপ্রবিতে ছাত্রলীগ নেতার জন্য বিশেষ পরীক্ষার আয়োজন
বিগত ৪ বছরে বিভাগভিত্তিক শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যাও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এর মধ্যে, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ২০০ জন, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগে ১৯৭ জন, ফার্মেসি বিভাগে ২০০ জন, অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ১৯৮ জন, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে ১৭৬ জন, অ্যাপ্লায়েড ম্যাথমেটিক্স বিভাগে ১৯৫ জন, ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড নিউট্রিশন সায়েন্স বিভাগে ১৩০ জন, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ১৮০ জন, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে ২৯৬ জন, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ১৯৮ জন, অর্থনীতি বিভাগে ২৫০ জন, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ১৭৪ জন, কৃষি বিভাগে ২০৩ জন, পরিসংখ্যান বিভাগে ২১৫ জন, ওশানোগ্রাফি বিভাগে ১৫৮ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।
এছাড়াও শিক্ষা বিভাগে ১৯৬ জন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ১৮৬ জন, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ২০৮ জন, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে ২১০ জন, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে ১৬২ জন, ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ১৪৭ জন, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ১৪১ জন, বাংলা বিভাগে ১৮১ জন, আইন বিভাগে ২১৫ জন, প্রাণিবিদ্যা বিভাগে ১২১ জন, শিক্ষা প্রশাসন বিভাগে ১৬৭ জন, সমাজকর্ম বিভাগে ১৮১ জন, রসায়ন বিভাগে ৭৪ জন, পদার্থবিদ্যা বিভাগে ৭২ জন এবং মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে ৭৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি হতে আরো জানা যায়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে তিনটি বিভাগে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। বিভাগগুলো হলো- পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ। বিভাগগুলোর শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে শুরু হয়েছে।
এছাড়াও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। বিভাগটিতে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে বন্ধ রাখে ইউজিসি। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফলে বিভাগের পূর্ববর্তী নাম বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ পরিবর্তন করে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নামকরণ করে ডিগ্রি প্রদান ও ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দিয়েছে ইউজিসি।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হয় ছ ন ১ হ জ র ন ব প রব
এছাড়াও পড়ুন:
ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের নিট মুনাফা কমে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে
বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পরিচালন মুনাফায় ২ হাজার কোটি টাকার রেকর্ড অতিক্রম করলেও নিট মুনাফায় বড় ধাক্কা খেয়েছে। ব্যাংকটি বিদায়ী বছরে ৪৭৩ কোটি টাকা নিট মুনাফা করেছে, ২০২৩ সালে যা ছিল ৮০২ কোটি টাকা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকটি শেয়ারধারীদের ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
ব্যাংকটি সূত্রে জানা গেছে, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ২০২৪ সালে ২ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করে। ২০২৩ সালে যার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা। ওই বছর শেষে ব্যাংকটির নিট মুনাফা ছিল ৮০২ কোটি টাকা; যা ছিল দেশীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে গত বছরে ব্যাংকটির নিট মুনাফা হয়েছে ৪৭৩ কোটি টাকা।
ব্যাংকটি মূল্য সংবেদনশীল তথ্যে জানিয়েছে, ঋণের বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করায় মুনাফা কমে গেছে; যা ভবিষ্যতে ব্যাংকটির স্বাস্থ্য উন্নতি করতে ভূমিকা রাখবে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিন প্রথম আলোকে বলেন, এবার পরিচালন মুনাফা অনেক হলেও চাহিদামতো ও অতিরিক্ত নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখা হয়েছে। ভবিষ্যতের ঝুঁকি চিন্তা করে ব্যাংকের ভিত্তি শক্তিশালী করার পদক্ষেপ হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য মুনাফা কমে গেছে। তবে শেয়ারধারীদের ঠিকই ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছে।