Prothomalo:
2025-09-19@05:50:09 GMT

‘প্রশ্ন করতেই হবে’

Published: 5th, May 2025 GMT

সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের কারণে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা আরও দায়িত্বশীল আচরণ করতে বাধ্য হন বলে উল্লেখ করেছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, সংবাদমাধ্যমকে প্রশ্ন করতেই হবে, প্রশ্ন তুলতে হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন নিতে রাজি আছে।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে রোববার ঢাকায় ‘ব্রেভ নিউ বাংলাদেশ: রিফর্ম রোডম্যাপ ফর প্রেস ফ্রিডম’ (সাহসী নতুন বাংলাদেশ: মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য সংস্কারের পথনকশা) শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে ইউনেসকো ঢাকা অফিস, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও সুইডেন দূতাবাস। রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘আমরা ন্যূনতম কিছুই করতে চাই না সংবাদমাধ্যমকে। সংবাদমাধ্যম যতটুকু যা ইচ্ছা লেখার অধিকার রাখে। সংবাদমাধ্যমকে অবশ্যই প্রশ্ন করতে হবে।’

তবে প্রশ্নের ক্ষেত্রে জবাবদিহি করাটাই মুখ্য নাকি আরও দশটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সেখানে থাকতে পারে, তা নিয়ে ভাবা দরকার বলে মনে করেন তথ্য উপদেষ্টা।

এরপরও প্রশ্ন করার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার প্রশ্ন নিতে রাজি আছে।’

সংবাদমাধ্যমের যাঁরা নীতিনির্ধারক আছেন, যেখান থেকে সংবাদ বা মতামত তৈরি হয়, সেটাকে অবশ্যই প্রশ্ন করার সুযোগ থাকা উচিত বলেও মনে করেন মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, সংসদ সদস্যদের প্রশ্ন করা যাবে, বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করা যাবে, গোয়েন্দা সংস্থাকে প্রশ্ন করা যাবে কিন্তু সাংবাদিকদের প্রশ্ন করা যাবে না—এই জিনিসটা থাকুক, তা তিনি চান না। বিগত সরকারের সময় গণমাধ্যমগুলোর কার্যকলাপ নিয়ে ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং’ দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও পড়ুনগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কার্যকরে দরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা১৬ মিনিট আগে

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা নিয়ে সরকার বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আছে বলেও সেমিনারে উল্লেখ করেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, যে অভিযোগটি সত্য, সে মামলা হচ্ছে না, দেওয়া হচ্ছে হত্যা মামলা। এটা নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সাংবাদিকতা সুরক্ষা আইন, বাসস, বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারকে একটি সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা, বিজ্ঞাপন হার মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য করা এবং মিডিয়া তালিকা ও লাইসেন্স পুনর্মূল্যায়ন নিয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানান তথ্য উপদেষ্টা। পাশাপাশি মিথ্যা প্রচারসংখ্যা দেখিয়ে রাষ্ট্রের টাকা লুটপাটকারীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, যার (সংবাদপত্র) প্রচারসংখ্যা দুই হাজারও না, তাদের এক–দুই লাখ দেখিয়ে যাঁরা রাষ্ট্রের টাকা লুটপাট করেছেন, তাঁদের তথ্য উন্মোচন করা হবে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর ন ত সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

শামীম হাসানের নতুন সিদ্ধান্ত, ইরফান সাজ্জাদের সতর্কবার্তা

ছোট পর্দার আলোচিত নাম শামীম হাসান সরকার। মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও স্বল্প সময়ে টিভি নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেন। সহজাত অভিনয়শৈলী আর হাস্যরসাত্মক চরিত্র রূপায়নের দক্ষতা তাকে আলাদা পরিচিতি দিয়েছে। ওয়েব সিরিজ, মঞ্চনাটক এবং বিজ্ঞাপনেও রেখেছেন সফল পদচারণা।  

শামীম হাসান সরকারের অভিনয়ের প্রশংসা যেমন তার ভক্তরা করেন, তেমনই তার সমালোচকেরও অভাব নেই। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন এই অভিনেতা। গল্পে পরিবর্তন না আনলে শুটিং সেটে যাবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি।   

আরো পড়ুন:

আলোচিত হানিয়া কেন ঢাকায় আসছেন?

গল্পটা এই ক্লাসরুম থেকেই শুরু: ইরফান সাজ্জাদ

শামীম হাসান সরকার বলেন, “সামনের মাস থেকে গল্পে যদি পরিবর্তন না আনেন আমি কাজ করতে যাচ্ছি না। দিন শেষে আমি ‘একই রকম অভিনয় করি’ বা ‘হাউ কাউ’ করি এই কথাটা শুনতে বছরের পর বছর কাজ করে যাচ্ছি না। এই রুচি যে আমার না এটার পেছনে বাকিদের অবদানটাই বেশি এই কথা আমি আপনাদের সহজভাবে বুঝাতে পারব না। আবার রাজনীতির শিকার হয়ে যাব।”  

শামীম হাসান সরকার মনে করেন, টাকা দিয়ে অভিনয়ের ক্ষুধা পূরণ করা যায় না। তার ভাষায়, “অভিনয়ের ক্ষুধা আপনি টাকা দিয়ে পূরণ করতে পারবেন না। অন্য কোনো দায়িত্ব দেন কষ্ট হউক করতে রাজি আছি। কিন্তু একই জিনিস থেকে আমাকেও মুক্তি দেন। আমিও বোরড (বিরক্ত)! অনেকদিন যাবত ভেবেছি, আজকে প্রকাশ করলাম। ছুটি নিব, ঘুরতে যাব। অনেক কাজ করেছি, সেগুলা ততদিনে ‘রিলিজ’ করেন।” 

শামীম হাসানের অভিনয়কে যারা ‘হাউ কাউ’ বলেন, তাদের উদ্দেশ্যে এই অভিনেতা বলেন, “যারা টাকা দিয়ে নিয়ে আমাকে দিয়ে হাউ কাউ করায়, তারা যখন অন্য কাউকে বলে আমাকে দিয়ে হাউ কাউ ছাড়া অভিনয় হয় না। কিন্তু এই হাউ কাউ তো আপনাদের রুচি, আমার না। আমি তাদেরকে আমার অভিনয় একটাবার দেখাতে চাই। বয়সে বড় হয়েছি। অনেক বদলে গেছি। একবার সুযোগ দেন... এরপর নাহয় বিচার করলেন। আপনার মুখ থেকেই সুনামের জন্য যেভাবে অভিনয় করা লাগে করে দেখাব। চ্যালেঞ্জ! শেষ কথা—আমার আবারো বিরতি প্রয়োজন!” 

শামীম হাসান সরকারের এই ভাবনার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন নেটিজেনদের বড় একটি অংশ। মুন্সি প্রকৃতি লেখেন, “এই কথাটা ভালো লাগছে ভাই। দর্শকরা আর্টিস্টদেরকেই গালি দেয়। কিন্তু একই রকম গল্পতে অভিনয় করার পিছনে ক্যামেরার পিছনের লোকদের অবদান বেশি থাকে, এইটা কেউ বুঝতেই চায় না। আর শুধু এইটাই না একটা গল্প হিট গেলে ডাইরেক্টর রাইটারের সুনাম আর ফ্লপ হইলে আর্টিস্টের দুর্নাম।” মঞ্জিল হাসান লেখেন, “আপনাকে দিয়ে বাণিজ্যিকভাবেই ব্যতিক্রমধর্মী কাজ সম্ভব, সে প্রমাণ এর আগেও অনেক গল্পে পেয়েছি। ভালো সিদ্ধান্ত...শুভকামনা।” 

শুধু নেটিজেনরাই নন, সহশিল্পীদের অনেকে শামীম হাসানের পোস্টে মন্তব্য করেছেন। শামীম হাসানকে সতর্ক করে অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ লেখেন, “তাহলে কাজ হারানোর জন্যও প্রস্তুত থাকো। যারা তোমার আশেপাশে ঘুরত, তারা ঘোরা বন্ধ করে দেবে। তারা বিকল্প কাউকে খুঁজে নেবে। কিন্তু তারপরও গল্প, চরিত্র বদলাবে না। বিকল্প খুঁজবে আর বলবে, ‘শামীমের দিন শেষ। বা** অভিনেতা। সেটে ঝামেলা করে।’ কেউই তোমার প্রতিনিধিত্ব করবে না। কেউ ঝুঁকি নেবে না। তোমার সিদ্ধান্ত যদি এটা হয়ে থাকে, তবে এটা ঘটতে যাচ্ছে। কথাগুলো মিলিয়ে নিও ব্রো শামীম হাসান সরকার।”  

ইরফান সাজ্জাদের এ মন্তব্যের জবাবে শামীম হাসান সরকার লেখেন, “ভাই আমিও আপনার সাথে একমত। আপনি যা যা বলছেন আমিও জানি মেলানোর আগেই মিলে আছে!” পাল্টা মন্তব্যে ইরফান সাজ্জাদ লেখেন, এটাই সায়েন্স ব্রো… যার কারণে আমি নিজেই সরে গেছি।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ