Prothomalo:
2025-06-20@08:35:49 GMT

‘প্রশ্ন করতেই হবে’

Published: 5th, May 2025 GMT

সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের কারণে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা আরও দায়িত্বশীল আচরণ করতে বাধ্য হন বলে উল্লেখ করেছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, সংবাদমাধ্যমকে প্রশ্ন করতেই হবে, প্রশ্ন তুলতে হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন নিতে রাজি আছে।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে রোববার ঢাকায় ‘ব্রেভ নিউ বাংলাদেশ: রিফর্ম রোডম্যাপ ফর প্রেস ফ্রিডম’ (সাহসী নতুন বাংলাদেশ: মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য সংস্কারের পথনকশা) শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে ইউনেসকো ঢাকা অফিস, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও সুইডেন দূতাবাস। রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘আমরা ন্যূনতম কিছুই করতে চাই না সংবাদমাধ্যমকে। সংবাদমাধ্যম যতটুকু যা ইচ্ছা লেখার অধিকার রাখে। সংবাদমাধ্যমকে অবশ্যই প্রশ্ন করতে হবে।’

তবে প্রশ্নের ক্ষেত্রে জবাবদিহি করাটাই মুখ্য নাকি আরও দশটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সেখানে থাকতে পারে, তা নিয়ে ভাবা দরকার বলে মনে করেন তথ্য উপদেষ্টা।

এরপরও প্রশ্ন করার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার প্রশ্ন নিতে রাজি আছে।’

সংবাদমাধ্যমের যাঁরা নীতিনির্ধারক আছেন, যেখান থেকে সংবাদ বা মতামত তৈরি হয়, সেটাকে অবশ্যই প্রশ্ন করার সুযোগ থাকা উচিত বলেও মনে করেন মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, সংসদ সদস্যদের প্রশ্ন করা যাবে, বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করা যাবে, গোয়েন্দা সংস্থাকে প্রশ্ন করা যাবে কিন্তু সাংবাদিকদের প্রশ্ন করা যাবে না—এই জিনিসটা থাকুক, তা তিনি চান না। বিগত সরকারের সময় গণমাধ্যমগুলোর কার্যকলাপ নিয়ে ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং’ দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও পড়ুনগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কার্যকরে দরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা১৬ মিনিট আগে

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা নিয়ে সরকার বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আছে বলেও সেমিনারে উল্লেখ করেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, যে অভিযোগটি সত্য, সে মামলা হচ্ছে না, দেওয়া হচ্ছে হত্যা মামলা। এটা নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সাংবাদিকতা সুরক্ষা আইন, বাসস, বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারকে একটি সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা, বিজ্ঞাপন হার মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য করা এবং মিডিয়া তালিকা ও লাইসেন্স পুনর্মূল্যায়ন নিয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানান তথ্য উপদেষ্টা। পাশাপাশি মিথ্যা প্রচারসংখ্যা দেখিয়ে রাষ্ট্রের টাকা লুটপাটকারীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, যার (সংবাদপত্র) প্রচারসংখ্যা দুই হাজারও না, তাদের এক–দুই লাখ দেখিয়ে যাঁরা রাষ্ট্রের টাকা লুটপাট করেছেন, তাঁদের তথ্য উন্মোচন করা হবে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর ন ত সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে মাহিয়া মাহি, বললেন ‘ঠিক আছে, ধন্যবাদ, বিদায়’

বড় পর্দায় শেষ দেখা গিয়েছিল ‘রাজকুমার’ সিনেমায়। এরপর কেটে গেছে প্রায় এক বছর। আলোচিত কোনো নতুন কাজ নেই, তবে মাহিয়া মাহি কখনোই বাইরে যাননি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু থেকে। ব্যক্তিগত জীবন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব উপস্থিতি। সব মিলিয়ে তিনি ছিলেন শিরেনামে।

তবে এবার একেবারে ভিন্ন এক কারণে আলোচনায় এলো তাঁর নাম। নীরবে-নিভৃতে দেশ ছেড়েছেন এই ঢালিউড নায়িকা। গন্তব্য। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক পৌঁছে নিজের ফেসবুকে একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করেন মাহি। ক্যাপশনে মাত্র তিনটি শব্দ—‘ঠিক আছে, ধন্যবাদ, বিদায়।’ ছবির লোকেশন দেওয়া নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র। সংক্ষেপে, তবে স্পষ্টভাবে দেশ ছাড়ার বার্তাটিই যেন দিয়ে দিলেন তিনি।

তবে এই সফরের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি কিছু বলেননি। গণমাধ্যমকে শুধু জানালেন, “ভিসা পাওয়ার পর আর আসা হয়নি যুক্তরাষ্ট্রে। তাই এবার একটু সময় বের করে এলাম। বাচ্চা তো দেশে আছে, ঘুরে ফিরে আবার যাব।”

চলচ্চিত্রে মাহির যাত্রা শুরু ‘ভালোবাসার রঙ’ দিয়ে, ২০১২ সালে। এরপর একে একে উপহার দিয়েছেন ‘অগ্নি’, ‘পোড়ামন’, ‘অন্যরকম ভালোবাসা’, ‘অবতার’-এর মতো দর্শকনন্দিত চলচ্চিত্র। নিজের প্রাঞ্জল অভিনয় আর সাবলীল অভিব্যক্তির জন্য খুব দ্রুতই জায়গা করে নিয়েছেন ঢালিউডের প্রথম সারির নায়িকাদের তালিকায়।

সম্প্রতি চলচ্চিত্রে অনিয়মিত হলেও আলোচনায় ছিলেন নানা কারণেই। এবার যুক্তরাষ্ট্র সফর ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। মাহি কি তবে নতুন করে জীবন সাজাতে চলেছেন? ফের কি শুরু হবে নতুন অধ্যায়?

তবে আপাতত এসব প্রশ্নের জবাব সময়ই দেবে। নিউইয়র্কের আকাশে আপাতত একটিই লেখা—‘ঠিক আছে, ধন্যবাদ, বিদায়।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ