বগুড়া হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এস এম মিল্লাত হোসেনকে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ করেছে এনসিপি নেতাকর্মীরা। 

সোমবার (৫ মে) রাত ৮ টার দিকে শহরের শেরপুর রোডস্থ ইয়াকুবিয়া মার্কেটের তার চেম্বারে রোগী দেখার সময় এনসিপি নেতাকর্মীরা এ ঘটনা ঘটায় বলে জানা গেছে।

এস এম মিল্লাত স্বাধীনতা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক।

জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো বিকেল থেকে এসএম মিল্লাত তার চেম্বারে রোগী দেখছিলেন। রাত ৮টা নাগাদ এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় সংগঠক ডা.

আবদুল্লাহ আল সানীর নেতৃত্বে ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী চেম্বারে গিয়ে তাকে ধরে বাইরে নিয়ে আসেন। এরপর তাকে টেনেহিঁচড়ে ডিবি কার্যালয়ে সোপর্দ করা হয়। তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত থেমে থেমে মারধর করা হয়।

এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. আব্দুল্লাহ আল সানী বলেন, “মিল্লাত একজন কট্টর আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি ছাত্রলীগকে আর্থিকভাবে সহায়তা করে পুনর্বাসন করছেন। আগের বছরগুলোতে তিনি বিএনপি ও জামায়াতপন্থী হোমিও চিকিৎসকদের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছেন।”

বগুড়া ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার বলেন, “রাত সোয়া ৮ টার দিকে এনসিপির নেতা-কর্মীরা মিল্লাতকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে সোপর্দ করেছেন। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে।ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ঢাকা/এনাম/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স পর দ এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ