বন্দরে মানববন্ধন শেষে হত্যা মামলার আসামিদের বাড়িতে হামলা
Published: 6th, May 2025 GMT
বন্দরে মানববন্ধন শেষে হত্যা মামলার আসামীদের বাড়িতে হামলা ও ভাচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এস এসসি পরীক্ষার্থীসহ দুইজন আহত হয়েছে।
আহতরা হলেন, এসএসসি পরীক্ষার্থী সিমি (১৬) ও তার ছোট ভাই সোয়াইফ (১২)। গত সোমবার (৫ মে) রাতে বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সালাউদ্দিনের বোন শাহনাজ বাদী হয়ে মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহীন সহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলো বন্দর উপজেলার মুছাপুর এলাকার মোজাফফর মিয়ার ছেলে নাজির (৩৫), একই এলাকার মৃত হবু মিয়ার ২ ছেলে পারভেজ (৩২), ও মানিক (২৮) একই এলাকার পারভেজ মিয়ার ছেলে আলিফ, করিম বেপারি ছেলে জসিম কুচরিত্র এলাকার আউয়াল মিয়ার ছেলে কথিত বিএনপি নেতা শাহিন (৩২) বারপাড়া এলাকার হাবিবুর মিয়ার স্ত্রী রাশিদা বেগম (৩৫) একই এলাকার দিলুন মিয়ার ছেলে সাব্বির (২৫) একই এলাকার মুছন আলী মেয়ে মেহেরুন (২০) ও একই এলাকার আলমাছ আলী ছেলে শহীদ (৩০)।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে। গত ১ লা এপ্রিল বন্দরের বারপাড়া এলাকায় রাহিম নামের এক যুবককে চোর আখ্যা দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানায় হত্যা মামলা হয়। হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার বারপাড়া এলাকায় মানববন্ধন করেন রাহিমের পরিবার ও এলাকাবাসী । পরে মানববন্ধন শেষে বিএনপি নেতা শাহীনের নেতৃত্বে হত্যা মামলার প্রধান আসামী সালাউদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালায় মানববন্ধনকারিরা।
আহত সিমি জানান, মানববন্ধন কারিরা হামলা চালিয়ে বাড়িঘরে ব্যাপক ভাংচুর করে। এ সময় নগদ টাকা ও লুটে নেয় হামলাকারিরা। তাদের মারধরে আহত হন তিনি ও তার ছোট ভাই।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য ন র য়ণগঞ জ একই এল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিক মিলন ও হাবিবের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
নারায়ণগঞ্জে দৈনিক উজ্জীবিত বাংলাদেশের বার্তা সম্পাদক মিলন বিশ্বাস হৃদয় ও ফটো সাংবাদিক হাবিব খন্দকারের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিক সমাজ।
মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধভাবে এ কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মো. মাসুম, দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সবুজ, দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি সেলিম আহম্মেদ ডালিম, এবং ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এনামুল হক।
বক্তারা বলেন, একসময় ফ্যাসিস্ট সরকার সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করেছিল। আমরা মনে করেছিলাম ৫ আগস্টের পর সাংবাদিকরা মুক্তভাবে কাজ করতে পারবে, কিন্তু এখনো সেই চক্র সক্রিয়।
মিলন বিশ্বাস হৃদয় ও হাবিব খন্দকারের ওপর হামলা তারই ধারাবাহিকতা। এটি ছিল পরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা।
তারা আরও বলেন, সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহ কেউ থামাতে পারেনি, পারবেও না। যত হামলা-মামলাই হোক, সংবাদকর্মীরা দেশ ও জনগণের পক্ষে সত্য প্রকাশ করেই যাবে।
ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেস নারায়ণগঞ্জের সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, চ্যানেল ২৪-এর স্টাফ রিপোর্টার আহসান সাদিক, এখন টিভির জেলা প্রতিনিধি এমরান আলী সজিব, একুশে টিভির জেলা প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম, কালবেলার আরিফ হোসাইন কনক, দৈনিক দেশটিনির হারুনুর রশীদ সাগর, সিনি নিউজের বার্তা সম্পাদক জুয়েল রানা, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হাসান কচি, উজ্জীবিত বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল ওয়াহেদ, মাল্টিমিডিয়ার রিপোর্টার রাকিবুল হাসান, বিপি নিউজের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মেহেদি মঞ্জুর বকুল, ফটো সাংবাদিক আলী হোসেন টিটু, রিপন আহমেদ, খবর নারায়ণগঞ্জের সম্পাদক মশিউর রহমান, সিটি নিউজের নির্বাহী সম্পাদক সোহেল সরকার, জাগো নারায়ণগঞ্জ ২৪ ডটকমের নির্বাহী সম্পাদক রফিকউল্লাহ রিপন, ডেইলি নারায়ণগঞ্জের সম্পাদক মনির হোসেন, দৈনিক জনবাণির জেলা প্রতিনিধি জহিরুল হক, বিপি নিউজের দিপ্ত দেবনাথ, প্রতিদিনের নারায়ণগঞ্জের সাব্বির আহমেদ, এখন টিভির ভিজে আব্দুল্লাহ আল মামুন, নাগরিক টিভির রায়হান রনি এবং এশিয়ান টিভির আরিফ আলম।