যশোরের চৌগাছায় লাল আঙ্গুর চাষে প্রথমবারেই সফলতা পেয়েছে কামরুজ্জামান এপিল নামে এক কোরিয়া প্রবাসী।
তার দুই বিঘা জমির আঙ্গুর বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে লাল আঙ্গুর।
উপজেলার ১১নং সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা কামরুজ্জামান এপিল দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী। কোরিয়ার প্রবাস জীবনে এপিল স্বপ্ন দেখতেন দেশের মাটিতে আঙ্গুর চাষ করবেন।
তিনি জানান, প্রবাস থেকে ফিরে গ্রামের মাঠে নিজের দুই বিঘা জমিতে আঙ্গুর চাষ শুরু করেন। ২০২৪ সালের জুন মসে আঙুর ফলের বাইক্লো, এপোলো ও ব্লাক ম্যাজিক এই তিন জাতের চারা রোপন করেন তিনি। বর্তমানে এপিলের খেতের মাচায় থোকায় থোকায় ঝুলছে লাল রঙের আঙ্গুর। পোকা বা পাখির আক্রমণ থেকে রক্ষা এবং রং ঠিক রাখার জন্য আঙ্গুরের থোকাগুলি পলিপ্যাক দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এপিল জানান, নিয়মিত গাছের পরিচর্যা তিনি নিজেই করেন। গাছ বড় হওয়ার সাথে সাথে সিমেন্টের খুঁটি, তার, বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরি করা হয়। চলতি বছরের মার্চ মাসে ফুল আসে গাছে। এপ্রিল মাসে ফল ধরা শুরু করে। বর্তমানে গাছগুলিতে বিপুল পরিমাণ আঙ্গুর ফলে ভরে গেছে মাচাগুলি। ফল মিষ্টি হতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, “মে মাসের শেষের দিকে আঙ্গুর ফল পাকা শুরু করবে। সুস্বাদু ও মিষ্টি হবে। এই খেতের ফল যশোরের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করাও সম্ভব হবে।বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আঙ্গুরের চাষ শুরু হয়েছে। এভাবে চাষ বাড়তে থাকলে আশা করি বিদেশ থেকে আঙ্গুর ফল আনা লাগবে না। এতে আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে।”
চৌগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসাব্বির হুসাইন বলেন, “তার আঙ্গুর সিডলেস হয়েছে। আমাদের অঞ্চলে আগে থেকেই ড্রাগনসহ বিভিন্ন বিদেশি ফল চাষ হয়ে আসছে। গত বছর থেকে আঙ্গুরের চাষও শুরু হয়েছে। এভাবে চাষিরা এগিয়ে এলে আঙ্গুর চাষ আমাদের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
ঢাকা/প্রিয়ব্রত/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হ্যালো জুলাই, আছি তোমাদের পাশে : আসিফ
গণঅভ্যুত্থানের দিনগুলোতে অনলাইন-অফলাইনে যেসব সাংস্কৃতিক তারকারা সরব ভূমিকা রেখেছেন, তাদের মধ্যে সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর অন্যতম। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে তিনি শুরু থেকেই প্রকাশ করেছেন অকুণ্ঠ সংহতি।
আজ (১ জুলাই) সেই ঐতিহাসিক আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আবারও সামাজিক মাধ্যমে সরব হলেন ‘বাংলা গানের যুবরাজ’খ্যাত এই শিল্পী।
এ সংগীতশিল্পী স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “হ্যালো জুলাই। জানি তোমাদের আশ্রয় দরকার নেই, তবুও আমরা আছি তোমাদের পাশে। স্যালুট।’’
আফিস সবসময় জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধাদের প্রেরণা ও ভালোবাসা জানিয়ে আসছেন। গত বছর (২০২৪) ২৮ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে তার সঙ্গে একই ছবিতে দেখা গেছে।
সেই ছবি আসিফ ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছিলেন, “জুলাই বিপ্লবের দুই সফল অধিনায়ক এসেছিলেন ধন্যবাদ জানাতে জেন জেডের পক্ষ থেকে। তাদের সঙ্গে দেশ, সমাজ, রাজনীতির পাশাপাশি সংগীত আর মিডিয়া নিয়েও গল্প হলো। এরা যথেষ্ট জ্ঞানী এবং স্মার্ট। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ খুব স্ট্রেইটকাট ছেলে, সারজিস আলম মৃদুভাষী।”
তিনি আরও লিখেছিলেন, “আমিও তাদের আমাদের জেড ফোর্সের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়েছি। ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবে বাংলাদেশ মুক্তি পেয়েছিল দুঃসহ অবস্থা থেকে। ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লব এনে দিয়েছে আওয়ামী-বাকশালীদের খুনিতন্ত্র থেকে মুক্তি। জেড ফোর্সের নভেম্বর বিপ্লব আর জেন জেডের জুলাই বিপ্লব সমুন্নত থাকুক স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের ইতিহাসে। ভালোবাসা অবিরাম।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সফলতা আনতে কী করতে হবে সে বিষয়ে গত বছর আসিফ তার ফেসবুকে লিখেছেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আসল সফলতা আসবে ছাত্র-ছাত্রীদের সময়মতো বিয়ে করার মাধ্যমেই। আমি ২৪-২৫ বছর বয়সে বিয়ের পক্ষে। এতে সংসার শুরু করা যায় দ্রুত। তারাও বাবা-মা হতে পারে, আমরাও দাদা-নানা হতে পারি সুন্দর সময়ে। কবে স্টাডি শেষ হবে, তারপর প্রতিষ্ঠা পাবে, তারপর টাকা জমিয়ে বিয়ে করতে হবে! এর মধ্যে চলে যাবে যৌবনের সুন্দর সময়।”
তিনি আরও লিখেছিলেন, “দুঃখজনক হলেও সত্য, ছাত্র আন্দেলেনের বাঘা বাঘা নেতা এবং তাদের সহকর্মীরা এখনো ব্যাচেলর। অথচ আমি ওই বয়সে দুই ছেলের বাবা হয়েছি। তাদের উচিত রাষ্ট্র ব্যবস্থায় তরুণদের বিয়ের জন্য একটা পদ্ধতি তৈরি করা।”
ঢাকা/রাহাত//