বন্দরে ভ্রাম্যমান আদালতে মাদক সেবীর কারাদন্ড
Published: 7th, May 2025 GMT
বন্দরে প্রকাশ্যে মাদক সেবনের অপরাধে শ্রী অমির্ত কর্মকার (২৮) নামে এক মাদক সেবীকে ৫ দিনের বিনাশ্রম সাঁজা প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
সাঁজাপ্রাপ্ত মাদক সেবী শ্রী অমির্ত কর্মকার সুদূর গাইবান্ধা জেলার সাহাঘাটা থানার চকরিয়া কর্মকার পাড়া এলাকার শ্রী অদির্ত কর্মকারের ছেলে। বর্তমানে সে বন্দর উপজেলার বারপাড়া এলাকার জনৈক সুজন মিয়ার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে।
সাঁজাপ্রাপ্ত আসামিকে বুধবার (৬ মে) দুপুরে ভ্রামমান আদালতের মামলায় তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এ সাঁজা প্রদান করেন।
জানা গেছে, মাদক কারবারি অমির্ত কর্মকার দীর্ঘ দিন ধরে বন্দর উপজেলা মুছাপুর ইউনিয়নের বারপাড়া এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি ও সেবন করে আসছিল।
গত মঙ্গলবার বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত বারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক সেবনের অপরাধে উল্লেখিত মাদক সেবীকে ৫ দিনের বিনাশ্রম সাঁজাপ্রদান করেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ঋত্বিকের বাড়ি যেন ‘মেঘে ঢাকা তারা’
বরেণ্য চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার এক বছর পার হয়েছে। একসময়ের ঐতিহ্যবাহী বাড়িটি এখন কেবলই ইটের স্তূপ আর আগাছায় ভরা এক ধ্বংসস্তূপ। স্মৃতিচিহ্ন বলতে টিকে আছে ভাঙা ইটের পাঁজা আর কয়েকটি ভাঙা দেয়াল, যেখানে গত বছর আঁকা হয়েছিল ঋত্বিকের একটি পোর্ট্রেট। সেই দেয়ালই যেন নির্বাক হয়ে জানান দিচ্ছে এক সাংস্কৃতিক অবহেলার করুণ ইতিহাস।
গতকাল রোববার ঋত্বিকের পৈতৃক ভিটায় গিয়ে দেখা যায়, খসে পড়া দেয়ালে ‘বাড়ী থেকে পালিয়ে’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘অযান্ত্রিক’-এর মতো সিনেমার নাম ও চিত্রকর্ম আঁকা। এর মাঝে মোটা ফ্রেমের চশমা চোখে ছোট চুলের ঋত্বিক ঘটক যেন তাকিয়ে আছেন তাঁরই বাড়ির ধ্বংসাবশেষের দিকে।
অথচ এই বাড়ির সূত্রেই বহু মানুষ রাজশাহীকে চিনেছেন। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ঋত্বিকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’ দেখার স্মৃতিচারণায় একবার বলেছিলেন, ‘সেই সিনেমা দেখার মুগ্ধতা বুকের মধ্যে মধুর মতো জমে আছে।’ কালের পরিক্রমায় ঋত্বিকের সেই বাড়িই আজ ‘মেঘে ঢাকা তারা’ হয়ে গেছে। স্মৃতি আছে, কিন্তু অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। রাজশাহীর চলচ্চিত্রকর্মীরা চান, এই ধ্বংসস্তূপের ওপরই ঋত্বিকের স্মৃতি সংরক্ষণে টেকসই কোনো উদ্যোগ নেওয়া হোক।
ঋত্বিক ঘটক