অপরাধ-প্রতিশোধের গল্পে তাদের ‘ফ্যাঁকড়া’ আসছে কাল
Published: 7th, May 2025 GMT
গত বছরের আগস্টে সারাদেশে যখন রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তাল, সেই সময় দেশের শোবিজ ইন্ডাস্ট্রিও হয়ে পড়েছিল স্থবির। ওই সময় ওয়েব সিরিজ ‘ফ্যাঁকড়া’ নির্মাণ করেন আসিফ চৌধুরী। এবার মুক্তির পালা।
সিরিজটি মুক্তি উপলক্ষে আজ রাত ৮টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল (৮ মে) বঙ্গতে মুক্তি পাবে টানটান উত্তেজনায় ভরপুর নতুন সিরিজটি।
নির্মাতা আসিফ চৌধুরী বলেন, “আমাদের ‘ফ্যাঁকড়া’ সিরিজ শুধু একটি থ্রিলার নয়, এটি এক যন্ত্রণাময় ও মানবিক গল্প, যেখানে আছে ভালোবাসা, আত্মত্যাগ, প্রতিশোধ এবং অপরাধজগতের গল্প।”
অভিনেত্রী নিদ্র দে নেহার কথায়, ‘ওয়েব সিরিজটির গল্প অসাধারণ। এখানে আমার নাম গোলাপী। বলা যায়, এই নামটি শুনেই সিরিজটিতে অভিনয়ের জন্য রাজি হয়েছি। প্রেমের জন্য অপরাধ এবং ভুলের পরণতি, সেখানে কতগুলো মানুষ জড়িয়ে পড়ে সেই গল্প পর্দায় দেখাবেন নির্মাতা। অবশেষে সিরিজটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে ভেবে ভালোই লাগছে। চেষ্টা করেছি গোলাপী চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে। কতটুকু পেরেছি, দর্শক তা ভালো বলতে পারবেন।’
মূলত, এখানে প্রেমিকা গোলাপিকে পেতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন সামাদের। সেই অর্থ জোগাড় করতে বন্ধুদের সহায়তা চায় সে। একসময় সবাই মিলে ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। ছিনতাই করার সময় ভুলবশত খুন হয়ে যায় এক নারী। সব ওলটপালট হয়ে যায়। প্রতিশোধ নিতে তাদের পিছু নেয় সেই নারীর স্বামী। পুলিশও খুঁজতে থাকে তাদের- এমন গল্পে এগিয়ে যাবে সিরিজটি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিরিজে অভিনয় করা শ্যামল মাওলা, নিশাত প্রিয়ম, সারা আলম, পার্থ শেখ, নিদ্রা দে নেহা, মীর রাব্বি, আবদুল্লাহ আল সেন্টু, হাশনাত রিপন, এ কে আজাদ সেতুসহ আরও অনেকে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স র জট
এছাড়াও পড়ুন:
এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সকে বাসের ধাক্কা, বাবা, ভাই-বোনসহ নিহত ৪
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের নিমতলায় দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়েছে যাত্রীবাহী একটি বাস। এতে একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে একজন নারী নিহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সিরাজদীখান উপজেলার নিমতলা তালুকদার পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তিনজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালটির পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক। তিনি জানান, নিহতদের মধ্যে একজন নারী রয়েছেন। তার নাম আফসানা (২০)। অপর নিহতরা হলেন তার বাবা সামাদ ফকির (৬০) ও ভাই হাফেজ বিল্লাল (৪০)। তাদের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ তুতখালী গ্রামে। অ্যাম্বুলেন্সের চালকও দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। তার নাম মাহাবুব সরদার (২৮)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ঢাকাগামী একটি অ্যাম্বুলেন্সের চাকা পাংচার হয়ে যায়। নিমতলা তালুকদার পাম্পের সামনে চাকা সচল করার জন্য অ্যাম্বুলেন্সটি থামানো ছিল। পেছন থেকে ঢাকাগামী গোল্ডেন পরিবহন যাত্রীবাহী বাসটি অ্যাম্বুলেন্সের পেছনে ধাক্কা দেয়।
এতে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে ৩৫ বছর বয়সী এক নারী ঘটনাস্থলে মারা যান। এ সময় আহত হন দুই নারী ও তিন পুরুষ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে মারা যান আরও তিনজন। তারা হলেন সামাদ ফকির, হাফেজ বিল্লাল ও আফসানা।
হাসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী জানান, নিহত নারীর লাশ উদ্ধার করে হাসারা হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। আহত পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সটির তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ধারণা করছি, অ্যাম্বুলেন্সটির যাত্রীরা পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বাসটি ওই সময় অ্যাম্বুলেন্সের পেছনে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটি থানায় জব্দ করা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।