কবিগুরুর চিন্তামালা জাতির মনন নির্মাণে সহায়ক হবে: রবি উপাচার্য
Published: 8th, May 2025 GMT
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তামালা গোটা জাতির মনন নির্মাণে সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করেছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) উপাচার্য অধ্যাপক এসএম হাসান তালুকদার।
তিনি বলেছেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকর্মে যে চিন্তা, দর্শন ও সৌন্দর্য সৃজিত হয়েছে, তা একদিকে যেমন বিশ্বসাহিত্যের অমূল্য সম্পদ অন্যদিকে বিশ্ব শান্তির প্রেরণা। এমন একজন মহামানবের নামে যে বিশ্বিবিদ্যালয় নির্মিত হয়েছে, তার শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার অনেক দায়িত্ব রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তামালার নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে এবং সেটা গোটা জাতির মনন নির্মাণে সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি।”
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন ৩-এ স্থাপিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
আরো পড়ুন:
রবীন্দ্রনাথের ‘মুক্তধারা’, বৈশ্বিক জল-রাজনীতি ও অন্যান্য প্রসঙ্গ
অবশেষে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প অনুমোদন
তিনি বলেন, “বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের জন্য ২৭ ও ২৮ মে অনুষ্ঠিতব্য ‘রবীন্দ্র জন্মোৎসব’-এ যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়, স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন। এ অনুষ্ঠান সফল করতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.
এর আগে, পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন শেষে বিশ্বকবির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন। এরপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করা হয়।
ঢাকা/হাবিবুর/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।
নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।