কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তামালা গোটা জাতির মনন নির্মাণে সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করেছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) উপাচার্য অধ্যাপক এসএম হাসান তালুকদার।

তিনি বলেছেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকর্মে যে চিন্তা, দর্শন ও সৌন্দর্য সৃজিত হয়েছে, তা একদিকে যেমন বিশ্বসাহিত্যের অমূল্য সম্পদ অন্যদিকে বিশ্ব শান্তির প্রেরণা। এমন একজন মহামানবের নামে যে বিশ্বিবিদ্যালয় নির্মিত হয়েছে, তার শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার অনেক দায়িত্ব রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তামালার নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে এবং সেটা গোটা জাতির মনন নির্মাণে সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি।”

বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন ৩-এ স্থাপিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

আরো পড়ুন:

রবীন্দ্রনাথের ‘মুক্তধারা’, বৈশ্বিক জল-রাজনীতি ও অন্যান্য প্রসঙ্গ 

অবশেষে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প অনুমোদন

তিনি বলেন, “বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের জন্য ২৭ ও ২৮ মে অনুষ্ঠিতব্য ‘রবীন্দ্র জন্মোৎসব’-এ যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়, স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন। এ অনুষ্ঠান সফল করতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.

সুমন কান্তি বড়ুয়া, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমদসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, ও কর্মচারীবৃন্দ।

এর আগে, পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন শেষে বিশ্বকবির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন। এরপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করা হয়।

ঢাকা/হাবিবুর/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর রব ন দ র

এছাড়াও পড়ুন:

৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভারতীয় জলসীমায় গ্রেপ্তার ১৩ বাংলাদেশি

মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে আবারো ভারতীয় জলসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক করা হয়েছে বাংলাদেশি ট্রলার। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মায়ের দোয়া নামক ওই ট্রলারে মোট ১৩ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি বাংলাদেশি ওই ফিশিং ট্রলারটি বাজেয়াপ্ত করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী।

উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের আটক এর ব্যাপারে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বাজেয়াপ্ত ট্রলার ও ১৩ জন মৎস্যজীবীকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার হাতে ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতে তোলা হবে। 

আরো পড়ুন:

জলবায়ু পরিবর্তনে বদলাচ্ছে রোগের চিত্র, বাড়ছে বিরল সংক্রমণ 

অজিতের পারিশ্রমিক ২৪১ কোটি টাকা!

এর আগে গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে জলসীমা অতিক্রম করার অভিযোগে আটক করা হয় ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবিকে। ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল  বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। 

প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি ‘এফবি ঝড়’ এবং ‘এফবি মঙ্গলচণ্ডী ৩৮’ নামে দুটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলারের ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। পরবর্তীতে মোংলা থানার পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। পাল্টাপাল্টি মৎস্যজীবী আটকের ঘটনায় দুই দেশের তরফেই ফের কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। তবে মৎসজীবীদের প্রত্যর্পণের বিষয়ে দুই দেশের এখনো কোনোপ্রকার আলোচনা শুরু হয়নি বলেই দূতাবাস সূত্রের খবর।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ