সাজানো ভাবমূর্তির পেছনে লুকিয়ে থাকা সত্য
Published: 9th, May 2025 GMT
১৫ মে মুক্তি পাচ্ছে চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘গুলমোহর’। সৈয়দ আহমেদ শাওকী পরিচালিত সিরিজটির ট্রেলার প্রকাশ পেয়েছে ৮ মে রাতে। যা দেখে ধারণা করা যাচ্ছে, পিতার মৃত্যুর পর নানা রকম দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে উত্তরাধিকারেরা। অপহরণের ঘটনাও আঁচ করা যায়। আর কিছু সংলাপে রাজনীতির বিষয়টি স্পষ্টই। এমন নানা কিছুর মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে উঠে আসতে থাকে সেই পরিবারের সাজানো ভাবমূর্তির পেছনে লুকিয়ে থাকা বিস্ময়কর সব সত্য।
‘তাকদীর’ ও ‘কারাগার’–এর পর শাওকী তাঁর তৃতীয় সিরিজে একটি পারিবারের গল্প নিয়ে এগিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তাতে রেখেছেন সংঘাত ও রহস্য। ‘গুলমোহর’–এর গল্প, সংলাপ, চিত্রনাট্য লেখায় নির্মাতার সঙ্গে আছেন মারুফ প্রতীক। দুজন মিলে পরিবারের যে গল্প লিখেছেন, তা কেন অন্য পারিবারিক গল্পের চেয়ে আলাদা?
‘গুলমোহর’ সিরিজের দৃশ্য। চরকির সৌজন্যে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল
২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার
সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।
কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।