বন্দরে ২৫৯০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
Published: 12th, May 2025 GMT
বন্দরে বিশেষ অভিযানে ২ হাজার ৫৯০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ চট্রগ্রামের মাদক কারবারি আরিফ বিল্লাহ (৪৪)কে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি।
গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ী আরিফ বিল্লাহ সুদূর চট্রগ্রাম জেলার মিরসরাই থানার মগাদিয়া এলাকার মৃত সৈয়দ আহাম্মেদের ছেলে। সে দীর্ঘ দিন ধরে বন্দর উপজেলার হেদায়েতপাড়া এলাকার জনৈক শামছুল হকের ১তলা বিল্ডিংএ দীর্ঘ দিন ধরে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে।
ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারের ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা শাখা উপ পরিদর্শক মোঃ সোহেল মিয়া বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত মাদক কারবারি বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করেছে। যার মামলা নং- ১৩(৫)২৫।
গ্রেপ্তারকৃতকে সোমবার (১২ মে) দুপুরে মাদক মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে সংশ্লিষ্ট পুলিশ। এর আগে গত রোববার (১১ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায়
বন্দর উপজেলার হেদায়েতপাড়া এলাকার জনৈক শামছুল হকের ১তলা বিল্ডিং এর একটি রুমে তল্লাশি চালিয়ে সানসেট থেকে উক্ত ইয়াবাসহ ওই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ী আরিফ বিল্লাহ দীর্ঘ দিন ধরে ইয়াবা বিক্রি করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ঋত্বিকের বাড়ি যেন ‘মেঘে ঢাকা তারা’
বরেণ্য চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার এক বছর পার হয়েছে। একসময়ের ঐতিহ্যবাহী বাড়িটি এখন কেবলই ইটের স্তূপ আর আগাছায় ভরা এক ধ্বংসস্তূপ। স্মৃতিচিহ্ন বলতে টিকে আছে ভাঙা ইটের পাঁজা আর কয়েকটি ভাঙা দেয়াল, যেখানে গত বছর আঁকা হয়েছিল ঋত্বিকের একটি পোর্ট্রেট। সেই দেয়ালই যেন নির্বাক হয়ে জানান দিচ্ছে এক সাংস্কৃতিক অবহেলার করুণ ইতিহাস।
গতকাল রোববার ঋত্বিকের পৈতৃক ভিটায় গিয়ে দেখা যায়, খসে পড়া দেয়ালে ‘বাড়ী থেকে পালিয়ে’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘অযান্ত্রিক’-এর মতো সিনেমার নাম ও চিত্রকর্ম আঁকা। এর মাঝে মোটা ফ্রেমের চশমা চোখে ছোট চুলের ঋত্বিক ঘটক যেন তাকিয়ে আছেন তাঁরই বাড়ির ধ্বংসাবশেষের দিকে।
অথচ এই বাড়ির সূত্রেই বহু মানুষ রাজশাহীকে চিনেছেন। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ঋত্বিকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’ দেখার স্মৃতিচারণায় একবার বলেছিলেন, ‘সেই সিনেমা দেখার মুগ্ধতা বুকের মধ্যে মধুর মতো জমে আছে।’ কালের পরিক্রমায় ঋত্বিকের সেই বাড়িই আজ ‘মেঘে ঢাকা তারা’ হয়ে গেছে। স্মৃতি আছে, কিন্তু অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। রাজশাহীর চলচ্চিত্রকর্মীরা চান, এই ধ্বংসস্তূপের ওপরই ঋত্বিকের স্মৃতি সংরক্ষণে টেকসই কোনো উদ্যোগ নেওয়া হোক।
ঋত্বিক ঘটক