বন্দরে তিতাসের অভিযানে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
Published: 12th, May 2025 GMT
বন্দরে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের শনাক্তকরনসহ উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন। ওই সময় ১০/১৫ টি দোকানসহ আবাসিক বাড়িতে আনুমানিক ১২০ ফুট বিতরণ লাইনের ৫টি দ্বিমুখী চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ ৩৫০ ফুট পাইপ অপসারণ পূর্বক জব্দ করাসহ ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
সোমবার (১২মে) বন্দর উপজেলার মদনপুর এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান কালে ওই সময় উপস্থিত ছিলেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন এক্সিকিউটিভ ম্যানাজার মিল্টন রায়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সহকারি সচিব জাইন আমির খান, তিতাস গ্যাস বন্দর ম্যানেজার মোঃ সাইফুল ইসলাম ও বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ তদন্ত শাহ আলম রনিসহ তিতাস কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য যে, সেপ্টেম্বর ২০২৪ হতে গত ২২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ২৪৩টি শিল্প, ১৬২টি বাণিজ্যিক ও ৩১,৬৪২টি আবাসিকসহ মোট ৩২,০৪৭টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ৭২,০০৮টি বার্নার বিচ্ছিন্ন সহ উক্ত অভিযানসমূহে ১৫১ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
মেসির জোড়া গোলে জিতলো মায়ামি
প্রথমার্ধে ভুলে ভরা এক শুরু। তারপর ধীরে ধীরে নিজের চেনা রূপে ফিরে এলেন লিওনেল মেসি। আর মেসি ফিরতেই যেন ইন্টার মায়ামিও ফিরে পেল তার হারিয়ে যাওয়া ছন্দ। মন্ট্রিয়েলের মাঠে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়া দলটি পরে রীতিমতো ঝড় তুলে প্রতিপক্ষের জালে এক হালি বল পাঠাল। স্থানীয় সময় রোববার রাতে সাপুতো স্টেডিয়ামে তারা ম্যাচ জিতেছে ৪-১ ব্যবধানে।
প্রথমে ভুল, পরে ভুলভাঙা; মেসির এই দ্বৈত অধ্যায়েই লেখা হলো ইন্টার মায়ামির দারুণ প্রত্যাবর্তনের কাহিনি। ম্যাচের ১৩ মিনিটে এক অপ্রত্যাশিত ব্যাকপাস থেকে গোল খেয়ে বসে মায়ামি। সেই সুযোগ কাজে লাগান মন্ট্রিয়েলের ঘানার ফরোয়ার্ড প্রিন্স ওইউসু। গোটা ডাগআউট তখন হতাশায় ডুবলেও মেসির চোখে তখন শুধুই প্রতিশোধের ঝিলিক।
৩৩ মিনিটে মেসির নিখুঁত পাস থেকে গোল করে সমতা ফেরান তাদেও আলেন্দে। এর ঠিক সাত মিনিট পর ডি-বক্সে বল পেয়ে বাঁ পায়ের বাকানো শটে মেসি নিজেই দলকে এগিয়ে দেন। পেছনে ছিলেন পুরনো সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ। যার পাস থেকে গোলের পথ রচনা হয়।
আরো পড়ুন:
চার বছরের অপেক্ষার অবসান: বার্সার কাছ থেকে বকেয়া পাচ্ছেন মেসি
মেসি যাদুতে মায়ামির দারুণ জয়
বিরতির পর যেন আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে মায়ামি। ম্যাচের ৬০ মিনিটে আলেন্দের পাস থেকে সেগোভিয়া গোল করে ব্যবধান ৩-১ করেন। এর এক মিনিট পর মঞ্চায়িত হয় পুরো ম্যাচের সবচেয়ে আলোড়ন তোলা মুহূর্তটি। একক নৈপুণ্যে প্রতিপক্ষের পাঁচ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে অসাধারণ ফিনিশিংয়ে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের চতুর্থ গোলটি করেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। গোলটি ছিল কেবল একটি স্কোর নয়, বরং তা ছিল একটা বার্তা; মেসি এখনো থেমে যাননি, ফুরিয়ে যাননি, থামার মতোও কিছু ভাবছেন না।
ম্যাচজুড়ে মায়ামি বল দখলে এগিয়ে ছিল (৫৮%) এবং তাদের নেয়া ১৫ শটের ১০টিই ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে মন্ট্রিয়েলও কম লড়েনি। তারা নেয় ১৩টি শট, যার মধ্যে ৮টি ছিল অন টার্গেট। কিন্তু শেষ হাসি হেসেছে সেই দলই, যাদের দলে খেলেন মেসি।
এই জয়ে মায়ামির সংগ্রহ দাঁড়াল ১৭ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট। এমএলএস ইস্টার্ন কনফারেন্সে তারা উঠে এসেছে ষষ্ঠ স্থানে। শীর্ষে আছে ২১ ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট পাওয়া সিনসিনাটি।
ঢাকা/আমিনুল