এনবিআর বিলুপ্তিতে কর্মকর্তাদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই: অর্থ উপদেষ্টা
Published: 13th, May 2025 GMT
এনবিআর বিলুপ্ত হয়ে দুটি বিভাগ গঠিত হলেও প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের দুশ্চিন্তার কারণ নেই। সব দেশেই এমন আলাদা বিভাগ থাকে। এনবিআরের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করেই করা হয়েছে। রাজস্ব আদায়ে এর প্রভাব পড়বে না।
আজ মঙ্গলবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রাজস্ব আদায়ে প্রভাব পড়বে না। এখন পর্যন্ত রাজস্ব আদায় গত বারের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি হয়েছে। খুব হতাশাব্যাঞ্জক নয়, আমরা আরও প্রত্যাশা করছি। অন্তত গত বারের তুলনায় কম হবে না।’
আগামী বাজেট সম্পর্কে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘বাজেটে বড় ঘাটতি থাকবে না। প্রকল্প, এডিপি বাস্তবায়ন-এসব করা হবে বাস্তবতার ভিত্তিতে। ব্যাংক থেকে ধার করে, টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করা হবে না। কিছুটা তো ঘাটতি থাকবে। সেটা পূরণ করতে আমরা আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে কথা বলেছি, সে ক্ষেত্রে আমরা মোটামুটি সফল’।
সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, বিশ্বের সব দেশেই রাজস্ব নীতি ও বাস্তবায়ন বিভাগ পৃথক। যাঁরা নীতি প্রণয়ন করবেন, তাঁদের পেশাদার হতে হবে; অর্থাৎ দেশের জিডিপি, অর্থনীতি, পরিসংখ্যান-এসব বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে। যাঁরা নীতি প্রণয়ন করবেন, তাঁরা আবার রাজস্ব সংগ্রহও করবেন, তা হতে পারে না।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআরকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। গত রাতে এ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। সংস্থাটি ভেঙে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুটি বিভাগ সৃষ্টি করা হয়েছে। বিসিএস আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডার কর্মকর্তাদের মতামত উপেক্ষা করেই বহুল আলোচিত ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ’ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ নিয়ে এনবিআরের কর্মকর্তাদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে সালেহউদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ল হউদ দ ন আহম দ র কর মকর ত দ র উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষার্থীর বিকাশে শিক্ষকের বিকল্প নেই : উপদেষ্টা
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, ‘‘ছাত্র ও শিক্ষকের সম্পর্ক বাবা-মায়ের চেয়েও ঘনিষ্ঠ হওয়া উচিত। একজন শিক্ষার্থীর বিকাশে শিক্ষকের বিকল্প নেই।’’
মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেলে নাটোর জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘‘শিশুরা কতটুকু পড়াশোনা করছে এবং তারা স্কুল থেকে কতটা সুবিধা পাচ্ছে— তা নিশ্চিত করতে হবে। শুধু নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া যায় না, বরং সামগ্রিক আচরণগত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে।’’
আরো পড়ুন:
কুয়েটের শিক্ষক লাঞ্ছনাকারী ৩৭ শিক্ষার্থীকে শোকজ
ইবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে থানায় সোপর্দ
উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আমাদের সন্তানরা আক্ষরিক অর্থে বেশি শিক্ষিত হচ্ছে, কিন্তু তারা যদি ভাবার্থ অনুধাবন না করতে পারে, তবে প্রকৃত শিক্ষা অর্জিত হচ্ছে না। অনেক সময় দেখা যায়, একজন শিক্ষার্থী লিখতে পারলেও সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে পারে না।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হলেন শিক্ষক নেতৃত্বের প্রতীক। একটি প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের মান ও পরিবেশ তার ওপর নির্ভর করে। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিক শিক্ষার বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ঘটাতে হবে। সব ধরনের শিক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে, তাহলেই আমাদের সন্তানেরা পূর্ণ বিকশিত হবে।’’
উপদেষ্টা আরো উল্লেখ করেন, ‘‘একজন শিক্ষার্থীকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে একজন শিক্ষকের ভূমিকা অপরিসীম। একজন প্রধান শিক্ষক পুরো প্রতিষ্ঠানকে পরিচালনা করেন এবং তিনিই একটি স্কুলকে আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পারেন।’’
সভায় সভাপতিত্ব করেন নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন। উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মোহাম্মদ মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, নাটোর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন।
ঢাকা/আরিফুল/বকুল