অনৈতিক প্রস্তাবের অপবাদ দিয়ে বৃদ্ধকে মারধরের অভিযোগ
Published: 14th, May 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে অনৈতিক প্রস্তাবের অপবাদ দিয়ে উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক এক বৃদ্ধকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃদ্ধকে মোটরসাইকেলে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীর ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যান শ্রমিক দল নেতা ও তাঁর সহযোগী।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার ঘটনা তদন্তে মাঠে নামে পুলিশ। তদন্তের বিষয়ে জানতে পেরে অভিযুক্ত শ্রমিক দল নেতা রনি বেপারী তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নিতে ভুক্তভোগী ইসমাইল খানকে (৭০) হুমকি দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। রনি টঙ্গিবাড়ীর ধীপুর ইউনিয়নের মৃত হায়দার আলী বেপারীর ছেলে।
থানা দেওয়া অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত রোববার উপজেলার ধীপুর ইউনিয়নের এক গৃহবধূ ইসমাইলের কাছে তিন হাজার টাকা ধার চান। তাঁকে টাকা ধার না দেওয়ায় তিনি স্থানীয় বাসিন্দা জুবায়ের ও শ্রমিক দল নেতা রনির কাছে অভিযোগ করেন ইসমাইল তাঁকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছেন। এতে তারা ইসমাইলকে মারধর করেন। এ সময় ইসমাইলকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে প্রতিবেশী আলমগীর ও দিলা মিয়াকেও মারধর করেন তারা। মারধরের পর ইসমাইলকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীর ধাওয়ায় রনি ও জুবায়ের পালিয়ে যান। পরে এলাকাবাসী ইসমাইলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত ইসমাইল খান বলেন, ওই গৃহবধূ প্রায়ই তাদের বাড়িতে এসে সবজি নিয়ে যেতেন। কখনও টাকা দিতেন, কখনও দিতেন না। গত রোববার তাঁর কাছে তিন হাজার টাকা ধার চাইলে তিনি টাকা না দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে অনৈতিক প্রস্তাবের অপবাদ দেন এবং তাঁর আত্মীয়-স্বজনকে দিয়ে তাঁকে মারধর করান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রনি বেপারী বলেন, এক নারীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার কথা শুনে এলাকার ছেলেপেলে ইসমাইলকে মারধর করেছে। তিনি মারধর করেননি।
টঙ্গিবাড়ী থানার ওসি মহিদুল ইসলাম বলেন, মারধরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম রধর
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’