নড়াইলে হত্যা মামলায় নারীসহ ৩ আসামির যাবজ্জীবন
Published: 14th, May 2025 GMT
নড়াইলের লোহাগড়ায় মুসা খন্দকার নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
বুধবার (১৪ মে) নড়াইলের অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ এলিনা আক্তার মামলার রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- লোহাগড়া উপজেলার চর-দিঘলিয়া গ্রামের সাম খন্দকারের ছেলে জাফর খন্দকার, আলেক মোল্যার ছেলে আকরাম মোল্যা ও বাহারউদ্দীনের স্ত্রী লাইচ বেগম ওরফে লাইছন।
আরো পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে অটোরিকশাচালককে হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আসামিরা ২০১১ সালের ২৪ এপ্রিল তাদের প্রতিবেশী মুসা খন্দকারকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বিল্লাল খন্দকার বাদী হয়ে তিনজনের নামে লোহাগড়া থানায় মামলা করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আজ বিচারক রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি জানিয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট উত্তম ঘোষ জানান, দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
ঢাকা/শরিফুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আস ম
এছাড়াও পড়ুন:
শাহরিয়ার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মশালমিছিল, উপাচার্য–প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এস এম শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে মশালমিছিল করেছে ‘সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’। বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত মিছিলটি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা ‘তুমি কে আমি কে? সাম্য সাম্য; ক্যাম্পাসে লাশ পড়ে, প্রশাসন কী করে?’ স্লোগান দেন।
এ সময় সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে উপস্থিত ছিলেন সাম্যের সহপাঠী ও ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা। মিছিলে বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠনের নেতা–কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘একটা লাশ দেখলাম তোফাজ্জলের। যে তোফাজ্জলের মৃত্যু হলো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে। একটা লাশ দেখলাম গাছে ঝুলন্ত অবস্থায়। একটা লাশ দেখলাম গতকাল রাতে। আমাদের ক্যাম্পাসের, আমাদের বড় ভাই সাম্যের লাশ। তাঁকে হত্যা করল বাইরের কিছু উগ্র সন্ত্রাসী মানুষ।’
প্রশাসন গত রাতে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের পরেও আজ স্বাভাবিকভাবে শ্রেণিকক্ষে কার্যক্রম চালিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি পরীক্ষা কার্যক্রম এমনকি তাদের যে নিয়মিত খেলাধুলার কার্যক্রম, সেটি পর্যন্ত চালিয়ে গেছে।’
স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন শাহরিয়ার। তাঁর সহপাঠী আবিদুর রহমান মিশু ছাত্রদলের মাস্টারদা সূর্য সেন হল শাখার সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক। মশালমিছিলে অংশ নেওয়া আবিদুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাসিনামার্কা শোক দিবস ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলাম।’ সংক্ষিপ্ত এই সমাবেশে আর কেউ বক্তব্য দেননি।
আরও পড়ুনশাহরিয়ার হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিলেন প্রত্যক্ষদর্শী বন্ধু৩ ঘণ্টা আগেমশালমিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে দিয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদ হয়ে ভিসি চত্বরে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়।