Prothomalo:
2025-05-15@23:22:57 GMT

কারপাল টানেল সিনড্রোম

Published: 15th, May 2025 GMT

কারপাল টানেল সিনড্রোম একটি স্নায়বিক সমস্যা। আমাদের কবজির মধ্য দিয়ে যাওয়া ‘মিডিয়ান নার্ভ’-এর ওপর চাপ পড়লে এই সমস্যা দেখা দেয়। হাতের মিডিয়ান নার্ভ হাতের তালু, আঙুল ও আরও কিছু অংশের অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। এই নার্ভ যদি কবজির সরু ‘কারপাল টানেল’ নামক পথের মধ্যে কোনো কারণে চাপে পড়ে, তখন হাতে ব্যথা, অবশভাব বা ঝিঁঝি ধরার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।

কেন হয়

আগেই বলা হলো যে মিডিয়ান নার্ভে অতিরিক্ত চাপ পড়াই এ রোগের কারণ। এই চাপ নানাভাবে সৃষ্টি হতে পারে। যেমন বারবার একই ধরনের কাজ করা, যেমন দীর্ঘ সময় ধরে টাইপ করা, মাউস ব্যবহার করা বা হাতের কবজিকে একইভাবে বারবার নাড়ানো। কবজিতে কোনো আঘাত বা প্রদাহ।

গর্ভাবস্থায় হরমোনজনিত পরিবর্তনের কারণে নার্ভের চারপাশে পানি জমে এই রোগ হতে পারে। ডায়াবেটিস, হাইপোথাইরয়েডিজম, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি যাঁদের আছে, তাঁদের এই সমস্যা বেশি হতে দেখা যায়। তবে কিছু মানুষ স্বাভাবিকভাবেই সরু কারপাল টানেল নিয়ে জন্মায়।

কীভাবে বুঝবেন

হাত ও আঙুলে অবশভাব বা ঝিঁঝি ধরা (বিশেষ করে বৃদ্ধাঙ্গুল, তর্জনী ও মধ্যমা আঙুলে)। কবজিতে ব্যথা, যা কনুই বা কাঁধ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। কোনো জিনিস ধরতে অসুবিধা বা হাত থেকে পড়ে যাওয়া। রাতে বা ঘুমের মধ্যে এই উপসর্গগুলো বাড়ে।

প্রতিকার কী

কারপাল টানেল সিনড্রোম দেখা দিলে প্রথম দিকে যদি চিকিৎসা নেওয়া না হয়, তাহলে সমস্যাটি গুরুতর হতে পারে। কিছু সাধারণ প্রতিকার নিচে দেওয়া হলো—

হাতের বিশ্রাম: যেসব কাজ হাতের ওপর চাপ ফেলে, তা এড়িয়ে চলা বা কমিয়ে দেওয়া। যেমন খুন্তি নাড়া, টাইপ করা ইত্যাদি।

স্প্লিন্ট ব্যবহার: স্প্লিন্টের ব্যবহার কবজি সোজা রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে রাতে এটির ব্যবহার বেশ কাজে দেয়।

ঠান্ডা সেঁক: প্রদাহ বা ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।

ব্যায়াম: কবজির হালকা ব্যায়াম স্নায়ুর ওপর চাপ কমাতে সাহায্য করে।

ওষুধ: ব্যথা কমাতে আইবুপ্রোফেন বা অন্য অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধ ব্যবহার করা যায়।

স্টেরয়েড ইনজেকশন: প্রদাহ কমাতে ইনজেকশন স্টেরয়েড দেওয়া যেতে পারে।

সার্জারি: যদি অন্যান্য চিকিৎসায় উপকার না হয়, তবে কারপাল টানেল রিলিজ নামক অস্ত্রোপচার করা হয়।

কারপাল টানেল সিনড্রোম খুবই পরিচিত একটি সমস্যা। সঠিক সময়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

ডা.

মো. মেহেদী হাসান, অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ও ট্রমা সার্জন, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর)

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

কারপাল টানেল সিনড্রোম

কারপাল টানেল সিনড্রোম একটি স্নায়বিক সমস্যা। আমাদের কবজির মধ্য দিয়ে যাওয়া ‘মিডিয়ান নার্ভ’-এর ওপর চাপ পড়লে এই সমস্যা দেখা দেয়। হাতের মিডিয়ান নার্ভ হাতের তালু, আঙুল ও আরও কিছু অংশের অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। এই নার্ভ যদি কবজির সরু ‘কারপাল টানেল’ নামক পথের মধ্যে কোনো কারণে চাপে পড়ে, তখন হাতে ব্যথা, অবশভাব বা ঝিঁঝি ধরার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।

কেন হয়

আগেই বলা হলো যে মিডিয়ান নার্ভে অতিরিক্ত চাপ পড়াই এ রোগের কারণ। এই চাপ নানাভাবে সৃষ্টি হতে পারে। যেমন বারবার একই ধরনের কাজ করা, যেমন দীর্ঘ সময় ধরে টাইপ করা, মাউস ব্যবহার করা বা হাতের কবজিকে একইভাবে বারবার নাড়ানো। কবজিতে কোনো আঘাত বা প্রদাহ।

গর্ভাবস্থায় হরমোনজনিত পরিবর্তনের কারণে নার্ভের চারপাশে পানি জমে এই রোগ হতে পারে। ডায়াবেটিস, হাইপোথাইরয়েডিজম, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি যাঁদের আছে, তাঁদের এই সমস্যা বেশি হতে দেখা যায়। তবে কিছু মানুষ স্বাভাবিকভাবেই সরু কারপাল টানেল নিয়ে জন্মায়।

কীভাবে বুঝবেন

হাত ও আঙুলে অবশভাব বা ঝিঁঝি ধরা (বিশেষ করে বৃদ্ধাঙ্গুল, তর্জনী ও মধ্যমা আঙুলে)। কবজিতে ব্যথা, যা কনুই বা কাঁধ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। কোনো জিনিস ধরতে অসুবিধা বা হাত থেকে পড়ে যাওয়া। রাতে বা ঘুমের মধ্যে এই উপসর্গগুলো বাড়ে।

প্রতিকার কী

কারপাল টানেল সিনড্রোম দেখা দিলে প্রথম দিকে যদি চিকিৎসা নেওয়া না হয়, তাহলে সমস্যাটি গুরুতর হতে পারে। কিছু সাধারণ প্রতিকার নিচে দেওয়া হলো—

হাতের বিশ্রাম: যেসব কাজ হাতের ওপর চাপ ফেলে, তা এড়িয়ে চলা বা কমিয়ে দেওয়া। যেমন খুন্তি নাড়া, টাইপ করা ইত্যাদি।

স্প্লিন্ট ব্যবহার: স্প্লিন্টের ব্যবহার কবজি সোজা রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে রাতে এটির ব্যবহার বেশ কাজে দেয়।

ঠান্ডা সেঁক: প্রদাহ বা ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।

ব্যায়াম: কবজির হালকা ব্যায়াম স্নায়ুর ওপর চাপ কমাতে সাহায্য করে।

ওষুধ: ব্যথা কমাতে আইবুপ্রোফেন বা অন্য অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধ ব্যবহার করা যায়।

স্টেরয়েড ইনজেকশন: প্রদাহ কমাতে ইনজেকশন স্টেরয়েড দেওয়া যেতে পারে।

সার্জারি: যদি অন্যান্য চিকিৎসায় উপকার না হয়, তবে কারপাল টানেল রিলিজ নামক অস্ত্রোপচার করা হয়।

কারপাল টানেল সিনড্রোম খুবই পরিচিত একটি সমস্যা। সঠিক সময়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

ডা. মো. মেহেদী হাসান, অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ও ট্রমা সার্জন, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর)

সম্পর্কিত নিবন্ধ