দিল্লির ক্যাম্পে যোগ দিচ্ছেন না স্টার্ক
Published: 16th, May 2025 GMT
স্থগিত হওয়া আইপিএল ১৭ মে থেকে শুরু হচ্ছে। তবে বিদেশি তারকা ক্রিকেটারদের অনেকে ফ্র্যাঞ্জাইজি এই টুর্নামেন্টে ফিরে না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দিল্লি ক্যাপিটালসের অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিশেল স্টার্ক তেমনই একজন।
তিনি দিল্লির ক্যাম্পে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দলকে সিদ্ধান্ত জানিয়েও দিয়েছেন। ১১ ম্যাচে দিল্লির হয়ে সর্বাধিক ১৪ উইকেট নিয়েছেন গত মৌসুমে কেকেআরে খেলা এই পেসার। ১১ জুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলবে অস্ট্রেলিয়া। ওই কারণ দেখিয়ে মূলত তিনি আইপিএলের বাকি অংশে যোগ দিচ্ছেন না।
তবে নিরাপত্তা শঙ্কার বিষয়ও যে আছে তা বোঝা যায় ফ্রেশার ম্যাকগার্গের আইপিএল খেলতে না আসার সিদ্ধান্তে। তার জায়গায় দিল্লি মুস্তাফিজকে দলে নিয়েছে। তবে বিসিবির কাছে দিল্লি তিন ম্যাচের জন্য ছাড়পত্র চাইলেও তা পাওয়া নিয়ে শঙ্কা আছে।
স্টার্ক, ম্যাকগার্গ আইপিএলের বাকি অংশে না আসলেও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স যোগ দিচ্ছেন। আসছেন টেস্ট দলের অন্যতম সদস্য ট্রাভিস হেডও। তারা সানরাইজার্স হায়দরাবাদে খেলবে। যদিও হায়দরাবাদের প্লে অফের আশা শেষ।
যোগ দিচ্ছেন মিশেল মার্শ, জস ইংলিশও। তবে ফ্যাফ ডু প্লেসির অংশগ্রহণ নিয়ে এখনো পরিষ্কার বার্তা পায়নি তার ফ্র্যাঞ্জাইজি। আবার দক্ষিণ আফ্রিকার ত্রিস্টান স্টাবস আইপিএলে আসলেও বেশি ক’জন প্রোটিয়া ক্রিকেটার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের কারণে না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের কারণে আইপিএল এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল। ধর্মশালায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কথা বলে একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত করা হয়। পাকিস্তান পাল্টা হিসেবে ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে হামলা করে। যেখান থেকে ধর্মশালা দূরে নয়। একারণেই স্থগিত হয় আইপিএল। রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়াম সংলগ্ন ফুডকোর্টে ভারত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোয় স্থগিত হয় পিএসএলও। যা ১৭ মে শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।