বাংলাদেশ দলের সঙ্গে নাহিদ রানা ও রিশাদ হোসেন দুবাই বিমানবন্দরে নেমেছিলেন বুধবার দুপুরে। এরপর থেকে শুক্রবার রাত দুইটা পর্যন্ত দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই আটকে ছিলেন বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার। ইমিগ্রেশন জটিলতায় বিমানবন্দরেই প্রায় তিন রাত কাটাতে হয়েছে নাহিদ-রিশাদকে।

আজ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

নাহিদ ও রিশাদ দুজনই গত ১০ মে পাকিস্তান থেকে দুবাই হয়ে ঢাকায় ফিরেছিলেন। এর চার দিন পরই সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের জন্য বাংলাদেশ দলের প্রথম বহরে আবার দুবাইয়ে পৌঁছান তাঁরা। কী কারণে দুই ক্রিকেটারকে দুবাই ইমিগ্রেশনে আটকে থাকতে হয়েছে, তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তবে পিএসএলে খেলে ফেরার পথে কোনো জটিলতার কারণে এমন হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা বিসিবির।

আটকে পড়ার পর আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড ও বাংলাদেশ হাই কমিশনের প্রচেষ্টায় নাহিদ-রিশাদকে বিমানবন্দর থেকে বের করতে করতে পেরিয়ে গেছে প্রায় তিন রাত। বিমানবন্দরে আটকে থাকায় শারজায় বাংলাদেশ দলের বৃহস্পতি ও শুক্রবারের অনুশীলনেও অংশ নিতে পারেননি দুই ক্রিকেটার।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের দুই টি-টোয়েন্টির সিরিজ শুরু হচ্ছে আজ। শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়। দ্বিতীয় ম্যাচ সোমবার একই মাঠে একই সময়ে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল দ শ দল র

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে বস্তায় যুবকের লাশ, প্রেমিকার মা–বাবা ও ভাবি গ্রেপ্তার

রাজশাহীর তানোরে নিখোঁজের ২০ দিন পর এক যুবকের বস্তাবন্দী গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে উপজেলার হাবিবনগর এলাকায় শিব নদে কচুরিপানার ভেতর থেকে বস্তাবন্দী লাশ পাওয়া যায়। পরনে থাকা লুঙ্গি ও গেঞ্জি দেখে তাঁর লাশ শনাক্ত করেছে পরিবার। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত যুবকের নাম চিত্তরঞ্জন পাল (২৬)। হাবিবনগর পালপাড়া গ্রামে তাঁর বাড়ি। বাবার নাম মনোরঞ্জন পাল। একমাত্র ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পরদিন তিনি তানোর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। প্রেমঘটিত কারণে ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে তাঁর দাবি। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন একই গ্রামের স্বপন চন্দ্র পাল (৫৮), তাঁর স্ত্রী ছবি রানী (৫০) ও কাজলী রানী পাল (৩০)। মামলার অন্য তিন আসামি স্বপনের ছেলে সুবোদ পাল (৩০), মেয়ে কামনা পাল (২৩) ও জেলার মোহনপুর উপজেলার পেয়ারপুর গ্রামের মো. রাজু (৪৫)। তাঁদের মধ্যে গ্রেপ্তার কাজলী রানী পাল আসামি কামনা পালের চাচাতো ভাবি।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, চিত্তরঞ্জনের সঙ্গে কলেজছাত্রী কামনা পালের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। উভয় পরিবারে বিষয়টি জানাজানি হলে মনোরঞ্জন তাঁর ছেলের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে স্বপন চন্দ্র পালের বাড়িতে যান। তাঁরা বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পর বাড়ি থেকে বের করে দেন। কামনার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে চিত্তরঞ্জনকে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক চলতেই থাকে। কামনা নিয়মিত চিঠিও লিখতেন। গত ২৬ এপ্রিল রাতের খাবার খেয়ে মনোরঞ্জনের পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। ভোররাত চারটার দিকে বিদ্যুৎ চলে গেলে মনোরঞ্জনের ঘুম ভেঙে যায়। এ সময় তিনি দেখেন, চিত্তরঞ্জনের ঘরের দরজা খোলা, ভেতরে কেউ নেই। তার পর থেকে চিত্তরঞ্জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ২৭ এপ্রিল থেকে কামনা ও তাঁর ভাই সুবোদকেও এলাকায় দেখা যায়নি। চিত্তরঞ্জন ছেলের ব্যাপারে স্বপন চন্দ্র পালের কাছে জানতে চেয়েছিলেন। স্বপন তাঁকে এলোমেলো জবাব দেন এবং ধমক দেন। ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে মনোরঞ্জন তানোর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, মামলার আসামিরা চিত্তরঞ্জনকে কৌশলে তাঁদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে হত্যার পর লাশ বস্তায় ভরে শিব নদে ফেলে দেন। আজ সকালে শিব নদে বস্তাবন্দী গলিত এই লাশ পাওয়া যায়। পরনের গেঞ্জি ও লুঙ্গি দেখে ছেলের লাশ শনাক্ত করেন মনোরঞ্জন।

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, প্রেমঘটিত কারণে চিত্তরঞ্জনকে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে নদে ফেলে দেওয়া হয়। উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আগামীকাল রোববার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। মামলার অন্য তিন আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আখখেতে পোকায় ধরা লাশ

এদিকে জেলার পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর থানাধীন ভড়ুয়াপাড়া এলাকার একটি আখখেত থেকে একটি অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মরদেহে পোকা ধরে গেছে। মরদেহটির পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

সন্ধ্যা সাতটার দিকে বেলপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, খবর পেয়ে সন্ধ্যায় মরদেহটি দেখতে যান। মরদেহের এমন অবস্থা, যা চেনার উপায় নেই। মরদেহের শরীরে পোকা ধরে গেছে। শনাক্ত করতে সিআইডি ও পিবিআই ঘটনাস্থলে এসেছে। তিনি আরও বলেন, তাঁরা মরদেহটি উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠাবেন। এ ঘটনায় একটি মামলাও হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ