আসছে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদে সিনেমাপ্রেমীদের জন্য পর্দায় ঝড় তুলতে প্রস্তুত হচ্ছে ‘তাণ্ডব’। ইতোমধ্যেই পাঠকে জেনেছেন শাকিব খানের নতুন সিনেমা এটি।
তবে তাণ্ডব শুরু হওয়ার আগেই শাকিব খান নিজেই উড়াল দিলেন শ্রীলঙ্কায়! শুক্রবার সকালে ফ্লাইট ধরেছেন তিনি। গন্তব্য লঙ্কা দ্বীপ! উদ্দেশ্য সিনেমার গান আর অ্যাকশন দৃশ্যে ‘তাণ্ডব’ দেখানো। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, শাকিবের সঙ্গী হয়েছেন কে?
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাকিব খানের সঙ্গে আছেন সাবিলা নূর। এছাড়া সিনেমার কিছু ফাইট মাস্টার, টেকনিশিয়ান, ক্যামেরাম্যানসহ রয়েছে তাণ্ডব টিম।
জানা গেছে, ইতোমধ্যেই সিনেমার প্রায় ৭০ ভাগ শুটিং শেষ। ঢাকা, রাজশাহী, নানা লোকেশনে লেন্সবন্দি হয়েছে অনেক দৃশ্য। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
এদিকে সিনেমার ‘ফার্স্টলুক’ বের হতেই নেটপাড়ায় শোরগোল! শাকিবের লুক দেখে কেউ বলছেন "এটা কি শাকিব নাকি মার্ভেল হিরো?" কারণ, নতুন এই রূপে তিনি একেবারেই অন্যরকম। পোস্টারও ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
তবে এখনো একটাই প্রশ্ন সবার মুখে— ‘তাণ্ডব’ কি সত্যিই এই ঈদে আসছে? নির্মাতা রায়হান রাফী এখনো মুখে কুলুপ এঁটে আছেন।
এই সিনেমার আরেকটা বড় চমক— দীর্ঘ এক যুগ পর পর্দায় ফিরছেন শাকিব-জয়া জুটি! দুই বাংলার প্রিয় তারকা জয়া আহসান বলেছেন, “শাকিবের ডেডিকেশন এখন একেবারে লেভেল আপ। খুব মন দিয়ে কাজ করেন। চরিত্রের ভেতরে ঢুকে যান। এই জিনিসটা সত্যিই অ্যাপ্রিশিয়েট করার মতো।”
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বলছে, সিনেমার গল্প এক টেলিভিশন চ্যানেলে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। শাকিব, জয়া, সাবিলা— সবাই মিলে যে এবার ঈদে ‘তাণ্ডব’ বাঁধাবেন, সেটা এক প্রকার নিশ্চিত! এখন শুধুই অপেক্ষার পালা।
ঢাকা/রাহাত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মাদারীপুরের সাবেক দুই ডিসিসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
শিবচরে পদ্মা সেতু রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মাদারীপুরের সাবেক দুই জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন ও মো. ওয়াহিদুল ইসলামসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় এ সংক্রান্ত নোটিশ মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ অভিযুক্তদের কাছে পাঠিয়েছে ।
দুদক সূত্র জানায়, পদ্মা রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন জন্য দুদক মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামানকে দলনেতা ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান অপুকে সদস্য করে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
খুকৃবির সাবেক উপাচার্যসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুবির নতুন ক্যাম্পাসের জমি ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ, তথ্য চেয়েছে দুদক
অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ১৯ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর বিধি ৮ অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য এবং চাহিদাপত্র চেয়ে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে তারা হলেন- মাদারীপুর সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওহিদুল ইসলাম, সাবেক জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ ফারুক আহম্মদ, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ঝোটন চন্দ্র, মাদারীপুরের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন গিয়াস।
মোহাম্মদ সুমন শিবলী, প্রমথ রঞ্জন ঘটক, আল মামুন, মো. নাজমুল হক সুমন, মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কানুনগো (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাসির উদ্দিন, মো. আবুল হোসেন, রেজাউল হক এবং মাদারীপুর কালেক্টরেট রেকর্ড রুম শাখার রেকর্ড কিপার মানিক চন্দ্র মন্ডল।
দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান বলেন, “মাদারীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম ও ড. রহিমা খাতুনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তথ্য ও বিভিন্ন চাহিদাপত্র চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত নোটিশ অভিযুক্তদের কাছে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/বেলাল/মাসুদ