উত্তরায় ‘ট্রেনের ধাক্কায়’ পুলিশ সদস্যের মৃত্যু, সন্দেহ পরিবারের
Published: 18th, May 2025 GMT
রাজধানীর উত্তরায় এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। রেলওয়ে পুলিশ বলছে, তিনি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে মারা গেছেন। তবে এ ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছে পরিবার।
মারা যাওয়া পুলিশ সদস্যের নাম কে এম মনসুর আলী (৪০)। তিনি রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
রেলওয়ে পুলিশ বলছে, গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর এলাকায় ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় মনসুর গুরুতর আহত হন। উদ্ধার করে উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মনসুর পরিবার নিয়ে রাজধানীর পল্লবী এলাকায় থাকতেন বলে জানান তাঁর চাচাতো ভাই সাকিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, কাজ শেষে মোটরসাইকেলে করে মনসুরের বাসায় ফেরার কথা। তাঁদের ধারণা, কেউ মনসুরকে ফোন করে ডেকে নিয়েছিল। উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের ১০ নম্বর রোডে মোটরসাইকেল রেখে তাঁকে মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে রেললাইনের দিকে হেঁটে যেতে দেখা গেছে। তা ছাড়া মনসুরের মাথায় আঘাতের যে চিহ্ন দেখা গেছে, তাতে তাঁদের সন্দেহ হচ্ছে, ধারালো কিছু দিয়ে তাঁকে আঘাত করা হয়ে থাকতে পারে।
বিমানবন্দর রেলওয়ে ফাঁড়ির এসআই মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, মনসুরের মরদেহ আজ রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মনসুরের বাড়ি পাবনার আমিনপুরে। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মনস র র
এছাড়াও পড়ুন:
মুরাদনগরে ধর্ষণের মামলা: চার আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর
কুমিল্লার মুরাদনগরে আলোচিত ধর্ষণ মামলায় চার আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মমিনুল হক শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশ দেন।
এর আগে গত সোমবার গ্রেপ্তার চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। পরে আদালত আজ রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করেন। আজ শুনানির সময় চার আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লা আদালত পুলিশের পরিদর্শক সাদিকুর রহমান বলেন, আসামিরা মুরাদনগর থানায় দায়ের হওয়া নারী নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় কারাগারে ছিলেন। আজ শুনানি শেষে আদালত তাঁদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুরাদনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মামলাটি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। আশা করছি, আগামী শনিবারের মধ্যে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হবে। আজ রিমান্ড শুনানি শেষে আসামিদের আবার কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুনলোকজনের ভিড়, সাক্ষাৎকারের ‘চাপ’—বাড়ি ছাড়লেন মুরাদনগরের সেই নারী০১ জুলাই ২০২৫নতুন করে কেউ গ্রেপ্তার না হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এসআই রুহুল আমীন বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে যাঁদের শনাক্ত করেছি, তাঁরা এলাকা থেকে পলাতক। তবে তাঁদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই চার আসামির জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে তাঁদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িত সবাই আইনের আওতায় আসবেন।’
আরও পড়ুনপ্রধান আসামির দলীয় পরিচয় নিয়ে ঠেলাঠেলি, ‘নোংরা রাজনীতি’ বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা৩০ জুন ২০২৫গত ২৬ জুন দিবাগত রাতে মুরাদনগর উপজেলার একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ফজর আলী নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ধর্ষণের বিষয়টি টের পেয়ে আশপাশ থেকে কিছু লোক এসে ফজর আলীকে পেটাতে থাকেন। এ সময় ওই নারীকেও বিবস্ত্র অবস্থায় মারধর করেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরই মধ্যে ধর্ষণ ও বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে। দুই মামলায় ফজর আলীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অসুস্থ ফজর আলী পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুনমুরাদনগরে দরজা ভেঙে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা২৮ জুন ২০২৫