ঢাকার আশকোনায় ট্রেনের ধাক্কায় কেএম মুনসুর আলী (৪০) নামে এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। তিনি দক্ষিণখান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদে কর্মরত ছিলেন।

শনিবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশকোনা ফরিদ মার্কেটের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে  গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে রবিবার সকালের দিকে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

বিমানবন্দর থানার ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই ) মোহাম্মদ আলী জানান, নিহত মনসুর আলী দক্ষিণখান থানা এসআই পদে কর্মরত ছিলেন। গত রাতে তিনি আশকোনা হাজী ক্যাম্পে ডিউটি শেষে বাসায় ফেরার পথে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর ১০ নম্বর রেলগেটর সামনে অসুস্থ হয়ে পড়ে যান। তখন একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন তিনি। পরে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলা বাটিকা খাপারা গ্রামে। পল্লবীর বাইশটেকি এলাকায় দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন তিনি।

ঢাকা/বুলবুল/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আশক ন

এছাড়াও পড়ুন:

মুরাদনগরে ধর্ষণের মামলা: চার আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর

কুমিল্লার মুরাদনগরে আলোচিত ধর্ষণ মামলায় চার আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মমিনুল হক শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশ দেন।

এর আগে গত সোমবার গ্রেপ্তার চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। পরে আদালত আজ রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করেন। আজ শুনানির সময় চার আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

কুমিল্লা আদালত পুলিশের পরিদর্শক সাদিকুর রহমান বলেন, আসামিরা মুরাদনগর থানায় দায়ের হওয়া নারী নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় কারাগারে ছিলেন। আজ শুনানি শেষে আদালত তাঁদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুরাদনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মামলাটি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। আশা করছি, আগামী শনিবারের মধ্যে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হবে। আজ রিমান্ড শুনানি শেষে আসামিদের আবার কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

আরও পড়ুনলোকজনের ভিড়, সাক্ষাৎকারের ‘চাপ’—বাড়ি ছাড়লেন মুরাদনগরের সেই নারী০১ জুলাই ২০২৫

নতুন করে কেউ গ্রেপ্তার না হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এসআই রুহুল আমীন বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে যাঁদের শনাক্ত করেছি, তাঁরা এলাকা থেকে পলাতক। তবে তাঁদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই চার আসামির জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে তাঁদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িত সবাই আইনের আওতায় আসবেন।’

আরও পড়ুনপ্রধান আসামির দলীয় পরিচয় নিয়ে ঠেলাঠেলি, ‘নোংরা রাজনীতি’ বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা৩০ জুন ২০২৫

গত ২৬ জুন দিবাগত রাতে মুরাদনগর উপজেলার একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ফজর আলী নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ধর্ষণের বিষয়টি টের পেয়ে আশপাশ থেকে কিছু লোক এসে ফজর আলীকে পেটাতে থাকেন। এ সময় ওই নারীকেও বিবস্ত্র অবস্থায় মারধর করেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরই মধ্যে ধর্ষণ ও বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে। দুই মামলায় ফজর আলীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অসুস্থ ফজর আলী পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আরও পড়ুনমুরাদনগরে দরজা ভেঙে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা২৮ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভিডিও ভাইরালের পর পরশুরাম থানার এসআই বললেন, ‘পকেট থেকে টাকা বের করে দেখিয়েছি’
  • মুরাদনগরে ধর্ষণের মামলা: চার আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর
  • ঘুষ লেনদেনের ভিডিও ভাইরাল, এসআই ক্লোজড