আইপিএলের ৬০তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস ও গুজরাট টাইটান্স। ছয় কোটি রুপিতে দলে ভিড়ানো মোস্তাফিজুর রহমানকে একাদশে রেখে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে দিল্লি। আজকের ম্যাচটি তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আর সেখানে মোস্তাফিজ কী ভূমিকা রাখতে পারেন, সেটিই দেখার বিষয়।

মোস্তাফিজ অবশ্য গতকাল শনিবার রাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। তিনি ৪ ওভার বল করে ১৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ২টি উইকেট। ওই ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ২৭ রানে।

মোস্তাফিজ আইপিএলের নিলামে ছিলেন ২ কোটি রুপি ভিত্তিমূল্যে। তবে প্রথমে তিনি কোনো দল পাননি। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ার পর অনেক বিদেশি ক্রিকেটার আইপিএলে খেলতে অস্বীকৃতি জানালে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বিপাকে পড়ে। সে কারণেই ২ কোটি ভিত্তিমূল্যের মোস্তাফিজকে ৬ কোটি রুপিতে দলে নেয় দিল্লি। মূলত, অন্যান্য দলগুলোর আগ্রহেই তার মূল্য তিন গুণে পৌঁছে যায়।

আরো পড়ুন:

ম্যাচ কমানোর শর্তে পাকিস্তান সফরে যেতে রাজি লিটনরা

বাড়তি একটি টি-টোয়েন্টি খেলার প্রস্তাব বাংলাদেশের

এর আগেও দিল্লি ক্যাপিটালসের জার্সিতে খেলেছেন এই বাঁহাতি পেসার। দলের প্রতি আস্থা ও প্রয়োজনীয়তা থেকেই আবারও তাকে স্কোয়াডে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

মোস্তাফিজ এর আগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, মুম্বাই ইন্ডিয়ানস, রাজস্থান রয়্যালস এবং দিল্লির হয়ে আইপিএলে খেলেছেন। তার বৈচিত্র্যময় কাটার ও ডেথ ওভারে বোলিংয়ের দক্ষতা তাকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বোলারে পরিণত করেছে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ