দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপে ভ্রমণরত বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে দেশটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন।

মালেতে অবস্থিত হাইকমিশন রবিবার (১৮ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে, মালদ্বীপে ভ্রমণের সময় বিড়ি, সিগারেট বা অন্য কোনো ধূমপান সংশ্লিষ্ট দ্রব্য সঙ্গে না নিতে অনুরোধ করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, মালদ্বীপে বিড়ি, সিগারেট বা অন্য ধূমপান-সংশ্লিষ্ট দ্রব্যের ওপর বিভিন্ন ধরনের বিধি-নিষেধ রয়েছে। ফলে, এসব দ্রব্য নিয়ে আসা আইনগতভাবে দণ্ডনীয় অপরাধ।”

হাইকমিশনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, কেউ এই নির্দেশনা অমান্য করলে তাকে জেল অথবা বড় অঙ্কের জরিমানা গুণতে হতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে বাংলাদেশিদের সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

মালদ্বীপ সরকার সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ধূমপান নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন কার্যকর করছে। ইতোমধ্যে দেশটিতে ই-সিগারেট আমদানিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে মালদ্বীপগামী সব বাংলাদেশি নাগরিকদের স্থানীয় আইন মেনে চলা ও সম্মান জানানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

মালদ্বীপ সরকার ২০২৫ সালের ১ নভেম্বর থেকে একটি নতুন আইন কার্যকর করতে যাচ্ছে, যার আওতায় ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পরবর্তী সময়ে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিদের কাছে তামাকজাত পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা হবে। এই আইনের উদ্দেশ্য ভবিষ্যত প্রজন্মকে ধূমপান থেকে মুক্ত রাখা এবং দেশব্যাপী ধূমপান কমানো। আইনটি পর্যটকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। 

এই আইনটি মালদ্বীপের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে, নতুন আইনের লঙ্ঘনের শাস্তি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত ঘোষণা করা হয়নি, তবে কর্মকর্তারা বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনগুলোকে নতুন আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার জন্য কাজ করছেন। 

ঢাকা/হাসান/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা, নির্বাচনী আচরণবিধির সংশোধন চায় ছাত্রদল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনে নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের কাছে এ স্মারকলিপি দেন ছাত্রদলের নেতারা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আসন্ন জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী জকসু সংবিধি এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য দায়বদ্ধ। ন্যায্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিতে আমাদের অনুরোধ, ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় প্রত্যেক ভোটারের ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং স্বচ্ছ, নাম্বারযুক্ত ব্যালট বক্স রাখা আবশ্যক।’

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ব্যালট ছাপার সংখ্যা, ভোট প্রদানকারীর সংখ্যা এবং নষ্ট ব্যালটের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। মিডিয়া ট্রায়াল বা ভুল তথ্য প্রচার হলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে নির্বাচনকালীন সময়ে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ডাকসুর তফসিল ঘোষণার ৪১ দিন, চাকসুর ৪৪ দিন, রাকসুর ৮০ দিন এবং জাকসুর তফসিল ঘোষণার ৩১ দিন পর নির্বাচন হয়েছে। যেহেতু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এ ছাড়া বাকি চার বিশ্ববিদ্যালয়ের তফসিল ঘোষণার সময় ও নির্বাচনের মধ্যবর্তী পার্থক্য বিবেচনা করে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠু একটা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, এজন্য ছাত্রদল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ