আমিরাতে বাড়তি একটি টি–টোয়েন্টি খেলতে পারে বাংলাদেশ
Published: 18th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ দল সংযুক্ত আরব আমিরাতে গেছে দুই টি–টোয়েন্টির সিরিজ খেলতে। শারজায় কাল সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি–টোয়েন্টি। তবে এই ম্যাচের পরও যদি আমিরাতে বাংলাদেশ দল একটি বাড়তি টি–টোয়েন্টি খেলে সিরিজটাকে তিন ম্যাচের বানিয়ে নেয়, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
বিসিবির প্রস্তাবে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড সাড়া দিলেই এক ম্যাচ বেড়ে যাবে শারজায়, সিরিজ হয়ে যাবে তিন ম্যাচের। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, আজ রাতেই এই সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়ার কথা। সিরিজে বর্তমানে বাংলাদেশ ১–০ তে এগিয়ে।
বিসিবি আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডকে ম্যাচ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে মূলত পাকিস্তান সফরের আগপর্যন্ত আমিরাতে থাকাটাকে যৌক্তিক করতে এবং খরচ বাঁচাতে। পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে বিসিবি সরকারের সবুজসংকেত পেলেও দুই বোর্ড এখন পর্যন্ত নতুন সূচি চূড়ান্ত করতে পারেনি। জানা গেছে, পিসিবি থেকে আরও আগেই একাধিক প্রস্তাবিত নতুন সূচি পাঠানো হয়েছে বিসিবিকে। ২৫ মে থেকে শুরু পাঁচ টি–টোয়েন্টির সিরিজটি নতুন প্রস্তাবগুলোতে ২৭ মে থেকে শুরু করার কথা বলা হয়েছে। ঈদুল আজহা যেহেতু ৬ বা ৭ জুন, দুই বোর্ডই চাচ্ছে বাংলাদেশ–পাকিস্তান সিরিজ ৫ জুনের মধ্যে শেষ করতে।
প্রথম টি–টোয়েন্টিতে আমিরাতকে হারিয়েছে বাংলাদেশ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রেপ্তারকৃতদের তদন্তে মালয়েশিয়াকে সহায়তা করবে বাংলাদেশ
সম্প্রতি মালয়েশিয়ার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ৩৫ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদের অভিযোগ তদন্তে মালয়েশিয়ার সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ। শুক্রবার কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন হাজি হাসানের সঙ্গে এক বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এ আশ্বাস দেন।
শুক্রবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, কুয়ালালামপুরে ৩২তম আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের (এআরএফ) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে তাঁরা এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং তথ্য ও তদন্তের ফলাফল বিনিময়ের মাধ্যমে অভিযোগের অভ্যন্তরীণ তদন্তে মালয়েশিয়ার সহযোগিতা চান। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস দেন।
এর আগে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রসচিব ডেভিড ল্যামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁরা বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। উভয়ই বাংলাদেশে চলমান সংস্কার, রোহিঙ্গা সংকট, এলডিসি-পরবর্তী সহায়তা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স, শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিজিথা হেরাথ এবং কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের উপমন্ত্রী ও প্রতিনিধিদলের প্রধান পার্ক ইউনজুর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। এ সময় দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বাংলাদেশ ২০০৬ সালে এআরএফের সদস্য হয়। নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে ফোরামটি প্রতিষ্ঠিত হয়।