বিএনপি সরকার গঠন করলে খেলাধুলাকে স্কুলশিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক কারিকুলামে বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নেবে। শিশু–কিশোরদের ডিভাইস থেকে বিরত রাখতে তাদের খেলাধুলার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে।

লন্ডনে গতকাল রোববার আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফাউন্ডেশন আয়োজিত ২০২৪ সালের ক্রিকেট টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ কথাগুলো বলেছেন।

তারেক রহমান আরও বলেন, ঢাকা শহরের ১০০টি ওয়ার্ডের মধ্যে প্রতি ২টি ওয়ার্ডে লন্ডন শহরের আদলে একটি করে সবুজ খেলার মাঠ তৈরি করা হবে। সেখানে শিশু-কিশোরেরা খেলাধুলা এবং বয়স্করা হাঁটাহাঁটি করতে পারবেন।

বিএনপি নেতা তারেক রহমান লন্ডন শহরের বিভিন্ন পার্কের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘লন্ডনের বড় বড় সবুজ মাঠ ও সেখানে শরীরচর্চার বিভিন্ন উপকরণ দেখে যেমন ভালো লাগে, তেমন কষ্টও হয় যে আমাদের দেশে এই ব্যবস্থাগুলো নেই।’

আগামী দিনে যেকোনো ধরনের খেলাধুলায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যারা বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে, তাদের অনুশীলনকাল থেকে শুরু করে পুরো সময়ে সরকারকে আর্থিক সহায়তা দিতে হবে, বলেন তারেক রহমান।

তারেক রহমান আরও বলেন, ‘দীর্ঘ আন্দোলন–সংগ্রাম শেষে ফ্যাসিস্ট বিদায়ের পর এবার দেশ গড়ার সময় এসেছে। দেশের জাতীয় স্বার্থে সব রাজনৈতিক দল মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠন করতে হবে।’

তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা আন্দোলন করেছি, সংগ্রাম করেছি, বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক বহু মানুষ জীবন দিয়েছে, কিন্তু এখন হচ্ছে দেশ গড়ার পালা। দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়া, দেশের মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া, দেশের বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা, সব জনগণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা—এসব বিষয়ে নিশ্চয়ই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদ থাকবে না।’

দেশের চারটি বিকেএসপিকে আরও বেশি কার্যকর করে সেগুলোর মাধ্যমে সারা দেশ থেকে খেলাধুলায় ট্যালেন্ট শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করার পরিকল্পনার কথাও জানান তারেক রহমান।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন ত র ক রহম ন র জন ত ক ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা

সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল‌্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’ 

জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই ‍আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব‌্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।

সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।

তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"

"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।

ঢাকা/ইয়াসিন 

সম্পর্কিত নিবন্ধ