বিএনপি সরকারে এলে স্কুলশিক্ষার্থীদের কারিকুলামে খেলাধুলা থাকবে: তারেক রহমান
Published: 19th, May 2025 GMT
বিএনপি সরকার গঠন করলে খেলাধুলাকে স্কুলশিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক কারিকুলামে বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নেবে। শিশু–কিশোরদের ডিভাইস থেকে বিরত রাখতে তাদের খেলাধুলার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে।
লন্ডনে গতকাল রোববার আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফাউন্ডেশন আয়োজিত ২০২৪ সালের ক্রিকেট টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ কথাগুলো বলেছেন।
তারেক রহমান আরও বলেন, ঢাকা শহরের ১০০টি ওয়ার্ডের মধ্যে প্রতি ২টি ওয়ার্ডে লন্ডন শহরের আদলে একটি করে সবুজ খেলার মাঠ তৈরি করা হবে। সেখানে শিশু-কিশোরেরা খেলাধুলা এবং বয়স্করা হাঁটাহাঁটি করতে পারবেন।
বিএনপি নেতা তারেক রহমান লন্ডন শহরের বিভিন্ন পার্কের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘লন্ডনের বড় বড় সবুজ মাঠ ও সেখানে শরীরচর্চার বিভিন্ন উপকরণ দেখে যেমন ভালো লাগে, তেমন কষ্টও হয় যে আমাদের দেশে এই ব্যবস্থাগুলো নেই।’
আগামী দিনে যেকোনো ধরনের খেলাধুলায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যারা বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে, তাদের অনুশীলনকাল থেকে শুরু করে পুরো সময়ে সরকারকে আর্থিক সহায়তা দিতে হবে, বলেন তারেক রহমান।
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘দীর্ঘ আন্দোলন–সংগ্রাম শেষে ফ্যাসিস্ট বিদায়ের পর এবার দেশ গড়ার সময় এসেছে। দেশের জাতীয় স্বার্থে সব রাজনৈতিক দল মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠন করতে হবে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা আন্দোলন করেছি, সংগ্রাম করেছি, বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক বহু মানুষ জীবন দিয়েছে, কিন্তু এখন হচ্ছে দেশ গড়ার পালা। দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়া, দেশের মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া, দেশের বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা, সব জনগণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা—এসব বিষয়ে নিশ্চয়ই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদ থাকবে না।’
দেশের চারটি বিকেএসপিকে আরও বেশি কার্যকর করে সেগুলোর মাধ্যমে সারা দেশ থেকে খেলাধুলায় ট্যালেন্ট শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করার পরিকল্পনার কথাও জানান তারেক রহমান।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন ত র ক রহম ন র জন ত ক ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় ওই চারজনের কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবের শুনানি শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বহিষ্কৃত সদস্যরা হলেন আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবির হোসেন, রফিকুল ইসলাম রফিক ও তরফদার আবদুল মুকিত। তাঁদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আদালতের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
এ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম এ গফুর বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হওয়াতে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ সমিতির নিয়মনীতির ঊর্ধ্বে নন। বৃহস্পতিবার ওই চার সদস্যকে বহিষ্কারের বিষয়টি নোটিশ দিয়ে জানানো হবে।’
সমিতি সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সৈয়দ কবির হোসেনের (জনি) কাছে ৩৫ লাখ টাকায় শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকায় জমি বিক্রি করেন ইমরান হাসান। জমি রেজিস্ট্রির আগে সব টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও সৈয়দ কবির হোসেন ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। বাকি ২৫ লাখ টাকা না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন। পরে তিনি আরও ১৭ লাখ টাকা দেন। বাকি ৮ লাখ টাকা চাইলে হুমকি দিতে থাকেন কবির হোসেন। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ইমরান হাসান আইনজীবী সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে কবির হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কবির হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে আইনজীবী কবির হোসেন বলেন, ‘বহিষ্কারের বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে যে বিষয়ে আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেই বিষয়ে অভিযুক্ত আমি নই। তারপরও আইনজীবী সমিতি আমার অভিভাবক; তারা যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তার বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’
অন্যদিকে অভয়নগরের নওয়াপাড়ার জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশন পাওনা টাকা আদায়ে আবদুর রাজ্জাককে মামলার আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছিল। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আবদুর রাজ্জাক আটটি চেকের মামলা পরিচালনা করেন। এসব মামলার রায় ও আপিল বাদীর অনুকূলে যাওয়ার পর আটটি চেকের ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নেন আবদুর রাজ্জাক। এ টাকা জয়েন্ট ট্রেডিং কর্তৃপক্ষকে না দিয়ে তিনি ঘোরাতে থাকেন। চলতি বছরের ৪ জুন তিনি ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় নগদায়ন করা যায়নি। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল ওহাব গত ২৮ জুলাই আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে যশোর আইনজীবী সমিতি বরাবর অভিযোগ করেন।
এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আবদুর রাজ্জাককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় যশোর আইনজীবী সমিতি। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় আবদুর রাজ্জাককে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া রফিকুল ইসলাম রফিক তাঁর সহকর্মীর সঙ্গে অসদাচরণ ও মামলা করতে টাকা ও কাগজপত্র নিয়ে মামলা না করায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আইনজীবী তরফদার আবদুল মুকিতের বিরুদ্ধেও নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।