গাজীপুরের নাওজোড় এলাকায় ইন্টারন্যাশনাল ক্ল্যাসিক কম্পোজিট কারখানায় আবারও শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আজ সোমবার সকালে কারখানায় যোগদানের পর এসব শ্রমিক হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

টানা তিন দিন কারখানাটিতে শ্রমিকদের অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রথম দুই দিন পানি পান করে শ্রমিকেরা অসুস্থ হন। তবে আজ অসুস্থ শ্রমিকদের কেউই পানি পান করেননি। চিকিৎসকেরা এটিকে গণমনস্তাত্ত্বিক রোগ বলে উল্লেখ করেছেন।

আরও পড়ুনগাজীপুরে কলের পানি পান করে অর্ধশতাধিক শ্রমিক অসুস্থ, কারখানা ছুটি ঘোষণা১৭ মে ২০২৫

শিল্প পুলিশ ও কারখানাটির শ্রমিকদের সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর নগরের নাওজোড় এলাকায় ইন্টারন্যাশনাল ক্ল্যাসিক কম্পোজিট কারখানায় শ্রমিকেরা আজ সকালে কাজে যোগ দেন। এরপর একে একে শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অসুস্থ শ্রমিকদের কেউ কেউ জানান, তাঁদের মধ্যে মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব আছে। আবুল কালাম নামের এক শ্রমিক বলেন, সকালে কারখানার কাজে যোগ দেওয়ার পরপরই মাথা ঘুরচ্ছে এবং বমি বমি ভাব হচ্ছে। কারখানার মেডিকেলে যাওয়ার সময় সিঁড়ি দিয়ে নামতেই তাঁর বমি হয়। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।  

এ বিষয়ে সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক সায়েম কবীর বলেন, অসুস্থ শ্রমিকদের মধ্যে বেশির ভাগ বমি, মাথা ঘোরা, পেটে ব্যথা ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন। তবে তাঁরা সবাই আশঙ্কামুক্ত। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শ্রমিকেরা মাস সাইকোজেনিক ইলনেস বা গণমনস্তাত্ত্বিক রোগে আক্রান্ত।

এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন খান।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী

বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।

প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’

ঐশ্বরিয়া ও সালমান খান

সম্পর্কিত নিবন্ধ