হবিগঞ্জের মাধবপুরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাবি-ভাতিজিসহ ট্রিপল মার্ডার মামলার রায়ে দেবর শাহ আলমের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (১) এর আদালতের বিচারক সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার মোশারফ ইউসুফ এ রায় প্রদান করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত শাহ আলম ওরফে তাহের উদ্দিন (৫০) জেলার মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের বীরসিংহপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেন,   ‘‘আমরা রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি। পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে যাবতীয় কাজ শেষ করে রায় কার্যকরের দাবি জানাই। ’’ 

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুফি মিয়া বলেন,   ‘‘রায়ে আমরা খুশি না। শিগগিরই উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। ’’ 

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, শাহ আলম ওরফে তাহের উদ্দিনের সঙ্গে তার ভাবি জাহানারা খাতুনের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় ছুরিকাঘাতে ভাবিকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। এ সময় তার চিৎকারে মেয়ে শারমিন আক্তার ও ভাতিজা শিমুল মিয়া এগিয়ে এলে তাদেরকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ভাবি মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় ভাতিজি ও ভাতিজাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে তারাও মারা যান।

এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর দুলাভাই মোহন মিয়া বাদী হয়ে ২৪ আগস্ট একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে পিবিআই ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে (মঙ্গলবার) আসামির উপস্থিতিতে বিচারক এ রায় প্রদান করেন।

ঢাকা/মামুন/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ হ আলম

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্র আন্দোলনে বিরোধিতায় নুসরাতের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে: রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী

ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের বিরোধিতা এবং মদদ দেওয়াসহ বিভিন্ন ঘটনায় নুসরাত ফারিয়ার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক।

সোমবার নুসরাত ফারিয়াকে আদালতে হাজিরের পর শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, নুসরাত ফ্যাসিস্ট হাসিনার পক্ষে ছিলেন। তিনি একজন ফ্যাসিস্টের সমর্থক। অনেকের মতো তিনিও নাটক সিনেমার মাধ্যমে, অভিনয়ের মাধ্যমে ফ্যাসিস্টের পক্ষ নিয়েছেন। ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের বিরোধিতা এবং মদদ দেন অন্যদের মতো। বিভিন্ন ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকেন্দ্রিক ভাটারা থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। সকাল সাড়ে দশটার দিকে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক।

এদিন সকালে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। বেলা দশটার পর তাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। এসময় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে নুসরাত ফারিয়ার জামিন চেয়ে আবেদন করে তার আইনজীবীরা।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আগামী ২২ মে ফের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুদকের মামলায় খালাস পেলেন এনটিভির চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী
  • জনগুরুত্বপূর্ণ ও সাংবিধানিক মামলার কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ কেন নয়
  • রাজনৈতিক দল হিসেবে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনকে নিবন্ধন দিতে নির্দেশ কেন নয়
  • ইশরাককে মেয়র ঘোষণার গেজেট স্থগিত চেয়ে রিটে আদেশ কাল
  • বজ্রপাত বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপ মূল্যায়ন ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ
  • পুলিশের ওপর হামলা: খালাস পেলেন সাবেক এমপিসহ বিএনপির ২৮ নেতাকর্মী
  • নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত প্রশ্ন
  • নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ নিয়ে রিটের ওপর আদেশ ২৬ মে
  • ছাত্র আন্দোলনে বিরোধিতায় নুসরাতের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে: রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী