রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা শিক্ষার্থীদের বসার চেয়ার দিয়েছে ইবনে সিনা ট্রাস্ট। ট্রাস্টটির পক্ষ থেকে তিন আসনবিশিষ্ট ১৩ সেট চেয়ার প্রদান করা হয়েছে। এর মাধ্যমে একসঙ্গে ৩৯ জন শিক্ষার্থী বসতে পারবেন।

মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে মেডিকেল সেন্টারের কাছে এসব চেয়ার হস্তান্তর করেন ইবনে সিনা ট্রাস্টের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক ডা.

মাফরুহা সিদ্দিকা লিপি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রতিদিন অনেক শিক্ষার্থী সেবা নিতে আসে। এখানে শিক্ষার্থীদের বসার জায়গার সংকট ছিল। এখন এই চেয়ারগুলো বসানোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অপেক্ষার সময় আরামদায়কভাবে বসতে পারবে। আমরা ইবনে সিনা ট্রাস্টকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এবং আশা করি, ভবিষ্যতেও তারা এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।”

আরো পড়ুন:

নোবিপ্রবিতে গবেষণা মেলা ২২ জুন

রাবিতে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে শিক্ষার্থী আহত

ইবনে সিনার রাজশাহী শাখার ইনচার্জ সায়েদুর রহমান সাঈদ বলেন, “ইবনে সিনা ট্রাস্টের উদ্যোগে আমরা অনেক করপোরেট কাজ করে থাকি। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে শিক্ষার্থীদের বসার সুবিধার্থে ৩৯টি চেয়ার প্রদান করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার জন্য যেকোনো সহায়তা দরকার হলে ইবনে সিনা ট্রাস্ট সহায়তা করবে।”

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, “রাবির মেডিকেল সেন্টারে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাসেবা দিতে এখনো বিভিন্ন জিনিসের সংকট রয়েছে, তার মধ্যে শিক্ষার্থীদের বসার জন্য চেয়ার সংকট অন্যতম। তবে আমরা মেডিকেল সেন্টারে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জোগাড় করার চেষ্টা করছি। আমাদের আহ্বানে ইবনে সিনা ট্রাস্ট তিন আসনবিশিষ্ট ৩৯ জনের বসার জন্য চেয়ার সরবরাহ করেছে। তাদের এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।”

তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের উন্নত ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য মেডিকেল সেন্টার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পরিকল্পনা রয়েছে। সে পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।”

চেয়ার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মো. ফরিদ উদ্দীন খান, প্রক্টর মাহবুবুর রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতেখারুল আলম মাসউদ, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক আখতার হোসেন মজুমদার, ইবনে সিনা মেডিকেলের মার্কেটিং ইনচার্জ গাউসুল আজম রায়হান, কর্পোরেট উইংয়ের মাসুদ রানা, শামীম ফেরদৌস প্রমুখ।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় ফুটপাত দখল করে দোকানের পসরা, কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ

বগুড়া শহরের সার্কিট হাউস-কালীবাড়ি মোড় সড়কে সারি সারি ভ্যানে হরেক খাবারের পসরা। পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, চিকেন শর্মা, মিটবক্স—সবই মিলছে রাস্তার পাশের এসব দোকানে। ক্রেতারা মূলত কিশোর ও তরুণ-তরুণী।

দোকানগুলোতে নেই কোনো আলাদা শেফ। বিক্রেতারাই নিজের হাতে খাবার তৈরি করছেন, পরিবেশনও করছেন। কারও হাতে গ্লাভস নেই, শরীরে নেই অ্যাপ্রোন। বিকেল গড়াতেই এসব ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানে ভিড় জমছে। কোর্ট হাউস স্ট্রিটের পাশেই আছে ‘পিজ অ্যান্ড বার্গ’, ‘পদ্মা ফুডস’ ও ‘হিলিয়াম রেস্টুরেন্ট’-এর মতো নামীদামি খাবারের দোকান। একসময় সন্ধ্যায় এসব প্রতিষ্ঠানে ক্রেতার ঢল নামত। এখন সে ভিড় চলে গেছে রাস্তার পাশে বসা দোকানগুলোর দিকে।

পদ্মা ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদ আহমেদ বলেন, ‘অভিজাত এ এলাকায় একটি খাবারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। অন্তত ১৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিতে হয়। এসব নবায়নে প্রতিবছর মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। ভবন ভাড়া, দামি শেফ ও কর্মচারীর বেতন—সব মিলিয়ে খরচ বিপুল। অথচ রাস্তার পাশে ভ্যানে বসা দোকানে বিনিয়োগ মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। কোনো সনদ নেই, দোকানভাড়া নেই, কর্মচারীও নেই। শুধু দামে সস্তা বলে ক্রেতারা ঝুঁকছেন ওদিকে। সড়ক দখল করে দোকান বসায় যানজটও বাড়ছে। অভিযোগ করেও প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো প্রতিকার মিলছে না।

বগুড়া হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম দেলোয়ার হোসেন বলেন, জলেশ্বরীতলা অভিজাত এলাকা। এখানে দোকান দিতে বিপুল বিনিয়োগ লাগে। নামীদামি দোকানে একটি পিৎজার দাম ৫০০ টাকা হলে ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলেও ক্রেতারা সস্তা পেয়ে সেখান থেকেই কিনছেন। এতে অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলো লোকসানে পড়ছে। এর সঙ্গে তিনি যুক্ত করেন, ‘আমরা স্ট্রিট ফুড ব্যবসার বিরোধী নই। তবে সেটা অভিজাত এলাকা থেকে সরিয়ে পৌর পার্ক, অ্যাডওয়ার্ড পার্কসংলগ্ন সড়ক কিংবা সরকারি আজিজুল হক কলেজের পাশের এলাকায় নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।’

সড়কজুড়ে দোকান, ভোগান্তিতে শহরবাসী

সম্প্রতি দেখা যায়, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে সড়কের এক পাশে ২০-২৫টি ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকান বসেছে। অন্য পাশে ফলের দোকান। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আদালত প্রাঙ্গণের সামনে যানজট লেগেই থাকে।

এ ছাড়া পৌরসভা লেন, জেলা খানা মোড়, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বাকী সড়ক, মহিলা ক্লাব মোড়, শহীদ আবদুল জব্বার সড়ক, সাতমাথা-সার্কিট হাউস সড়কসহ শহরের নানা সড়কেই বসছে ফুচকা, চটপটি, জুস, ফাস্ট ফুড ও ফলের দোকান।

সাতমাথায় প্রতিদিন বসছে অর্ধশতাধিক দোকান। জিলা স্কুলের সামনে চটপটি ও কাবাবের দোকানগুলোর চেয়ার বসানো হয়েছে ফুটপাত দখল করে। কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, থানা মোড়, বড়গোলা, দত্তবাড়ি, কালিতলা—সবখানেই দুই পাশে দোকান।

রাস্তা দখল করে দোকান বসানোয় বেশির ভাগ সময় যানজটে থাকে শহরে। সম্প্রতি তোলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ