মিরপুর বেড়িবাঁধের ১০০ একর জমি দখলমুক্ত
Published: 22nd, May 2025 GMT
রাজধানীর মিরপুর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় যৌথ অভিযানে ১০০ একর দখল হওয়া সরকারি জমি উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টায় এই অভিযান শুরু হয়ে বিকেল সোয়া ৫টা পর্যন্ত চলে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), জেলা প্রশাসন, পুলিশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের জন্য অধিগ্রহণ করা জমি (মিরপুর বেড়িবাঁধ) থেকে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের লক্ষ্যে উচ্ছেদ করা হয়।
উচ্ছেদ চলাকালীন মাইশা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড, করিম রেডিমিক্স, এবিসি রেডিমিক্স, শেল, সাদী ফিলিং, জ্যাক বাংলাদেশ, পাথ বিল্ডার্স, আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ, ঢাকা বোট ক্লাব, তুরাগ রিক্রিয়েশন সেন্টার, এনডিই রেডিমিক্স প্লান্ট-২ সহ বিরুলিয়া এলাকার অবৈধ দোকানপাট ও স্থাপনা অপসারণ করা হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অভ য ন
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতি জেলার একটি নদী দখলমুক্তের পরিকল্পনা নিয়েছি: রিজওয়ানা হাসান
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, প্রতি জেলায় একটি নদী দখল ও দূষণমুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছি। ৫৩-৫৪ বছরে পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ না করে নদীর ওপর অবকাঠামো গড়ে এবং এক ধরনের জেদ করে যে ক্ষতিটা আমরা করেছি, তা এক-দেড় বছরের সরকারের পক্ষে পুরোটা সমাধান করা সম্ভব না। তবে রূপরেখা করে যাওয়া সম্ভব।
সোমবার রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা ও নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আটঘরিয়ায় বড়াল নদী ও স্লুইসগেট পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বড়াল নদী খনন, স্লুইসগেট অপসারণ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় নদী ও পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
বড়াল নদীকে রক্ষা করতে গেছেন জানিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, এ জন্য বড়াল নদী খনন করতে হবে এবং চারঘাট ও আটঘরিয়ায় বড়াল নদীতে স্লুইসগেটের আর দরকার নেই। সমন্বিত উদ্যোগে নদী খননসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু প্রকল্পের স্বার্থে নদীর প্রবাহে আর বাধা রাখা যাবে না। তিনি দায়িত্বে থাকতেই বড়াল নদীর স্লুইসগেট অপসারণ করা হবে বলেও জানান।
এদিকে পরিকল্পনা নিলেও প্রতি জেলার একটি নদী সম্পূর্ণ উদ্ধার করা অন্তর্বর্তী সরকারের স্বল্প সময়ে শেষ করা সম্ভব নয় জানিয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, এ জন্য আমরা প্রতিটি বিভাগে একটি হিসেবে আটটি, কক্সবাজারের একটি এবং ঢাকার চারটি নদী নিয়ে পরিকল্পনা সাজাচ্ছি। আগামী বাজেটে বরাদ্দ এনে এই কাজ শুরুর চেষ্টা করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মহিনুল হাসান, নাটোর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন, রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপার) সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, বড়াল রক্ষা আন্দোলন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমুখ।