প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ গত আট বছরে প্রায় সোয়া ছয় কোটি ফোন গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে সাড়ে তিন কোটি ফোনকলের সঙ্গে সেবা প্রত্যাশার কোনো সম্পর্ক নেই। এ ধরনের অপ্রয়োজনীয় কল করে সেবাপ্রাপ্তিকে বিঘ্ন না করতে অনুরোধ জানিয়েছে ৯৯৯ কর্তৃপক্ষ।

আজ বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৬ কোটি ২৩ লাখ ৮০ হাজার ৯০৭টি ফোনকল গ্রহণ করেছে ৯৯৯। এর মধ্যে জরুরি মুহূর্তে পুলিশ, ফায়ার ও অ্যাম্বুলেন্স সেবাসহ বিভিন্ন তথ্যসেবা দেওয়া হয়েছে ২ কোটি ৭২ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৬ জন কলারকে। যা মোট কলের ৪৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ। তবে এ সময় ৩ কোটি ৫১ লাখ ১ হাজার ২১টি কলের সঙ্গে সেবা প্রত্যাশার কোনো সম্পর্ক নেই। যা মোট কলের ৫৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ কারণে সত্যিকারের বিপদগ্রস্ত জরুরি সেবা প্রার্থীর সেবাপ্রাপ্তি ব্যাহত হচ্ছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১–এর ৭০(১) ধারায় বিরক্তিকর কলের জন্য এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের শাস্তির বিধান থাকলেও ৯৯৯ এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে এই আইনে অভিযোগ আনেনি। বরং ৯৯৯ জনসচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। অপ্রয়োজনীয় কল শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে নাগরিক ও গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেছে ৯৯৯ কর্তৃপক্ষ।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

 ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতায় মশারি টানিয়ে অভিনব কর্মসূচি

চলতি বছরে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গুর প্রার্দুভাব। দীর্ঘ হচ্ছে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর মিছিল। একইসঙ্গে মৃত্যুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও।

তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতায় মশারি টানিয়ে অভিনব  কর্মসূচি পালন করেছেন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ সচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ করছেন পরিবেশ রক্ষা উন্নয়ন ও উন্নয়ন সোসাইটি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে সোনারগাঁ উপজেলার মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে সামনে পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে তারা এমন অভিনব জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করেন।

এদিন অভিনব এই কর্মসূচিতে চোখ আটছে সাধারণ মানুষের। রীতিমত সেখানে উৎসুক মানুষের জটলা সৃষ্টি হয়।

পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন এর সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব মীযানুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,  সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মোগড়াপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান।

এ প্রসঙ্গে পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তাই জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে এ কর্মসূচি পালন করছি।মূলত আমি মশার মধ্যে ঢুকে আছি, এটা একটা প্রতীকী বিষয়।

এর মাধ্যমে আমি ও আমরা মিলে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে চাই। সবাই যদি মশারি টানিয়ে ঘুমাই তাহলে ডেঙ্গু থেকে অনেকইটাই মুক্তি পেতে পারি। তবে মশারিই ডেঙ্গু প্রতিরোধের একমাত্র উপয় নয়। বরং আমরা সবাই যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হই, সেই অনুযায়ী কাজ করি তাহলে আমরা ডেঙ্গু থেকে অনেকটাই নিরাপদে থাকতে পারবো।’

এই সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির মহাসচিব মীযানুর রহমান, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মোগড়াপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান,ডক্টর হেলথকেয়ার হাসপাতালের চেয়ারম্যান হাজী আবুল কাসেম মোল্লা,প্রতিবন্ধী শিশু ও যুবকল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ মহিন সরদার,বৈদ্যারবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি সোহেল মিয়া,নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান,পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিস সহ জনসচেতনতামূলক এ কর্মসূচিতে সংগঠনের বিভিন্ন সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  •  ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতায় মশারি টানিয়ে অভিনব কর্মসূচি