সারজিস আলমকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে আইনি নোটিশ
Published: 24th, May 2025 GMT
ফেসবুকে হাইকোর্ট নিয়ে দেওয়া স্ট্যাটাস ‘মর্যাদাহানিকর’ ও ‘অবমাননাকর’ উল্লেখ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। তাকে এ ঘটনায় লিখিতভাবে ও সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।
শনিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো.
নোটিশে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে সারজিস আলমকে স্ট্যাটাসের বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি নোটিশ গ্রহণের দুই ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশের জনগণের কাছেও তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তা না হলে সারজিস আলমের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করবেন বলে নোটিশে উল্লেখ করেছেন নোটিশদাতা আইনজীবী।
আইনজীবী জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, ‘ক্ষমা না চাইলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত ২২ মে হাইকোর্ট ইশরাক হোসেনকে ঢাকার মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে রিট খারিজ করে আদেশ দেন। ওই আদেশের পর ফেসবুকে পোস্টে এনসিপি নেতা সারজিস আলম লেখেন, ‘মব তৈরি করে যদি হাইকোর্টের রায় নেওয়া যায় তাহলে এই হাইকোর্টের দরকার কি?’
নোটিশে বলা হয়, ‘২২ মে রায় ঘোষণার পর আপনি (সারজিস আলম) ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে ১১টা ৪৯ মিনিটের দিকে ওই রায় নিয়ে একটি প্রতিক্রিয়া দেন। এই স্ট্যাটাস গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ওই স্ট্যাটাসে উল্লিখিত মন্তব্যের মাধ্যমে রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ বিচার বিভাগের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করেছেন। যা দেশের উচ্চ আদালত, যথা-সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি মর্যাদাহানিকর ও আদালত অবমাননাকর।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ত য় ন গর ক প র ট এনস প আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
হাইকোর্ট বেঞ্চ বিভাগীয় শহরে স্থানান্তর না করতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন
হাইকোর্টের বেঞ্চ বিভাগীয় শহরে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরের উদ্যোগ না নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
প্রধান বিচারপতির কাছে লেখা আবেদনটি আজ সোমবার হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের (বিচার) কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবেদনকারী আইনজীবী সাইফুল ইসলাম।
সম্প্রতি হাইকোর্ট ডিভিশনের বেঞ্চ বিভাগীয় শহরে স্থানান্তরের সম্ভাবনার কথা আলোচনায় এসেছে বলে আবেদনে উল্লেখ করেছেন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম। তিনি আবেদনে লিখেছেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন। তাই তিনি এ বিষয়ে তাঁর মতামত ও আপত্তি সদয় বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করছেন।
আবেদনে এই আইনজীবী তাঁর পাঁচটি যুক্তি উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, সংবিধানের ১০০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের মূল আসন রাজধানী ঢাকায় থাকবে। হাইকোর্ট ডিভিশনের সেশন অন্যত্র বসানো গেলেও সেটি অস্থায়ী। এর স্থায়ী স্থানান্তর সাংবিধানিক চেতনার পরিপন্থী।
আইনজীবীর দ্বিতীয় যুক্তি হলো, বিভিন্ন বিভাগে আলাদা বেঞ্চ স্থাপন করা হলে একমুখী আইনপ্রয়োগে ভিন্নতা ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে। এটি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এককতা ও নীতিনির্ধারণের ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
তৃতীয় যুক্তিতে বলা হয়, বিভাগীয় শহরে বিচারপতি, স্টাফ, অবকাঠামো ও নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা অত্যন্ত ব্যয়সাধ্য ও জটিল। এতে রাষ্ট্রের অর্থ, সময় ও দক্ষতার অপচয় হবে।
চতুর্থ যুক্তিতে বলা হয়, স্থানীয় প্রভাব, সামাজিক চাপ ও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বিচারকার্যে প্রভাব ফেলতে পারে। এটি হাইকোর্টের নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস করতে পারে।
পঞ্চম যুক্তিতে আইনজীবী বলেছেন, ঢাকায় হাইকোর্টের মামলার সংখ্যা অনেক বেশি। বিচারপতিদের বিভাগে পাঠানো হলে ঢাকায় বিচারিক জট আরও বেড়ে যাবে।
আবেদনের শেষ অংশে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম লিখেছেন, উল্লিখিত যুক্তির আলোকে হাইকোর্ট ডিভিশনের বেঞ্চ বিভাগীয় শহরে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ার জন্য তিনি বিনীতভাবে অনুরোধ করছেন।