জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ভিজিএফ চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে বিএনপির-জামায়াতের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের সাতজন আহত হয়েছেন। রোববার উপজেলার আলমপুর ইউপি পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় ছাত্রশিবিরের উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ আলী (২৫), আলমপুর ইউনিয়ন বিএনপির ৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি জুয়েল ফকির (৪৫), রাজু (২৫), মাসুদ (৩৭), ছাব্বির হোসেন (১৮), শিহাব (১৮), আবু কাশেম (৪৭) আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে মোহাম্মদ আলী অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার আলমপুর ইউপি পরিষদের ভিজিএফ সুবিধাভোগীদের জন্য ১ হাজার ৫১২ জনের বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দ অনুযায়ী রাজনৈতিক দল বিএনপির জন্য ৩০০, জামায়াতের জন্য ১০২ এবং এনসিপির জন্য ৭০ জনের তালিকাসহ ৯টি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ৩ সংরক্ষিত নারী সদস্যের তালিকা অনুযায়ী চাল বিতরণ শুরু হয়। এর মধ্যে ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন গত ৮ মাস আগে মারা যাওয়ায় ওই ওয়ার্ডের নাগরিকদের ইউপি সেবা প্রদানের জন্য ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য আম্মাদ হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউপি সদস্য আম্মাদ হোসেন ওই ওয়ার্ডে ৫০ জনকে ভিজিএফ সুবিধাভোগী তালিকা করে ইউপি সচিবের কাছে জমা দেন। এ নিয়ে ৯নং ওয়ার্ড বানিয়াচাপর গ্রামের বাসিন্দা ও ছাত্রশিবিরের উপজেলার সভাপতি মোহাম্মদ আলীসহ তার দলের কর্মীদের সঙ্গে ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জুয়েল ফকিরের লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে জুয়েল ফকিরের ওপর জামায়াত-শিবির হামলা চালালে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ খবর পেয়ে স্থানীয় বিএনপির কর্মী সমর্থকরা জামায়াত-শিবিরের ওপর পাল্টা হামলা চালান। এতে উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের মধ্যে মোহাম্মাদ আলীকে বগুড়ার দুঁপচাচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

৯নং ওয়ার্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউপি সদস্য আম্মাদ হোসেন বলেন, প্রকৃত দুঃস্থদের তালিকা করে ভিজিএফ চাল বিতরণ করা শুরু হলে জামায়াত-শিবিরের নেতারা সেখান থেকে কার্ডের ভাগ চান। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতির ওপরে হামলা করে। 

আলমপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মিজানুর রহমান বলেন, ৯নং ওয়ার্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য কাউকে জিজ্ঞাসা না করে এককভাবে তালিকা করে ভিজিএফ চাল বিতরণের চেষ্টা করেন। এতে আমাদের দলীয় লোকজন বঞ্চিত হওয়ায় আমরা পৃথকভাবে কার্ডের দাবি করলে বিএনপির লোকজন চড়াও হন এবং হামলা চালান। 

ক্ষেতলাল থানার ওসি মোহাম্মাদ ফরিদ হোসেন বলেন, ‘ভিজিএফ-এর চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ জ ম য় ত ইসল ম স ঘর ষ ব এনপ র র জন য ভ জ এফ র ইউপ সদস য উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি-জামায়াত পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ৭

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ভিজিএফ চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে বিএনপির-জামায়াতের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের সাতজন আহত হয়েছেন। রোববার উপজেলার আলমপুর ইউপি পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় ছাত্রশিবিরের উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ আলী (২৫), আলমপুর ইউনিয়ন বিএনপির ৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি জুয়েল ফকির (৪৫), রাজু (২৫), মাসুদ (৩৭), ছাব্বির হোসেন (১৮), শিহাব (১৮), আবু কাশেম (৪৭) আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে মোহাম্মদ আলী অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার আলমপুর ইউপি পরিষদের ভিজিএফ সুবিধাভোগীদের জন্য ১ হাজার ৫১২ জনের বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দ অনুযায়ী রাজনৈতিক দল বিএনপির জন্য ৩০০, জামায়াতের জন্য ১০২ এবং এনসিপির জন্য ৭০ জনের তালিকাসহ ৯টি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ৩ সংরক্ষিত নারী সদস্যের তালিকা অনুযায়ী চাল বিতরণ শুরু হয়। এর মধ্যে ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন গত ৮ মাস আগে মারা যাওয়ায় ওই ওয়ার্ডের নাগরিকদের ইউপি সেবা প্রদানের জন্য ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য আম্মাদ হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউপি সদস্য আম্মাদ হোসেন ওই ওয়ার্ডে ৫০ জনকে ভিজিএফ সুবিধাভোগী তালিকা করে ইউপি সচিবের কাছে জমা দেন। এ নিয়ে ৯নং ওয়ার্ড বানিয়াচাপর গ্রামের বাসিন্দা ও ছাত্রশিবিরের উপজেলার সভাপতি মোহাম্মদ আলীসহ তার দলের কর্মীদের সঙ্গে ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জুয়েল ফকিরের লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে জুয়েল ফকিরের ওপর জামায়াত-শিবির হামলা চালালে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ খবর পেয়ে স্থানীয় বিএনপির কর্মী সমর্থকরা জামায়াত-শিবিরের ওপর পাল্টা হামলা চালান। এতে উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের মধ্যে মোহাম্মাদ আলীকে বগুড়ার দুঁপচাচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

৯নং ওয়ার্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউপি সদস্য আম্মাদ হোসেন বলেন, প্রকৃত দুঃস্থদের তালিকা করে ভিজিএফ চাল বিতরণ করা শুরু হলে জামায়াত-শিবিরের নেতারা সেখান থেকে কার্ডের ভাগ চান। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতির ওপরে হামলা করে। 

আলমপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মিজানুর রহমান বলেন, ৯নং ওয়ার্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য কাউকে জিজ্ঞাসা না করে এককভাবে তালিকা করে ভিজিএফ চাল বিতরণের চেষ্টা করেন। এতে আমাদের দলীয় লোকজন বঞ্চিত হওয়ায় আমরা পৃথকভাবে কার্ডের দাবি করলে বিএনপির লোকজন চড়াও হন এবং হামলা চালান। 

ক্ষেতলাল থানার ওসি মোহাম্মাদ ফরিদ হোসেন বলেন, ‘ভিজিএফ-এর চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভিজিএফ কার্ড বিতরণ নিয়ে দ্বন্দ্ব, বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষে আহত ৭