১০ সন্তানকে বাড়িতে রেখে হাসপাতালে গিয়েছিলেন চিকিৎসক মা, সেখানেই এল ৭ জনের মরদেহ
Published: 26th, May 2025 GMT
ফিলিস্তিনি চিকিৎসক আলা আল-নাজ্জার শুক্রবার সকালে দক্ষিণ গাজার নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিলেন। তাঁর ১০ সন্তানের সবাই বাড়িতেই ছিল।
কয়েক ঘণ্টা পর হাসপাতালে তাঁর সাত সন্তানের মরদেহ এসে পৌঁছায়। তাদের বেশির ভাগেরই শরীর ছিল দগ্ধ।
গাজা সিভিল ডিফেন্স বলেছে, নাজ্জারের বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় তাঁর ৯ সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পরপরই তাঁর সাত সন্তানের মরদেহ হাসপাতালে আনা হলেও দুজনের মরদেহ শনিবার সকাল পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে ছিল। নিহত শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বড়টির বয়স ১২ বছর। আর সবচেয়ে ছোটটির বয়স সাত মাস।
ওই হামলায় নাজ্জারের শুধু একটি সন্তান প্রাণে বেঁচে যায়। তবে সে–ও গুরুতর আহত হয়েছে। হামলায় নাজ্জারের স্বামীও মারাত্মক রকমের আহত হয়েছেন। তিনিও একজন চিকিৎসক।
আলা আল-নাজ্জারের পারিবারিক বাড়িটির অবস্থান গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের একটি আবাসিক এলাকায়। গাজা সিভিল ডিফেন্স ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, বাড়িটিতে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সিএনএনের পক্ষ থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তারা সিএনএনকে বলেছে, খান ইউনিস এলাকায় আইডিএফ সেনাদের নিকটবর্তী স্থাপনায় তৎপরতা চালানো কয়েকজন সন্দেহভাজনকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আরও বলেছে, তারা বেসামরিক প্রাণহানির অভিযোগটি খতিয়ে দেখছে।
গাজা সিভিল ডিফেন্স হামলাস্থলের একটি হৃদয়বিদারক ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যায়, চিকিৎসাকর্মীরা একজন আহত ব্যক্তিকে স্ট্রেচারে তুলছেন। আর অন্য উদ্ধারকর্মীরা আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়িটির আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। তাঁরা ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে একে একে শিশুদের ঝলসে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করে সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে নিচ্ছেন।
নাজ্জারের ১০ সন্তানের মধ্যে শুধু আদমই প্রাণে বেঁচে গেছে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স তাঁর স্ত্রী উষা ভ্যান্স ক্যাথলিক গির্জার মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে কোনো একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন বলে যে মন্তব্য করেছিলেন, তা নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। নিজের এ মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বিশাল এক পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
জেডি ভ্যান্স বলেন, তাঁর যে মন্তব্য নিয়ে কথা হচ্ছে, সেটি মূল বক্তব্য থেকে কেটে নেওয়া একটি অংশ। কোন প্রসঙ্গে তিনি ওই মন্তব্য করেছেন, সেটা দেখানো হয়নি।
গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে তরুণদের সংগঠন ‘টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ’র একটি অনুষ্ঠানে এক তরুণীর প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ভ্যান্স তাঁর স্ত্রী উষা একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত উষা হিন্দু সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠেছেন।
স্ত্রী একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, ভ্যান্সের এ মন্তব্য কি তাঁর স্ত্রীকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়ার ইঙ্গিত।
স্ত্রী একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা ভিডিও ভাইরাল হওয়া পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, ভ্যান্সের এ মন্তব্য কি তাঁর স্ত্রীকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়ার ইঙ্গিত।জবাব দিতে এক্স পোস্টে ভ্যান্স বলেন, একটি পাবলিক ইভেন্টে তাঁকে তাঁর আন্তধর্মীয় বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি ওই প্রশ্ন এড়িয়ে যেত চাননি, উত্তর দিয়েছেন।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘প্রথমেই বলি, প্রশ্নটি আসে আমার বাঁ পাশে থাকা একজনের কাছ থেকে, আমার আন্তধর্মীয় বিয়ে নিয়ে। আমি একজন পাবলিক ফিগার, লোকজন আমার ব্যাপারে জানতে আগ্রহী এবং আমি প্রশ্নটি এড়িয়ে যেতে চাচ্ছিলাম না।’
এ বছর জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে জেডি ভ্যান্স ও তাঁর স্ত্রী উষা ভ্যান্স