মির্জা ফখরুলের নামে ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ আইডি খুলে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ২
Published: 26th, May 2025 GMT
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তার ছোটভাই বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিনের নাম-ছবি ব্যবহার করে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে আইডি খুলে প্রতারণার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- হায়দার রহমান জয় (২০) ও শাকিল আহমেদ (৪৬)। রোববার নীলফামারী জেলার ডিমলা থেকে শাকিল আহমেদকে ও শনিবার রাতে হায়দার রহমান জয়কে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। টাঙ্গাইলের দিঘুলিয়া বেড়াডোমা গ্রামের আনিছুর রহমান নাহিদের ছেলে আর শাকিল আহমেদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
জেলা বিএনপি নেতা নূর-এ-শাহাদাৎ স্বজন ও সাইফুল ইসলাম সবুজের পৃথক অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মির্জা ফখরুলের নাম ব্যাবহার করে প্রতারণার বিষয়ে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে নূর-এ-শাহাদাৎ স্বজন উল্লেখ করেছেন, গত ১৭ মে ২০২৫ রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় তিনি জানতে পারেন যে, ‘জয় খান’ (হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর: ০১৭০৪-৫৫৩০৫৫) নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এক ব্যক্তি (পরিচয় ও ঠিকানা অজ্ঞাত) মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি তৈরি করেছেন। এই ভুয়া আইডি ব্যবহার করে অভিযুক্ত প্রতারকচক্র নিজেদের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পরিচয় দিয়ে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন ব্যক্তিকে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ এবং সংসদ সদস্যের মনোনয়ন পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে চাঁদা ও অর্থ দাবি করছিল। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কোনো প্রকার সম্পর্ক নেই। ভবিষ্যতে তার নাম ভাঙিয়ে বড় ধরনের ক্ষতি সাধিত হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরোয়ারে আলম খান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে পৃথক পৃথক স্থান থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার সন্ধ্যায় অভিযুক্তদের আদালতের মাধ্যমে পুলিশ পাঁচদিন রিমান্ড চাইলে বিজ্ঞ বিচারক আসামি হায়দার রহমান জয়ের তিন দিন এবং অপর আসামি শাকিল আহমেদের দুই দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ঘটনায় তদন্ত চলমান রয়েছে। আরও কেউ জড়িত কিনা তা কিনা বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঠ ক রগ ও ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র ম র জ ফখর ল ফখর ল ইসল ম আলমগ র গ র প ত র কর হ য় টসঅ য প শ ক ল আহম দ র রহম ন ফ সব ক ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীকে অপহরন, মুক্তিপন দাবি : গ্রেপ্
বন্দরে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ী শাহীন মিয়া (৩৫)কে অপহরন পর শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি ঘটনায় অপহরকারি চক্রের হোতা মেহেদী হাসান (৩০)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত অপহরণকারি মেহেদী হাসান বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের শুভকরদী এলাকার আলমগীর মোল্লার ছেলে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী শাহীন মিয়া বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃক অপহরনকারি মেহেদী হাসান ও এক নারীসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
এর আগে গত সোমবার (২৬ মে) বিকেল ৫টায় মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখা থানার নিমতলা ফুটওভার ব্রিজের নিচে থেকে অপহরনের পর বন্দর এলাকায় মুক্তিপন দাবি ঘটনাটি ঘটে।
মামলার তথ্যসূত্রে জানাগেছে, সুদূর পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার ধানখালি এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে শাহীন মিয়া পেশায় একজন ব্যবসায়ী। এ সুবাদে ১নং বিবাদী বন্দর থানার শুভকরদী এলাকার আলমগীর মোল্লার ছেলে মেহেদী হাসান ব্যবসায়ী শাহীন মোল্লার প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করত।
উক্ত কর্মচারি চাকুরি করা কালিন সময়ে বিভিন্ন অপকর্মের জন্য তাকে চাকুরীচুত করা হয়। কর্মচারি মেহেদী হাসান চাকুরি ছাড়ার পর থেকে মালিক ব্যবসায়ী শাহীন মিয়াকে বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি সাধনের জন্য পাঁয়তারা করে আসছিল।
এর ধারাবাহিকতায় ফতুল্লা থানার তল্লা এলাকার আলমগীর হোসেন মিয়ার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (২৮) তার এর ইমু থেকে উল্লেখিত ব্যবসায়ীকে বন্ধুত্ব করার অনুরোধ করে। ব্যবসায়ী শাহীন বেশ কিছু দিন ২ নং বিবাদী সাথে ইমুতে কথা বলে।
পরবর্তিতে শাহীন মিয়া ব্যবসায়ী কাজের জন্য ঢাকা উদ্দেশ্য রওনা করিলে ২নং বিবাদী সুমাইয়া আক্তার ব্যবসায়ী শাহীন মিয়াকে দেখা করার জন্য মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদীখা থানার নিমতলা মেইনরোডস্থ ফুটওভার ব্রীজের নিচে আসতে বলে।
২নং বিবাদী কথা অনুযায়ী গত সোমবার (২৬ মে) বিকেল ৫টায় ব্যবসায়ী শাহীন মিয়া উল্লেখিত স্থানে এসে একটি অজ্ঞাত চায়ের দোকানে বসলে ওই সময় অপরহরনকারি চক্রের ৪ সদস্য সাঈদ, সিজান, রুবেল ও রনী একটি প্রাইভেটকার যোগে এসে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ী শাহীনকে অজ্ঞাত নামা গাড়ীযোগে অপহরন করে বন্দর থানার ২৪ নং ওয়ার্ডের দেউলী চৌরাপাড়া বটতলা একটি অজ্ঞাত ক্লাবে আটক রেখে সকল বিবাদীগন শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে মানিব্যাগে রাখা নগদ ২৫ হাজার টাকা ও ১টি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেওয়ার পরও ২০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে।
এ ছাড়াও বিবাদীদের দাবীকৃত টাকা না দিলে বিধানীগন ব্যবসায়ী শাহিনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়াসহ প্রাননাশের হুমকি প্রদান করে ০৫ টি ১০০ টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রাখে। পরবর্তীতে উল্লেখিত বিবাদীরা ব্যবসায়ী শাহিনকে চোখে কালো কাপড় বেধে বন্দর রাত ১টায় বন্দর থানার শুভকরদীস্থ চাকুরিচ্যুত ১ নং বিবাদী মেহেদী হাসানের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে বিবাদীরা পুনরায় মারপিট করিয়া ভিডিও ধারন করে ব্যবসায়ী আত্মীয় স্বজনদের নিকট ভিডিও পাঠাইয়া মুক্তিপন দাবী করিতে থাকে।
বিবাদীরা ব্যবসায়ী শাহীনকে আটক রেখে গত বুধবার (২৮ মে) রাত ৩টায় বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি ও প্রান নাশের হুমকি প্রদান করিয়া ফরাজীকান্দ্য মেইন রোডে দিয়ে যায়। পরে ফরাজীকান্দা মেইনরোডে টহল পুলিশের গাড়ী দেখিয়া থামানোর সংকেত দিলে টহল পুলিশ গাড়ী থামাইলে অপহৃত ব্যবসায়ী ঘটনার বিষয়ে থানা পুলিশকে জানাইলে থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করিয়া ব্যবসায়ী দেখানোমতে অপহরনকারি মেহেদী হাসানকে তাহার নিজ বসত বাড়ী হইতে আটক করিয়া জিজ্ঞাসাবাদ করিলে সে তাহার এবং পলাতক আসামীদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করে এবং অজ্ঞাতনামা ০২/০৩ জন আসামীদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করিতে অস্বীকৃতি জানায়।