বগুড়ায় বাহাদুরকে নিয়ে বিপাকে খামারি, দাম চাচ্ছেন ১০ লাখ টাকা
Published: 26th, May 2025 GMT
আসন্ন কোরবানিকে কেন্দ্র করে বগুড়ায় প্রস্তুত করা হয়েছে বাহাদুর নামের একটি বিশাল আকৃতির গরু। গরুটির ওজন ১,২৩০ কেজি, উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি এবং রং সাদা-কালো। তবে এত যত্নে লালন-পালন করা বাহাদুরকে নিয়ে এখন বিপাকে পড়েছেন খামারি রবিউল করিম রবিন।
বাহাদুরকে হাটে তুলতে প্রয়োজন বড়সাইজের ট্রাক, যেটি পাওয়া ও ব্যবস্থাপনা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। হাটে নামানো, আবার তোলা—প্রতিটি ধাপে রয়েছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। ফলে গরুটি খামারেই বিক্রি করতে চাচ্ছেন রবিন, তবে এখনও প্রত্যাশিত দামে ক্রেতা মেলেনি।
বগুড়া শহরের মালিতনগরে এমএস ক্লাব মাঠের পাশে অবস্থিত ‘ভাই ভাই ডেইরি’ নামের খামারে লালন-পালন করা হচ্ছে বাহাদুরকে। রবিউল করিম রবিন জানান, গরুটির দাম তিনি চাচ্ছেন ১০ লাখ টাকা, যদিও এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রস্তাব এসেছে।
খামারটি প্রতিষ্ঠা করেন রবিউলের বাবা আমজাদ হোসেন ১৯৬৫ সালে মাত্র একটি গরু দিয়ে। বর্তমানে রবিউল ও তার ভাই রাশেদুল ইসলাম মিলে খামারটি পরিচালনা করছেন। এবছর কোরবানির জন্য তারা প্রস্তুত করেছেন ১৩টি গরু।
রবিন জানান, তারা প্রাকৃতিক খাদ্যে গরু মোটাতাজা করেন, যেমন ভুষি ইত্যাদি। বয়লার ফিড দিয়ে দ্রুত গরু মোটাতাজা করার বিপক্ষে তারা। বাহাদুরকে তিনি সন্তানের মতোই লালন করেছেন বলে জানিয়েছেন, তাই বিক্রি করতে মন চায় না—তবুও বাস্তবতার কারণে বাধ্য হচ্ছেন।
বগুড়া সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।