আসছে কোরবানির ঈদে মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘ইনসাফ’-এর পোস্টার ঝড় তোলে নেট দুনিয়ায়। মোশাররফ করিম, তাসনিয়া ফারিণ, শরিফুল রাজের লুক নজর কাড়ে সিনেমাপ্রেমীদের। একের পর এক ধামাকা দেখাচ্ছেন সিনেমার নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দার। এবার অনলাইনে গত রোববার  এসেছে ‘ইনসাফ’ সিনেমার ওয়ার্নিং।  

ওয়ার্নিংয়ের শুরুতে ক্ষতবিক্ষত মরদেহ একটি জলাধারের পাশে পড়ে আছে। তাতেই আঁচ করা যায় দর্শকদের জন্য কী ধামাকা অপেক্ষা করছে। এরপরই শুরু হয় ভায়োলেন্স আর অ্যাকশন দৃশ্য। একটু পরেই সামনে আসেন এ সিনেমার অন্যতম অভিনেতা শরিফুল রাজ। এক মিনিট বাইশ সেকেন্ডের ওয়ার্নিং যেন সত্যিই ওয়ার্নিং দিয়ে গেল। 

চেনা শরিফুল যেন অচেনারূপে। ভিডিও থেকে একটি কণ্ঠ ভেসে আসছে যেখানে শোনা যাচ্ছে, ঢাকা শহরে এত অপরাধ বেড়ে গেছে। সবাই ভাবছে এক সময়ের ত্রাস ইউসুফ হয়তো আবার ফিরে এসেছে। আজব ক্যারেক্টার। খুন করার পর নাকি সে দুধ দিয়ে গোসল করে। ইউসুফ কোনো সাধারণ মাস্তান না। 

একের পর এক মারকাটারি দৃশ্যে ত্রাস তৈরি করেছেন শরিফুল রাজ! শুধু একা নন পুরো দল নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় হামলা করছেন ইউসুফ। তাঁর আতঙ্কে তটস্থ গোটা অঞ্চল। এরপরই শরিফুলকে বলতে শোনা যায়, বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে ভালো কাজ করছে কিন্তু অসম্মানিত হয় নাই এমন একটা মানুষ দেখান তো! 

শরিফুলময় ‘ইনসাফ’-এর ওয়ার্নিংয়ে পুলিশের চরিত্রে দেখা গেছে  ফারিণকে। ভিডিওতে দেখা গেছে খলঅভিনেতা মিশা সওদাগর, অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবুকে। 
‘ইনসাফে’র ওয়ার্নিংয়ে হালকা সাদা-পাকা চুল, দাড়িতে এক ঝলক দেখা গেছে নন্দিত অভিনেতা মোশাররফ করিমকে। তিনিও অ্যাকশন অবতারে নজর কেড়েছেন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শর ফ ল র জ অভ ন ত ইনস ফ

এছাড়াও পড়ুন:

হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা

সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল‌্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’ 

জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই ‍আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব‌্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।

সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।

তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"

"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।

ঢাকা/ইয়াসিন 

সম্পর্কিত নিবন্ধ