পবিত্র ঈদুল আজহা এবং গ্রীষ্মকালীন অবকাশ উপলক্ষে ২১ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)।
আগামী ১ জুন (রবিবার) থেকে শুরু হওয়া ছুটি শেষ হবে আগামী ২১ জুন (শনিবার)। তবে ছুটি শেষে ১৭ জুন থেকে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হবে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড.
আরো পড়ুন:
কুবির আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে বিজয়ী আইন বিভাগ
বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ‘নাকাল’ কুবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
তিনি বলেন, “পবিত্র ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ উপলক্ষে আগামী ১ জুন (রবিবার) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আগামী ১৯ জুন (বৃহস্পতিবার) ছুটি শেষ হলেও পরের দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি (শুক্রবার, শনিবার) থাকায় ২২ জুন (রবিবার) থেকে যথারীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে।”
তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীরা চাইলে আবাসিক হলগুলোতে অবস্থান করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট হলের অফিস কক্ষে শিক্ষার্থীদের নাম লিপিবদ্ধ করতে হবে।
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ কমিটির আহ্বায়ক ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, “ক্যাম্পাস যেদিন বন্ধ হবে ওইদিন থেকেই হলও বন্ধ থাকবে। হলের প্রশাসনিক কাজ, ডাইনিংসহ সব ব্যবস্থা বন্ধ থাকবে।”
তিনি বলেন, “কোনো শিক্ষার্থী যদি হলে অবস্থান করতে চায়, তাহলে তাকে পূর্বের মতো হলের রেজিস্ট্রি খাতায় নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।”
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘ওজোনস্তর ক্ষয়ে স্বাস্থ্য, কৃষি ও প্রাণিজগৎ ঝুঁকির মুখে’
ওজোনস্তর ক্ষয়ের ফলে মানবস্বাস্থ্য, কৃষি উৎপাদন ও প্রাণিজগৎ ঝুঁকির মুখে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেছেন, “ওজোনস্তর রক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য।”
বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, “মন্ট্রিয়ল প্রটোকলের মতো কার্যকর আন্তর্জাতিক আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কারণে পৃথিবী আজ ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে। এটি একটি দৃষ্টান্ত যে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে আন্তর্জাতিক আইনও কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা যায়।”
উন্নত দেশগুলো অর্থ ও প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা করায় ওজোনস্তর রক্ষায় বৈশ্বিক সাফল্য এসেছে মন্তব্য করে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায়ও একইভাবে উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি ও সহযোগিতা অপরিহার্য। আমরা চাই, সমালোচনাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপে রূপান্তরিত করা হোক। ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক আচরণে পরিবর্তন আনলেই টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সম্ভব।”
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মহিউদ্দিন মানিক।
এতে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. জিয়াউল হক এবং ইউএনডিপির প্রতিনিধি।
অনুষ্ঠানে বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা