সংস্কার ও বিচারের নামে নির্বাচন নিয়ে হেলাফেলা চলবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশে তারুণ্যের সুনামি হচ্ছে। এই সমাবেশ গণতন্ত্রের বার্তা দিচ্ছে। গণতন্ত্রের বার্তা হচ্ছে নির্বাচন। গণতন্ত্রের পথ হলো নির্বাচন। নির্বাচন নিয়ে হেলাফেলা চলবে না। সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর সুযোগ নেই। বিচারের কথা বলে রোডম্যাপ পেছানোর সুযোগ নেই।

আজ বুধবার নয়াপল্টনে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এ সমাবেশ আয়োজন করে।

আমীর খসরু বলেন, সংস্কার নিয়ে বিএনপির আগে কেউ কথা বলেনি। সাত বছর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০ এর মাধ্যমে জাতির কাছে সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেছেন। দুই বছর আগে ২৭ দফা সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেছেন তারেক রহমান। তারপর যারা মিলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি তারা ৩১ দফা ঘোষণা করেছি। এখন কেউ কেউ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে ঐক্যমত্য হয়নি বলে বক্তব্য দিচ্ছেন। কান পেতে শুনুন সেই সংস্কার করবে দেশের জনগণ। যতই গুরুত্বপূর্ণ হোক সেই সংস্কার ব্যালট-ভোটের মাধ্যমে হবে। আপনাদের মাধ্যমে হবে। আপনারা কে?

তিনি বলেন, বিচারের কথা বলছে। আমাদের মতো, বিএনপির মতো ক্ষতিগ্রস্ত কেউ হয়েছে? গুম-খুন, ব্যবসা বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বড় ত্যাগ স্বীকার করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শেখ হাসিনার পতনের জন্য দেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন, সেনাপতির ভূমিকায় তারেক রহমান কাজ করেছেন। কারও বিচার করতে হলে সেটা বিএনপি করবে। বিচার অসম্পূর্ণ থাকলে সেটা বিএনপি করবে। কারণ আমাদের মতো এত ত্যাগ স্বীকার কেউ করেনি।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার পতন না হলে এই লোকগুলো কোথায় থাকত? কেউ বিদেশে, কেউ যে চাকরি করছে সেখানে থাকত। আমরা থাকতাম জেলে না হয় ফাঁসির মঞ্চে। তোমাদের ওপর ভরসা নেই। বিচার বিএনপি করবে। ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার গঠন করতে হবে। সেই নির্বাচন বিলম্বিত করা হলে তরুণরা জবাব দেবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’

তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’

অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’

পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’

আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’

ঢাকা/আসাদ/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
  • আমেরিকানদের হাতে সময় আছে মাত্র ৪০০ দিন
  • হুংকার দিয়ে জাতীয় নির্বাচন ঠেকান যাবে না: জাহিদ হোসেন
  • বাংলাদেশ পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে: আইরিন খান
  • কেমন সংবিধান চান, জানালেন এনসিপি নেতা আখতার হোসেন
  • বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় ইইউ