জাপানে সফররত বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্মানে দ্য নিপ্পন ফাউন্ডেশনের প্রধান ইয়োহেই সাসাকাওয়া বুধবার টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে এক নৈশভোজের আয়োজন করেন। এ সময় দুই নেতা রোহিঙ্গা সংকট, মিয়ানমারের উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বজুড়ে মানবিক সংকটে অনুদান ও সহায়তা দ্রুত হ্রাসের বিষয়ে আলোচনা করেন। প্রধান উপদেষ্টা প্রেস উইং এসব তথ্য জানিয়েছে। 

ড.

ইউনূস সহিংসতা কবলিত মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করার জন্য ইয়োহেই সাসাকাওয়ার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

নিপ্পন ফাউন্ডেশন এবং সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনের প্রধান হিসেবে ইয়োহেই সাসাকাওয়া ১৫০ বারেরও বেশি বার মিয়ানমার সফর করেছেন এবং মিয়ানমার সরকার ও দেশটির ১০০টিরও বেশি জাতিগোষ্ঠী তাকে অত্যন্ত সম্মান করে।

ড. ইউনূস রোহিঙ্গা সংকট সমাধান এবং বাংলাদেশে বসবাসরত প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে সাসাকাওয়ার সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি মিয়ানমারের সব দিক থেকে আপনি গভীর শ্রদ্ধার পাত্র।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রতি বছর বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় ৩৫ হাজার শিশু জন্মগ্রহণ করে এবং তারা কোনও ধরনের আশা ছাড়াই বেড়ে উঠছে।’

মাদকের চোরাচালান বেড়ে যাওয়ায় ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য বিস্ফোরক ও বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আগেই আমাদের সাহায্য করুন।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকটের অবসান ঘটাতে হবে। এটি একটি ভালো মুহূর্ত। আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি।’

প্রধান উপদেষ্টা ইউএসএআইডি সহায়তা স্থগিতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত আইসিডিডিআর’বি’র জীবন রক্ষাকারী স্বাস্থ্যসেবা গবেষণার জন্য নিপ্পন ফাউন্ডেশনের সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা সাসাকাওয়াকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। 

নৈশভোজে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউন স

এছাড়াও পড়ুন:

আইএলডিটিএস পলিসি বহাল রাখার দাবি আইসিএক্স অপারেটরদের

আন্তর্জাতিক দূরপাল্লার টেলিযোগাযোগ সেবা নীতিমালা (আইএলডিটিএস) বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জ (আইসিএক্স) অপারেটররা। বিটিআরসির নতুন লাইসেন্সিং নীতিমালায় দেশীয় উদ্যোক্তাদের ক্ষতির মুখে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তারা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘খসড়া টেলিযোগাযোগ নীতিমালা–২০২৫: ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জের (আইসিএক্স) প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় আইসিএক্সের নেতারা এসব অভিযোগ করেন। কর্মশালাটি আয়োজন করে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি)।

কর্মশালায় আইসিক্স খাতের ব্যবসায়ীরা বলেন, খসড়া টেলিযোগাযোগ লাইসেন্সিং নীতিমালায় উল্লেখিত আইসিএক্স অপারেটররা টেলিযোগাযোগ ইকোসিস্টেমে কোনো মূল্য সংযোজন না করে খরচ বাড়াচ্ছে। সেবার গুণগত মান কমাচ্ছে এবং বাজারের গতিশীলতাকে বাধাগ্রস্ত করছে—এমন মন্তব্য বিভ্রান্তিমূলক। প্রকৃত চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো।

উল্লেখ্য, কথা বলার ক্ষেত্রে এক মোবাইল অপারেটরের সঙ্গে অন্য অপারেটরের কল আদান-প্রদান হয় ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জ বা আইসিএক্সের মাধ্যমে।

আরও পড়ুনকথা বলা ও ইন্টারনেট সেবায় মধ্যস্বত্বভোগী কমবে, গ্রাহকের লাভ কী২৩ এপ্রিল ২০২৫

আইসিএক্স অপারেটররা না থাকলে সরকার বছরে ২৮০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব হারাবে বলে কর্মশালায় দাবি করেন আইসিএক্স অপারেটররা। তাঁরা বলেন, এতে দেশের বাজারে বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানি তথা মোবাইল অপারেটরদের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে। তাই দেশীয় উদ্যোক্তাদের ক্ষতি এড়াতে আইএলডিটিএস নীতিমালা বহাল রাখার দাবি জানান তাঁরা।

কর্মশালায় বক্তব্য দেন টেলিকমিউনিকেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার অপারেটর অব বাংলাদেশের (টিআইওবি) সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশীদ আলম প্রমুখ।

টিআরএনবির সভাপতি সমীর কুমার দের সঞ্চালনায় কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন। কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশন অব আইসিএক্স অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এআইওবি) সহসভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম, ভয়েসটেলের চিফ অপারেটিং অফিসার মুস্তাফা মাহমুদ হোসেন, বাংলা আইসিএক্সের পরিচালক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

আরও পড়ুনআন্তর্জাতিক ফোনকল আনা: সালমানের ‘গড়া সিন্ডিকেট’ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিটিআরসির১২ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ