কেবল আবেদনময়ী চরিত্র নয়, নারীরাও পারেন গল্পের চালিকা শক্তি হতে: দীপিকা
Published: 29th, May 2025 GMT
বলিউডের শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রীদের একজন দীপিকা পাড়ুকোন। দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তৈরি করেছেন নিজের অবস্থান। শুধু গ্ল্যামার বা আবেদনময়ী চরিত্র নয়, বৈচিত্র্যময় ও প্রভাবশালী চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়েই তিনি আজকের দীপিকা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে হিন্দি সিনেমায় নারী চরিত্রের বিবর্তন ও নিজের ক্যারিয়ার ভাবনা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।
দীপিকা মনে করেন, হিন্দি সিনেমায় নারীর অবস্থান আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। ‘একসময় শুধু নায়িকাদের ছবির সৌন্দর্য বাড়ানো বা যৌন আবেদনের জন্যই রাখা হতো। হালকা হাস্যরসের জন্য কিংবা নায়কের পেছনে নেচে–গেয়ে থাকতেন। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। নারী চরিত্র এখন শুধু অনুষঙ্গ নয়, গল্পের চালিকা শক্তিও হতে পারে,’ বলেছেন দীপিকা।
তিনি আরও বলেন, ‘নারী চরিত্র এখন বিকশিত হয়েছে। যে সময় আমি অভিনয় শুরু করি, তখন গল্পের কেন্দ্রে নারীদের দেখা যেত খুবই কম। কিন্তু এখন চরিত্রগুলো আরও গভীর, পরিপক্ব ও সাহসী। এই পরিবর্তন আমাকে ভিন্ন স্বাদের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ দিয়েছে। আমি তা উপভোগ করছি।’
দীপিকা পাড়ুকোন। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চর ত র
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য
এশিয়া কাপে আজকের রাত যেন এক নাটকীয় অধ্যায়। ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবুধাবির মাঠে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া এই লড়াই কেবল দুই দলের নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ভাগ্যও। কোটি টাইগার সমর্থক তাই আজ তাকিয়ে থাকবে টিভি পর্দায়। কারণ, এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে, বাংলাদেশ কি সুপার ফোরে উড়াল দেবে, নাকি গ্রুপ পর্বেই শেষ হবে স্বপ্নযাত্রা।
গ্রুপের সমীকরণ এখন টানটান নাটকের মতো। তিন ম্যাচে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শ্রীলঙ্কা। সমান ৪ পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ঝুলিতে আছে ২ পয়েন্ট; এক জয় ও এক হারের ফল। হংকং অবশ্য তিন ম্যাচেই হেরে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে।
আরো পড়ুন:
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান
এখন হিসাবটা এমন—
আফগানিস্তান হেরে গেলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই সুপার ফোরে।
আফগানিস্তান জিতলে সমীকরণ জটিল হবে। তখন শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের পয়েন্ট সমান ৪ হলেও নেট রান রেটে স্পষ্ট এগিয়ে থাকবে আফগানরা (২.১৫০)। শ্রীলঙ্কার রান রেট ১.৫৪৬, আর বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে -০.২৭০-তে।
অর্থাৎ আফগানিস্তান যদি জেতে, তবে বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে এক অসম্ভব সমীকরণের দিকে। সেটা হলো- লঙ্কানদের অন্তত ৭০ রানের ব্যবধানে হারতে হবে এবং তা করতে হবে ৫০ বল হাতে রেখে। অন্যথায় রান রেটের খেলায় পিছিয়েই থাকতে হবে টাইগারদের। তবে বৃষ্টি যদি হানা দেয় কিংবা ম্যাচ কোনো কারণে পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দু’দলই নিশ্চিতভাবেই চলে যাবে সুপার ফোরে।
ম্যাচকে ঘিরে দুই শিবিরেই চাপ-উত্তেজনার আবহ। আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব মনে করেন, চাপটা আসলে শ্রীলঙ্কার ওপরই বেশি, “আমরা এসব টুর্নামেন্ট খেলতে অভ্যস্ত, আমাদের কোনো চাপ নেই। শ্রীলঙ্কা ভালো দল ঠিকই, তবে তারাও চাপে থাকবে। আমার মনে হয় দারুণ একটা ম্যাচ হবে।”
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। হ্যাঁ, বাংলাদেশের সমর্থকরা আমাদের জয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরাও জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব।”
হংকংয়ের বিপক্ষে জিতলেও শ্রীলঙ্কাকে ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা বলছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়টা সহজ হবে না তাদের জন্যও। শেষ পর্যন্ত কারা হাসবে জয়ের হাসিতে, আর কোন সমীকরণে দাঁড়াবে বাংলাদেশের ভাগ্য; এই প্রশ্নের উত্তরই দেবে আজকের আবুধাবির রাত।
ঢাকা/আমিনুল