শেপো এনতুলির আচরণ ছিল মারমুখী। কথার লড়াই থেকে বাগ্বিতণ্ডা, চোখ রাঙানি এবং শারীরিকভাবে হেনস্তা করার মতো ঘটনা ঘটান তিনি। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের অফ স্পিনার এনতুলি মাঠের শৃঙ্খলা ভাঙেন বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের পেসার রিপন মণ্ডলের হেলমেট ধরে টানাটানি করে।

ম্যাচটি টিভিতে সম্প্রচার হওয়ায় অনাকাঙ্ক্ষিত সেই ঘটনার ভিডিও মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভিডিওটি দেখে এনতুলি ও দক্ষিণ আফ্রিকা দলের দিকে আঙুল তোলা স্বাভাবিক। কেউই হয়তো পেছনের ঘটনার খোঁজ নেবে না।

বাস্তবতা হলো, প্রোটিয়া স্পিনারের উত্তেজিত হওয়ার পেছনে একটি কারণ আছে। ম্যাচ অফিসিয়াল ও টিম ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লুজ বল করে ছয় খেয়ে নিজের ওপর হতাশা প্রকাশ করতে ইংরেজি বিশেষ শব্দ ব্যবহার করেন এনতুলি। ইংরেজিভাষী মানুষ অবলীলায় শব্দটির চর্চা করেন। রিপন তা বুঝতে না পেরে প্রতি-উত্তর দেন এনতুলির বান্ধবীকে জড়িয়ে। বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে রিপনের দিকে তেড়ে গিয়ে বিতণ্ডা ও হেলমেট ধরে টানাটানির ঘটনায় জড়ান এনতুলি।

বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের ইনিংসে ১০৫তম ওভারে বোলার ছিলেন এনতুলি। তাঁর করা প্রথম বলটিই লং অন দিয়ে মাঠের বাইরে আছড়ে ফেলেন রিপন। বাজে বল করায় বোলার হতাশা প্রকাশ করেন নিজের মতো করে। রিপন তখন নন স্ট্রাইক ব্যাটার মেহেদীর কাছাকাছি ছিলেন। তিনি মনে করেছিলেন, বোলার তাঁকে গালি দিয়েছেন। এনতুলি এগিয়ে আসার পরও রিপন নিজের ভুল বুঝতে না পারায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে বলে ম্যাচ অফিসিয়ালদের একজন জানান।

এনতুলি আক্রমণাত্মক হওয়ায় রিপন দুই হাতে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন। এ সময় প্রোটিয়া বোলার দু’বার রিপনের হেলমেট ধরে টেনে নিচে নামান। আম্পায়ার মুহাম্মদ কামরুজ্জামান এনতুলিকে জাপটে ধরে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে, পাশ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার অন্য দুই ক্রিকেটার রিপনের দিকে তেড়ে যান। ক্রিকেটার মিকা এল প্রিন্স আঙুল উঁচিয়ে শাসাতে থাকেন রিপনকে। তখন লেগ আম্পায়ার আরমো জ্যাকবস ছুটে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

ঘটনা সেখানেই শেষ হয়নি। তিন বল পরে ক্রিজ না ছাড়লেও রিপনের দিকে আচমকা বল ছুড়ে মারেন এনতুলি। ব্যাট দিয়ে বল থামাতে না পারলে বড় ধরনের আঘাত পেতেন স্বাগতিক ব্যাটার। ওই ঘটনার পর প্রোটিয়াদের হতাশা বাড়িয়ে দুটি চারের সঙ্গে একটি ছয় মারেন রিপন। এনতুলির বলেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলার চেষ্টা করলে স্টাম্পিং হন তিনি। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৮১ বলে করেন ৪৩ রান। দলীয় স্কোর ৩৭১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ ইমার্জিং।

এনতুলি কেন চটেছিলেন– জানতে চাওয়া হলে রিপন বলেন, ‘ওর বলে কেউ ছয় মারলেই খারাপ ব্যবহার করে। আগেও করেছে।’ এ ব্যাপারে ম্যাচ রেফারি সেলিম শাহেদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আম্পায়ারদের রিপোর্ট হাতে পেলে বিষয়টি ভালোভাবে জানা যাবে।’

তবে মাঠে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করায় দুই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা হবে বলে জানান ম্যাচ রেফারি। তিনি বলেন, ‘এটি সিরিজের শেষ ম্যাচ হওয়ায় আমরা শাস্তি কার্যকর করতে পারছি না। তাই দুই দলের ক্রিকেট বোর্ডের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হবে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।’ দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের সঙ্গে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের খেলোয়াড়দের লড়াই ওয়ানডে সিরিজ থেকেই লেগে আছে। রাজশাহীতে দ্বিতীয় ৫০ ওভারের ম্যাচে আনদিলে সিমেলানে ও জিসান আলম বিবাদে জড়িয়ে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।

প্রশিক্ষণের বিষয়

১. বেসিক কম্পিউটার,

২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,

৩. ইন্টারনেট,

৪. গ্রাফিক ডিজাইন,

৫. ফ্রিল্যান্সিং,

৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।

আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা

১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,

২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,

৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,

৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,

৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

১. ঢাকা,

২. চট্টগ্রাম,

৩. রাজশাহী,

৪. খুলনা,

৫. বরিশাল,

৬. সিলেট,

৭. দিনাজপুর,

৮. গোপালগঞ্জ।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র

১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,

২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,

৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,

৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,

৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।

নিবন্ধন ফি

মনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।

দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ