চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরসহ চার দফা দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা। রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের ক্লাবের সামনে বুধবার থেকে এই কর্মসূচি শুরু করেন তারা। বৃহস্পতিবার দিনভর বৃষ্টির মধ্যে তারা সেখানে অবস্থান করছিলেন। 

অনশন কর্মসূচিতে আসা তথ্য আপা প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) কর্মীরা বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ে সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছি নারীর ক্ষমতায়নের জন্য। আর এক মাস পরে আমাদের প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রায় দুই হাজার নারী একযোগে বেকার হয়ে যাব। যারা নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে এই প্রকল্পের অর্জন ৯০ শতাংশ করেছে তারাই আজকে ক্ষমতাহীন হওয়ার পথে। জুনের পর থেকে এই জনবল এবং তাদের পরিবার অসহনীয় দুর্দশায় পড়তে যাচ্ছে। 

তথ্য আপারা জানান, তারা উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তিন ধাপে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে মন্ত্রণালয়ে যোগ দিয়েছিলেন ২০১৮ সালের নভেম্বরে। ৪৯২টি উপজেলায় তথ্যকেন্দ্রে একজন করে তথ্যসেবা কর্মকর্তা (১০ম গ্রেড), দুইজন তথ্যসেবা সহকারী (১৬তম গ্রেড) ও একজন করে অফিস সহায়ক (২০তম গ্রেড) মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৯৬৮ জন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত রয়েছেন। তারা তৃণমূল নারীদের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, আইন, জেন্ডার, ব্যবসা, পরিবার পরিকল্পনা এবং সাইবার সিকিউরিটি এই ৮টি বিষয়ে জরুরি তথ্য সরবরাহ ও সহায়তা দিয়ে থাকেন। 

তথ্য আপারা অভিযোগ করে বলেন, নিয়োগপত্র অনুযায়ী বেতন না দিয়ে প্রকল্পের সাবেক পরিচালক মিনা পারভীন বেতন কমিয়ে দেন। এ বিষয়ে কোনো লিখিত চিঠিও দেওয়া হয়নি। 

আমিনা খানম নামের একজন কর্মী বলেন, আমাদের ১৬ গ্রেডের তথ্যসেবা সহকারীদের বেতন ২০ গ্রেডের অফিস সহায়কের থেকে কম, যা চরম বৈষম্য ও অসম্মানজনক। রাজস্বের আশ্বাস দিয়েও কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। আমাদের প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা ১০০ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। প্রকল্পের সফলতার হার ৯০ শতাংশের বেশি।  এরপরও আমাদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে পদ সৃজনের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এর আগে, গত বছর আগস্টে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং রাজস্বকরণের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে বিক্ষোভ করেছিলেন তথ্য আপারা। তারা জানান, সেই কর্মসূচির প্রেক্ষিতে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি করা হয় এবং প্রশিক্ষণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। সেই প্রশিক্ষণ তারা পাননি। প্রকল্পের মেয়াদও এখন শেষের পথে। অফিস ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

তথ্য আপাদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- প্রকল্পে কর্মরত সকল জনবলকে সমগ্রেডে পদসৃজন করে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর, যেহেতু রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জন্য সময়ের প্রয়োজন তাই প্রয়োজনীয় সময় ৩-৫ বছর প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি, পদ সৃজন করে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর সম্ভব না হলে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের শূন্যপদের ভিত্তিতে সমগ্রেডে আত্তীকরণ এবং কর্তন করা বেতন ও ভাতা দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করা।
 

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আমরণ অনশন অনশন প রকল প প রকল প র ম আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

আপস করে তো ভিতু মানুষ, আপস করে তো মেরুদণ্ডহীন প্রাণী: হুমায়ুন ফরীদি

হুমায়ুন ফরীদির জন্মদিন আজ। জাগতিক ভ্রমণে থাকলে আজ তাঁর বয়স হতো ৭৩। তিনি নেই, সে-ও ১৩টি বছর পেরিয়ে গেল। অথচ কী জীবন্ত হুমায়ুন ফরীদি! একজন অভিনেতার সঙ্গে তিনি যেন ছিলেন একজন দার্শনিক। এ অভিনেতাকে যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা জানেন, ফরীদির ভেতরেও একজন দার্শনিক বাস করতে পারে। জীবনের বিভিন্ন মুহূর্তে তিনি দিয়েছেন নানান উক্তি। কেউ কেউ নিজের জীবনের নানান মুহূর্তে স্মরণ করেন বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলে যাওয়া এই অভিনেতার দার্শনিক উক্তিগুলো।

একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মৃত্যু নিয়ে হুমায়ুন ফরীদি বলেছিলেন, ‘মৃত্যুর মতো এত স্নিগ্ধ, এত গভীর সুন্দর আর কিছু নেই। কারণ, মৃত্যু অনিবার্য। তুমি যখন জন্মেছ, তখন মরতেই হবে। মৃত্যুর বিষয়টি মাথায় থাকলে কেউ পাপ করবে না। যেটা অনিবার্য, তাকে ভালোবাসাটাই শ্রেয়।’
ফরীদি আরও বলেছিলেন, ‘মৃত্যুকে ভয় পাওয়া মূর্খতা। জ্ঞানীরা মৃত্যুকে ভয় পায় না। মৃত্যুকে আলিঙ্গন করো, গ্রহণ করো, বরণ করে নাও। তাহলে দেখবে জীবন কত সুন্দর।’

হুমায়ুন ফরীদি । ছবি: সংগৃহীত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • একজন ব্যক্তি ডিসেম্বরে নির্বাচন চান না: মির্জা আব্বাস
  • মাস্ক ট্রাম্পের প্রশাসন ছাড়ছেন আজ, যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবেন ট্রাম্প
  • সাইফ, এই সিনেমা আপনি কেন করলেন
  • শাওনের ‘বিজ্ঞানপ্রিয়’ গড়ে তোলার গল্প
  • গড়ে ৩৭ বছর বয়সে মারা যাচ্ছেন প্রবাসী কর্মীরা: রামরুর সংলাপ
  • ১৭ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে রাবি, হল বন্ধ নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
  • আপস করে তো ভিতু মানুষ, আপস করে তো মেরুদণ্ডহীন প্রাণী: হুমায়ুন ফরীদি
  • আমরণ অনশনে তথ্য আপারা
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন-ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীরা ফের আন্দোলনে