বৃষ্টির মধ্যেই শহীদ মিনারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা
Published: 29th, May 2025 GMT
সাত দাবিতে টানা আন্দোলন চালিয়ে আসছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা। বৃহস্পতিবার বৃষ্টির মধ্যেই নবম দিনের মতো ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পলিথিন ও ত্রিপল দিয়ে তাঁবু বানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যান তারা। আন্দোলনকারী বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। এতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্ন হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
গ্রামাঞ্চলসহ দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণ করছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। দেশের ৪ কোটি ৮২ লাখ গ্রাহকের মধ্যে আরইবির গ্রাহক ৩ কোটি ৬৮ লাখ। দেশজুড়ে সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার। আরইবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি একীভূতকরণ এবং অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন, চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের স্থায়ীকরণসহ সাত দাবিতে গত বছরের জানুয়ারি থেকে নানা সময়ে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেছেন সমিতির কর্মীরা। সেই সাত দাবিতে এক সপ্তাহ ধরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের এই আন্দোলনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন সংহতি জানিয়েছে।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, ন্যায্য দাবির কথা বলতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ২৯ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ৪০ জন সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। ৬ হাজারের বেশি কর্মীকে নিজ এলাকা থেকে দূরে বদলি করেছে আরইবি। এ ছাড়া সমিতির অন্তত ১৭২ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।
এসব মামলায় ১৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রেপ্তার হয়েছেন। বেশ কয়েক মাস পর তারা জামিন পেয়েছেন। মামলা-হয়রানির ভয়ে সমিতির অনেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তারা বলছেন, হয়রানি আর আতঙ্ক নিয়ে বৈদ্যুতিক লাইনে কাজ করার সময় কর্মীদের প্রাণহানি বা অন্য কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে জমির স্বল্পতা থাকলেও পরিকল্পনাবিদদের চিন্তা জমিদারের মতো: হোসেন জিল্লুর রহমান
বাংলাদেশে জমির স্বল্পতা থাকলেও পরিকল্পনাবিদদের মাথাটা জমিদারদের মতো বলে মন্তব্য করেছেন পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান।
হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিলেই বলা হয়, ১০০ একর জমি লাগবে। সচিবদের জন্য পাঁচ হাজার বর্গফুটের বাসা বানানো হয়। অথচ জাপানেও এসব কিছু অনেক ছোট করে বানানো হয়।
আজ বৃহস্পতিবার গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত নগরায়ণ এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হোসেন জিল্লুর রহমান এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক খুরশীদ আলম।
হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ভবিষ্যতে জমি ব্যবস্থাপনার বড় গবেষণাকেন্দ্র হতে পারে জেনেভা ক্যাম্প। সেখানে খুব অল্প জমির মধ্যে সবকিছু করা হয়। বিকেন্দ্রীকরণকে জোরদার করতে হলে স্থানীয় সরকারকে শুধু দায়িত্ব দিলে হবে না, ক্ষমতাও দিতে হবে।
নগরায়ণের পাশাপাশি রাজনৈতিক ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণও গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, রাজনৈতিক ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের আলাপ ঐকমত্য কমিশনসহ কোনো টেবিলেই আনা যাচ্ছে না।
বৈশ্বিক উদাহরণ দিয়ে জিল্লুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে ঢাকা ছাড়া দ্বিতীয় শহর নেই, এটাই সমস্যা। চট্টগ্রাম দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে। সেখানে আগে রেলওয়ে ও নৌবাহিনীর প্রধান কার্যালয় ছিল। কিন্তু নীতি কেন্দ্রীভূত হওয়ায় সেগুলো সরিয়ে আনা হয়েছে। মফস্সল এলাকার ভিত্তি ছিল জেলা স্কুল। এখন ইউনিয়ন চেয়ারম্যানও নিজের গ্রামে থাকেন না, তাহলে সেখানে ভালো স্কুল কীভাবে গড়ে উঠবে, এই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
ভবিষ্যতে দক্ষতা উন্নয়নের বিষয়গুলোর মধ্যে নগর ব্যবস্থাপনা বা পৌরসভার মেয়র গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে হোসেন জিল্লুর রহমান মন্তব্য করেন।