সেঞ্চুরি ছাড়াই ইংল্যান্ডের ৪০০, ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবার
Published: 29th, May 2025 GMT
নিজেদের মাটিতে আন্তর্জাতিক মৌসুম সামনে রেখে বেশির ভাগ ক্রিকেটারকে আইপিএল থেকে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। ক্রিকেট উইন্ডিজের (সিডব্লুআই) অবশ্য ওসব নিয়ে চিন্তা নেই। শীর্ষ সারির ক্রিকেটারদের আইপিএলের শেষ পর্যন্ত খেলার অনুমতি দিয়েছে তারা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে গুরুত্বসহকারে নেওয়া ও অবজ্ঞা করার মধ্যে তফাত কদিন আগেই টের পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে আয়ারল্যান্ড সফরে গিয়ে ওয়ানডে সিরিজ ড্র করেছিল ক্যারিবীয়রা। এবার ইংল্যান্ড সফরের শুরুটাও হলো বেশ বাজে।
বার্মিংহামের এজবাস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের বেদম পিটিয়ে ৮ উইকেটে ৪০০ রান করে ফেলেছে ইংল্যান্ড। ওয়ানডে ইতিহাসে এটি ২৮তম দলীয় ৪০০ রানের ঘটনা; ইংল্যান্ড এ নিয়ে করল ৬ বার।
তবে ইংলিশরা আজ ৪০০ ছুঁয়ে দুটি অনন্য কীর্তি গড়ে ফেলল। তারাই যে প্রথম দল, যারা সেঞ্চুরি ছাড়াই ওয়ানডে সবচেয়ে বেশি রান করল। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৮২ রান করেছেন জ্যাকব বেথেল। এর আগের রেকর্ডটা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০০৭ সালে সেঞ্চুরিয়নে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩৯২ রান করলেও প্রোটিয়াদের কোনো ব্যাটসম্যান তিন অঙ্কের দেখা পাননি।
এ ছাড়া আজ ইংল্যান্ডের প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের প্রত্যেকে কমপক্ষে ৩০ রান করেছেন। ওয়ানডে ক্রিকেটের ৫৪ বছর ও ৪৮৮০ ম্যাচের ইতিহাসে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল।
বেথেল ছাড়াও ইংল্যান্ডের হয়ে ফিফটির দেখা পেয়েছেন বেন ডাকেট (৬০), হ্যারি ব্রুক (৫৮) ও জো রুট (৫৭)। এ ম্যাচ দিয়েই সাদা বলে ইংল্যান্ডের স্থায়ী অধিনায়ক হিসেবে ব্রুকের যাত্রা শুরু হয়েছে। স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শুধু রুটই ১০০-এর স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন।
বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।
আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ।
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়।
পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল।
ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র্যাঙ্কিং ৫৫)। র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না।
প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।
এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ।
ঢাকা/ইয়াসিন