জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চিত সন্দ্বীপের শিক্ষার্থীদের
Published: 30th, May 2025 GMT
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে নৌ চলাচল বন্ধ থাকায় অনেকটা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপ। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত কলেজে স্নাতকের (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে দ্বীপটির শিক্ষার্থীদের। আগামীকাল শনিবার বেলা ১১টা থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
সন্দ্বীপ থেকে কয়েক শ শিক্ষার্থী এবার চট্টগ্রাম নগরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বিভিন্ন স্নাতক (সম্মান) পাঠদানকারী কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাট থেকে একটি কাঠের নৌযানে ৪০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম নগরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁদের সঙ্গে বিদেশগামী যাত্রীসহ আরও ১০ জন ছিলেন। তবে দেড় ঘণ্টা সাগরে ভাসলেও প্রবল স্রোত আর উত্তাল ঢেউয়ের মুখে তাঁদের ফিরে সন্দ্বীপে যেতে হয়েছে।
সন্দ্বীপে নৌঘাট পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, বাতাসের তীব্রতা কিছুটা কমলেও নৌ চলাচলের মতো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি। আগামীকাল সকাল পর্যন্ত নৌ চলাচল শুরু করা যায় কি না, তা এখনো অনিশ্চিত। সুমন মিয়াজী নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, এই দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত পরীক্ষা পেছানো।
গতকাল কাঠের নৌকায় চট্টগ্রাম শহরে যাওয়ার চেষ্টা করা শিক্ষার্থীদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পরিবারের অমতে তিনি এমন দুর্যোগেও চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করেন। দেড় ঘণ্টা ধরে সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। তখন বারবার তাঁর মনে হচ্ছিল, ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে গিয়ে জীবন হারাতে যাচ্ছেন তিনি। ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘শনিবারও সাগর শান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম। এখন আমাদের ভাবতে হবে, আমরা কি উচ্চশিক্ষা নেব, নাকি জীবন নিরাপদ রাখব।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবদুর রহমান খান প্রথম আলোকে বলেন, আজ আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা কম। কাল বা আগামী রোববার অবস্থার উন্নতি হতে পারে।
জানতে চাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এনামুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, আগামীকাল বেলা ১১টায় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই সময়ের মধ্যে আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছি। দেখা যাক কী করতে পারি।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ য় অ শ পর স থ ত
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্ষণের অভিযোগে হাকিমির বিচার দাবি ফরাসি কৌঁসুলিদের
২০২৩ সালে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে গতকাল পিএসজি তারকা আশরাফ হাকিমির বিচার করার দাবি তুলেছেন ফরাসি কৌঁসুলিরা। মরক্কোর এই রাইটব্যাক অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন।
নঁতের কৌঁসুলি অফিস বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, তদন্তে নিয়োজিত বিচারককে ধর্ষণের এই অভিযোগ ফৌজদারি আদালতে তোলার অনুরোধ করেছেন ফরাসি কৌঁসুলিরা। কৌঁসুলি অফিস থেকে এএফপিকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নিজের আদেশ কাঠামোর ভেতরে থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার এখন তদন্তে নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর।’
আরও পড়ুননিষেধাজ্ঞা মেসির পিছু ছাড়ছে না, এবার নিষিদ্ধ হলেন তাঁর দেহরক্ষী৫৭ মিনিট আগেগত মে মাসে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে পিএসজির ৫–০ গোলের জয়ে বড় অবদান ছিল হাকিমির। পিএসজির প্রথম গোলটি ২৬ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়ের। সর্বশেষ ২০২২ বিশ্বকাপেও প্রথম আরব দেশ হিসেবে মরক্কোর সেমিফাইনালে ওঠায় দারুণ অবদান ছিল হাকিমির। ২০২৩ সালের মার্চে ২৪ বছর বয়সী এক নারীকে ধর্ষণের দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
হাকিমির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি অভিযোগকারীকে প্যারিসের উপকণ্ঠে বুলান–বিয়ানকুতে অবস্থিত নিজের বাসায় আসার খরচ দেন। তখন হাকিমির স্ত্রী ও সন্তান ছুটি কাটাতে বাইরে ছিলেন। অভিযোগকারী সেই নারী এরপর পুলিশ স্টেশনে গিয়ে হাকিমির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন এবং তখন পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে। সেই নারী আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করতে না চাইলেও কৌঁসুলিরা হাকিমির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।
পুলিশকে অভিযোগকারী নারী তখন জানিয়েছিলেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ইনস্টাগ্রামে হাকিমির সঙ্গে তাঁর পরিচয়। সেই রাতে ট্যাক্সি করে হাকিমির বাসায় তিনি গিয়েছিলেন এবং ভাড়াটা পিএসজি তারকাই দেন। পুলিশকে সেই নারী বলেছিলেন, হাকিমি সম্মতি ছাড়াই তাঁর শরীর স্পর্শ করেন এবং তারপর ধর্ষণ করেন। পুলিশের এক সূত্রও তখন এএফপিকে এ কথা জানায়। এক বন্ধুকে ফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে আসতে বলেছিলেন সেই নারী। পরে সেই বন্ধু এসে তাঁকে নিয়ে যান।
আরও পড়ুনরিয়াল মাদ্রিদ ছাড়তে চান না কোনো খেলোয়াড়, ‘বেকায়দায়’ ক্লাব কর্তৃপক্ষ২ ঘণ্টা আগেকৌঁসুলিরা গতকাল হাকিমির বিচারের দাবি তোলার পর তাঁর আইনজীবী ফ্যানি কোলিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে এএফপি। তাঁর মতে, কৌঁসুলিদের এ সিদ্ধান্ত, ‘মামলার উপকরণ বিচারে বোধগম্য নয় এবং অর্থহীন। আশরাফ হাকিমিসহ আমরা শান্তই আছি এবং আমরা প্রক্রিয়ার শুরুতে ছিলাম। আমরা অবশ্যই আপিলের সব রকম পথই বের করব।’ কোলিন দাবি করেন, তাঁর মক্কেল, ‘পরিকল্পিতভাবে অন্যায় দাবির শিকার’।
অভিযোগকারী নারীর আইনজীবী র্যাচেল–ফ্লোর প্রাদো এএফপিকে বলেছেন, ‘এই মামলার কোনো কিছুতেই অন্যায় দাবির আলামত নেই। আমার মক্কেল এ খবরে (হাকিমিকে বিচারের সন্মুখীন করা) অনেক স্বস্তি পেয়েছে।’
গত মৌসুমে পিএসজির চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল জয়ে দারুণ ভূমিকা ছিল হাকিমির