টাঙ্গাইলে গার্মেন্টস কর্মী স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ
Published: 30th, May 2025 GMT
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোড়াই এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে গার্মেন্টস কর্মীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পর স্বামী সুজন মিয়া পলাতক রয়েছে।
নিহত কবিতা আক্তার (২৫) গ্রামের বাড়ি নীলফামারি জেলায়। তারা সোহাগপাড়া এলাকায় মুসা মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দিবাগত রাত ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, সুজন মিয়া ও তার স্ত্রী কবিতা আক্তার দুই সন্তান নিয়ে মুসা মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। কবিতা ওই এলাকার একটি পোষাক কারখানায় কাজ করতেন। তার স্বামী সুজন পেশায় একজন মেকানিক। গতকাল রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে সুজন মিয়া উত্তেজিত হয়ে বাসায় থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কবিতাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের বাসার লোকজন ঘটনা টের পেয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, “স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী পলাতক রয়েছে। এই ঘটনায় নিহত কবিতার বাবা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।’’
ঢাকা/কাওছার/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেষ হলো বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র যৌথ সামরিক মহড়া ‘টাইগার শার্ক’
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া ‘টাইগার শার্ক’ সফলভাবে শেষ করেছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি, পারস্পরিক সমন্বয় এবং দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পরিচালিত এই মহড়ার মাধ্যমে দুই পক্ষের প্রতিরক্ষা অংশীদারত্ব জোরদার হয়েছে।
শনিবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী অঙ্গীকারের প্রতিফলন টাইগার শার্ক মহড়া। এই মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা একসঙ্গে চিকিৎসা প্রশিক্ষণ, টহল, লক্ষ্যভেদ অনুশীলন, সাঁতার, ডুবসাঁতার এবং ক্লোজ কোয়ার্টারস কমব্যাটসহ বিভিন্ন সমন্বিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নেন।
যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত) ট্রেসি জ্যাকবসন বলেন, ‘এই যৌথ সামরিক মহড়া নিরাপদ, শক্তিশালী ও আরও সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে পুনর্ব্যক্ত করে। এটি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারত্বেরও প্রতীক।’
কৌশলগত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি টাইগার শার্কে অন্তর্ভুক্ত ছিল বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের বিনিময়, যৌথ পরিকল্পনা সেশন এবং কৃত্রিম অনুশীলন পরিবেশে প্রশিক্ষণ। এসব কার্যক্রম ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত কৌশল গঠনে সহায়তা করা।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনতম ও বৃহত্তম যুদ্ধ কমান্ড, যা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরের অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কার্যক্রম তদারকি করে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে।