বান্দরবানে টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ধস, রুমার সঙ্গে সদরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
Published: 30th, May 2025 GMT
বান্দরবানে টানা দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের ঘটনায় রুমা উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে ওয়াইজংশন-রুমা সড়কের একটি অংশে পাহাড় ধসে পড়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় এবং পাহাড়ধসের আশঙ্কায় জেলা শহর ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা শেষে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আসিফ রায়হান জানান, সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলার ৭টি উপজেলায় ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। তবে এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে কেউ আসেননি। সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে। পাহাড়ধস ও নিম্নাঞ্চল ডুবে যাওয়ার আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ বসতবাড়ির বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।
বান্দরবান-রুমা সড়কের পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওয়াইজংশন থেকে দুই কিলোমিটার পর সড়কের ওপর বড় ধরনের পাহাড়ধস হয়েছে। সকালে কিছু যান চললেও দুপুরের পর থেকে সড়ক পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ধসের জায়গায় যাত্রী নামিয়ে দুই পাশে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তাঁরা জানান, ২০১৭ সালে একইভাবে যাত্রী নামিয়ে গাড়ি চালানোর সময় পাহাড় ধসে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল।
পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম বলেন, ওয়াইজংশন থেকে বেতছড়া পর্যন্ত অংশটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এ কারণে ভারী বৃষ্টির সময় পাহাড় ধস না হলেও সতর্কতা হিসেবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
রাঙামাটি শহরের যুব উন্নয়ন এলাকায় ধসে পড়েছে পাহাড়ের একাংশ। আজ দুপুরে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ধূমপান পরিহারে বৈজ্ঞানিক টিপস
বন্ধুরা, ধূমপানের মতো ক্ষতিকর বিষয়ে হয়তো তুমি অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছ; চেষ্টা করছ প্রাণপণে তা ছেড়ে দেওয়ার। কিছুতেই কিছু করতে পারছ না– এই তো? ব্যাপার না। চলো কীভাবে ধীরে ধীরে এই ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে মুক্তি পাবে তার কিছু বৈজ্ঞানিক বুদ্ধি জানা যাক।
গভীর নিঃশ্বাস: ডিপ ব্রেথিং বা গভীরভাবে শ্বাস নেওয়া হলো এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে শক্তিশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি টেকনিক। প্রতিবার যখন তোমার সিগারেট খাওয়ার প্রয়োজন পড়বে, নিচের কাজটি তিনবার করবে– গভীরভাবে শ্বাস নিয়ে ফুসফুসকে যতটুকু সম্ভব বায়ু দিয়ে পূর্ণ করো। তারপর ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ো। ঠোঁট কিছুটা বন্ধ রেখেই শ্বাস ছাড়ো, যাতে তা আস্তে আস্তে বের হতে পারে। যখন তুমি নিঃশ্বাস ছাড়বে, চোখগুলো বন্ধ রাখো এবং তোমার চিবুক বা থুতনি ক্রমে বুকের দিকে নামিয়ে আনো। দৃঢ় সংকল্পের সঙ্গে ভাবো, সিগারেট খাওয়ার উত্তেজনা ধীরে ধীরে তোমার দেহ থেকে সরে যাচ্ছে। এটি একটি প্রাচীন টেকনিক। খুবই শক্তিশালী। এ পদ্ধতি ব্যবহার করে তুমি যে কোনো ধরনের মানসিক চাপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে। সিগারেট থেকে মুক্তি পেতে শুরুতে এ পদ্ধতি অনেকটা কাজে দেবে।
তরল গ্রহণ: প্রথম কয়েকদিন মাত্রাতিরিক্তভাবে পানি পান করো। অতিরিক্ত পানি পানের কারণে তোমার শরীরের ভেতর থেকে নিকোটিন এবং অন্যান্য বিষাক্ত বস্তু তরলাকারে বেরিয়ে আসবে।
প্রথম সপ্তাহে যতটুকু সম্ভব চিনি, কফি, চা ও অ্যালকোহল জাতীয় জিনিস থেকে দূরে থাকো। চর্বি জাতীয় খাবার থেকেও দূরে থাকার চেষ্টা করো। আপেল ও গাজর জাতীয় ফল বেশি করে খেতে পারো।
ধ্বংস অনিবার্য: ইতোমধ্যে কিনে ফেলেছ যত সিগারেট, তার সব ধ্বংস করে ফেলো।
মুখের ব্যস্ততা: মুখকে ব্যস্ত রাখার জন্য বিকল্প খাবার হিসেবে চুইংগাম, দারুচিনি বা আর্টিফিশিয়াল সিগারেট ব্যবহার করতে পারো। একটি জরিপে দেখা গেছে, ২৫ শতাংশ ধূমপায়ী এই আইডিয়াকে সমর্থন করেছে।
ব্যায়াম চর্চা: ভর্তি হতে পারো জিমে। যদি জিমে যেতে ইচ্ছে না করে তবে বাসা কিংবা বাড়ির ছাদের মতো কোনো জায়গা বেছে নিয়ে নিয়মিত ব্যায়াম শুরু করো। স্টিম বাথ নাও। বেশ লম্বা সময় ধরে জগিং করো।
নতুন শখের আশ্রয়: যোগব্যায়াম শুরু করো। দীর্ঘ সময় নিয়ে গোসল করো। নতুন কোনো শখে নিজেকে জড়িয়ে ফেলো।
হাত ধরা: বন্ধুদের বা পরিবারের সবাইকে বলো তোমাকে সহযোগিতা করতে।
তাদের তোমার সামনে ধূমপান না করতে অনুরোধ করো।
নোট রাখা: যখনই ধূমপান করতে ইচ্ছে করবে, একটি খাতা নিয়ে বসো। পাশাপাশি দুটি পৃষ্ঠার একটিতে ধূমপান করার ১০টি কুফল এবং অন্য পৃষ্ঠায় ধূমপান না করার ১০টি সুফল লিখে ফেলো। u