কক্সবাজারের টেকনাফে একটি পুকুর থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় ১০টি হ্যান্ড গ্রেনেড, গ্রেনেডের বেশ কিছু সরঞ্জাম ও ২৯টি গুলি উদ্ধার হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কোস্টগার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযানে উপজেলা হ্নীলার দমদমিয়া নেচার পার্কের ভেতরে থাকা একটি পুকুর থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।

কোস্টগার্ড জানায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুকুরটিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে পুকুরে ডুবন্ত অবস্থায় একটি বস্তা পাওয়া যায়। বস্তাটি খুলে ১০টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ১০টি হ্যান্ড গ্রেনেডের ডেটোনেটর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া পুকুরপাড়ে বিক্ষিপ্ত অবস্থায় রাইফেলের ২৭টি গুলি, পিস্তলের ২টি গুলি পড়ে ছিল। এর সঙ্গে ২ লিটার দেশি মদও পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে কয়েকজন থাকলেও যৌথ বাহিনীর অভিযান টের পেয়ে তাঁরা পালিয়ে গেছেন।

কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতীয় এজেন্ডায় জনগণের ঐক্যে ফাটল ধরানো হচ্ছে: জোনায়েদ সাকি

নিজেদের প্রয়োজনে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন দরকার বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ভারতীয় পৃষ্ঠপোষকতায় শেখ হাসিনা সরকার যে ফ্যাসিস্ট রোলার চালিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে দেশে ঐক্য গড়ে উঠেছে। এখন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভারতের এজেন্ডা– এমন কথা বলে জনগণের ঐক্যে ফাটল ধরিয়ে দেশটির পারপাস সার্ভ করা হচ্ছে। এ প্রচার ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনে সাহায্য করবে।

গতকাল রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সাকি। গণসংহতি আন্দোলনের প্রথম নির্বাহী সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট আবদুস সালামের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভা আয়োজন করা হয়।

সাকি বলেন, ‘ভারতের কোনো মিডিয়া কিংবা কোনো রাজনীতিক বাংলাদেশে নির্বাচন চাইলেন, আর এখানে নির্বাচনের দাবি করা ভারতের ইচ্ছা অনুযায়ী হচ্ছে বলে মনে করা অত্যন্ত বিপজ্জনক।’

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘যারা শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হতে সাহায্য করেছিলেন, এখন তারা নতুন বন্দোবস্ত করে বহাল তবিয়তে আছেন। ফ্যাসিজমের থেকে যাওয়া শিকড়ে পানি ঢেলে তারা আবার ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চাচ্ছেন।’ 

তিনি বলেন, ‘কোনো অভ্যুত্থানের প্রথম সারির নেতারা এতটা বিতর্কিত হননি, যতটা এখন হচ্ছেন। তরুণরা অনাকাঙ্ক্ষিত কাজে জড়িত হচ্ছেন, যা লজ্জার।’

সভায় এবি পার্টির সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার সমালোচনা করার মৌলিক কয়েকটি জায়গা আছে। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারেননি। রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ বা অজান্তে বিভক্ত করেছেন। সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের রূপরেখা দিতে পারেননি।’

স্মরণসভায় বক্তৃতা করেন ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ